মৌলবিপাক শক্তি কি
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মৌলবিপাক শক্তি কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মৌলবিপাক শক্তি কি
ক. রেচন কী?
খ. মৌলবিপাক শক্তি কি?
গ. উদ্দীপকের 'A' চিহ্নিত অঙ্গের কার্যকরী এককের গঠন বর্ণনা করো ৷
ঘ. চিত্র: X দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে— বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. মানবদেহের যে জৈবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেহে বিপাক প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থগুলো নিষ্কাশিত হয় তাই রেচন ।
খ. বিশ্রামরত অবস্থায় আমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, যেমন— হাত, পা কাজ না করলেও আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস এবং হূৎপিণ্ড ক্রিয়াশীল থাকে।
এদের সাথে সংশ্লিষ্ট পেশিগুলোর সংকোচন প্রসারণে সার্বিক কাজ সাধিত হয় । এ কাজে ব্যয়িত শক্তিই হলো মৌলবিপাক শক্তি । মৌলবিপাক শক্তির অভাবে মানুষের হূৎপিণ্ড ও ফুসফুস অকেজো হয়ে পড়ে এবং মানুষের মৃত্যু ঘটে।
গ. উদ্দীপকের A-চিহ্নিত অঙ্গাণুটি বৃক্ক, যার কার্যকরী একক হলো নেফ্রন । নিচে নেফ্রনের গঠন বর্ণনা করা হলো—
প্রতিটি নেফ্রন একটি রেনাল করপাসল বা মালপিজিয়ান অঙ্গ এবং রেনাল টিউব্যুল নিয়ে গঠিত। প্রতিটি রেনাল করপাসল আবার গ্লোমেরুলাস এবং বোম্যান্স ক্যাপসুল-এ দু'টি অংশে বিভক্ত। বোম্যান্স ক্যাপসুল গ্লোমেরুলাসকে বেষ্টন করে থাকে। বোম্যান্স ক্যাপসুল
দ্বিস্তরবিশিষ্ট পেয়ালার মতো প্রসারিত একটি অংশ। গ্লোমেরুলাস একগুচ্ছ কৈশিক জালিকা দিয়ে তৈরি। বোম্যান্স ক্যাপসুলের অঙ্কীয় দেশ থেকে সংগ্রাহী নালি পর্যন্ত বিস্তৃত চওড়া নালিটি হলো রেনাল টিউব্যুল।
প্রতিটি রেনাল টিউব্যুল ৩টি অংশে বিভক্ত। যথা- গোড়াদেশীয় প্যাচানো নালিকা, হেনলির লুপ এবং প্রান্তীয় প্যাচানো নালিকা ।
ঘ. চিত্র: X হলো মানব রেচনতন্ত্র। রেচনতন্ত্রের মাধ্যমে রেচন ক্রিয়া- সম্পন্ন হয়। রেচন মানবদেহের একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দেহে বিপাক ক্রিয়ায় উৎপন্ন নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থগুলো নিষ্কাশিত হয়।
এ সকল বর্জ্য পদার্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, ক্রিয়েটিনিন ও বিভিন্ন ধরনের লবণ। এ পদার্থগুলো শরীরের জন্য খুবই। ক্ষতিকর এবং বিষাক্ত।
কোনো কারণে এ বিষাক্ত পদার্থগুলো শরীরে জমতে থাকলে নানা ধরনের অসুখ দেখা দেয় এবং পরবর্তীতে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
কিন্তু বৃত্তস্থিত নেফ্রন একটি জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রমাগতভাবে মূত্র উৎপন্ন করে। মূত্রের সঙ্গে নাইট্রোজেনঘটিত বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থগুলো এবং তার সাথে অতিরিক্ত পানি, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও গ্লুকোজ সংগ্রাহী নালিকার মাধ্যমে পেলভিসে এবং সেখান থেকে ইউরেটার হয়ে মূত্রথলিতে জমা হয়। মূত্র ত্যাগের ইচ্ছা হলে মূত্রথলির নিচের দিকে অবস্থিত ছিদ্রপথে মূত্র দেহের বাইরে নির্গত হয়।
এভাবে উদ্দীপকের চিত্র: X অর্থাৎ রেচনতন্ত্র মূত্রত্যাগের মাধ্যমে দেহ থেকে বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মৌলবিপাক শক্তি কি
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মৌলবিপাক শক্তি কি যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।