নাইট্রোজেন বেস কি
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নাইট্রোজেন বেস কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নাইট্রোজেন বেস কি
জীববিজ্ঞানের শিক্ষক ক্লাসে মেন্ডেলের গবেষণার কথা আলোচনা করছিলেন। তার গবেষণায় জীবের বৈশিষ্ট্যের ধারক বাহক ৰূপে জিনের কথা উল্লেখ রয়েছে। জিনসমূহ DNA অনুসূত্রের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রতি পর্যন্ত সাজানো থাকে।
ক. লোকাস কী?
খ. নাইট্রোজেন বেস কি?
গ. সুপ্রজননে উদ্দীপকের গবেষণা কীভাবে প্রয়োগ করা যায়? ব্যাখ্যা।করো।
ঘ. উল্লিখিত অনুসূত্রের গঠন প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল-ব্যাখ্যা করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. ক্রোমোসোমের যে স্থানে জিন অবস্থান করে তাই হলো লোকাস ।
খ. নাইট্রোজেন, কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন সমন্বিত যে যৌগ নিউক্লিক এসিড গঠন করে তা হলো নাইট্রোজেন বেস । নাইট্রোজেন- বেস দু'প্রকার। যথা-
পাইরিমিডিন: এখানে তিন ধরনের পাইরিমিডিন বেস রয়েছে। যথা- থাইমিন, সাইটোসিন এবং ইউরাসিল।
পিউরিন: পিউরিনে দু ধরনের বেস রয়েছে। যথা অ্যাডিনিন এবং গুয়ানিন।
গ. উদ্দীপকে মেন্ডেলের গবেষণার কথা বলা হয়েছে। মাতাপিতার বৈশিষ্ট্য উদ্ভিদের বংশধরদের মধ্যে কীভাবে প্রকাশ পায় সে সম্বন্ধে বিজ্ঞানী গ্রেগর জোহান মেন্ডেল মটর গাছ নিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যবান তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন।
এক্ষেত্রে মেন্ডেল একটি লম্বা ও একটি খাটো মটর গাছ নেন। এরপর কৃত্রিম উপায়ে লম্বা গাছের পরাগরেণু খাটো গাছের গর্ভমুণ্ডে এবং খাটো গাছের পরাগরেণু লম্বা গাছের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তর করে এদের প্রজনন ঘটান।
অন্য কোনো পরাগরেণু যাতে আসতে না পারে সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থাও নেন। এ থেকে উৎপন্ন বীজ বুনে দেখা গেল সব গাছই লম্বা হয়েছে, কোনো খাটো গাছ নেই।
এদের একটি গাছকে স্ব-পরাগায়নের মাধ্যমে প্রজনন ঘটিয়ে তা থেকে উৎপন্ন বীজ বুনে দেখা যায় যে এতে লম্বা ও খাটো দুই রকমের গাছই রয়েছে। যার মধ্যে ৩ ভাগ লম্বা গাছ ও ১ ভাগ খাটো গাছ।
মেন্ডেলের এই তত্ত্ব উদ্ভিদ ও প্রাণীর সুপ্রজননে প্রয়োগ করা হয়। কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উদ্ভিদ বা প্রাণীদের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত যৌন প্রজনন ঘটিয়ে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বংশধর সৃষ্টি করা হয় এদের মধ্যে থেকে কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য বেছে নিয়ে সুপ্রজননের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্যের উদ্ভিদ ও প্রাণী সৃষ্টি করা হয়।
ঘ. উদ্দীপকে DNA অনুসূত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। DNA হলো দ্বিসূত্রবিশিষ্ট পলিনিউক্লিওটাইডের সর্পিলাকার গঠন। এতে পাঁচ কার্বনযুক্ত শর্করা, নাইট্রোজেনঘটিত বেস বা ক্ষার (এডিনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন এবং থাইমিন) ও অজৈব ফসফেট থাকে।
নাইট্রোজেন বেসগুলো দু'ধরনের। যথা-পিউরিন ও পাইরিমিডিন। এডিনিন (A) ও গুয়ানিন (G) বেস হলো পিউরিন এবং সাইটোসিন (C) ও থাইমিন (T) বেস হলো পাইরিমিডিন। একটি সূত্রের এডিনিন (A) অন্য সূত্রের থাইমিন (T) এর সাথে দুটি হাইড্রোজেন বন্ড দ্বারা যুক্ত ( A = T) থাকে।
আর একটি সূত্রের গুয়ানিন (G) অন্য সূত্রের সাইটোসিনের (C) এর সাথে তিনটি হাইড্রোজেন বন্ড দ্বারা যুক্ত (G = C) থাকে। অর্থাৎ এই বন্ধন সর্বদা পিউরিন ও পাইরিমিডিনের মধ্যে হয়ে থাকে। সুতরাং দুটি সূত্রের একটি অন্যটির পরিপূরক কিন্তু এক রকম নয় ।
হেলিক্সের প্রতিটি পূর্ণ ঘূর্ণন ৩৪Å দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এবং একটি পূর্ণ ঘূর্ণনে ১০টি নিউক্লিওটাইড থাকে। সুতরাং পার্শ্ববর্তী দুটি নিউক্লিওটাইডের দূরত্ব (উপর থেকে নিচে) ৩.৪Å। DNA-এর দুটি নিউক্লিওটাইড সূত্র বিপরীতভাবে অবস্থান করে।
অনেকটা প্যাচানো সিঁড়ির ধাপের মতো, ক্ষারগুলো শায়িতভাবে প্রধান অক্ষের সাথে লম্বভাবে অবস্থান করে। অর্থাৎ DNA অণুর বাইরের দিকের দণ্ড দুটি (প্রধান অক্ষ) পর পর সুগার ও ফসফেট দ্বারা গঠিত এবং এদের ভিতরে দিকে নাইট্রোজেন বেস অবস্থান করে।
প্রকৃত কোষের DNA সূক্ষ্ম সুতার মতো। তবে আদিকোষের DNA সাধারণত গোলাকার এবং এর দৈর্ঘ্য কয়েক মাইক্রন - থেকে কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
এটি হাজার হাজার নিউক্লিওটাইড বা নিউক্লিক এসিডের সমন্বয়ে গঠিত সুতরাং উপরের আলোচনা হতে এটা স্পষ্ট যে, DNA অনুসূত্রের গঠন প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ নাইট্রোজেন বেস কি
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নাইট্রোজেন বেস কি যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।