মহিলা এবং পুরুষদের মধ্যে কার বৃক্কে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ব্যাখ্যা করো
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মহিলা এবং পুরুষদের মধ্যে কার বৃক্কে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? ব্যাখ্যা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মহিলা এবং পুরুষদের মধ্যে কার বৃক্কে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? ব্যাখ্যা করো
ক. প্রচ্ছন্ন জিন কাকে বলে?
খ. মহিলা এবং পুরুষদের মধ্যে কার বৃক্কে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের 'A' চিহ্নিত অঙ্গের কার্যক্রম ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের 'C' চিহ্নিত অংশ আংশিকভাবে 'B' চিহ্নিত অংশের উপর নির্ভরশীল-বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. যে জিনের বৈশিষ্ট্য প্রথম বংশধরে প্রকাশ না পেয়ে দ্বিতীয় বংশধরের এক-চতুর্থাংশ জীবে প্রকাশ পায়, তাকে প্রচ্ছন্ন জিন বলে ।
খ. বৃক্কে পাথর সবারই হতে পারে, তবে দেখা গেছে মহিলা ও পুরুষদের মধ্যে পুরুষদের বৃক্কে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, বৃত্তে সংক্রমিত রোগ, কম পানি পান করা, অতিরিক্ত প্রাণিজ আমিষ গ্রহণ করা— বৃক্কে পাথর হওয়ার বিশেষ কিছু কারণ। এ কারণগুলো পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। ফলে পুরুষদের বৃক্কে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
গ. উদ্দীপকের 'A' চিহ্নিত অংশটি হলো যকৃত। যকৃত পিত্তরস তৈরি করে। এই রস পিত্তথলিতে জমা থাকে এবং প্রয়োজনে ডিওডেনামে এসে পরোক্ষভাবে পরিপাকে অংশ নেয়।
পিত্তরস খাদ্যের অম্লভাব প্রশমিত করে এবং ক্ষারীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে। এই পরিবেশ খাদ্য পরিপাকের অনুকূল। পিত্তরস চর্বিজাতীয় খাদ্যকে ক্ষুদ্র দানায় পরিণত করে যা লাইপেজ সহযোগে পরিপাকে সহায়তা করে।
অতিরিক্ত অ্যামাইনো এসিড যকৃতে আসার পর বিভিন্ন রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে ইউরিয়া, ইউরিক এসিড ওঅ্যামোনিয়ারূপে নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থ তৈরি করে এবং স্নেহজাতীয় পদার্থ শোষণে সাহায্য করে।
এছাড়া যকৃত রক্তকণিকা সৃষ্টি ছাড়াও 'রক্তের গ্লুকোজ ও পানির মাত্রা এবং দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে।
ঘ. উদ্দীপকের 'C' চিহ্নিত অংশ হলো ক্ষুদ্রান্ত্র এবং 'B' চিহ্নিত অংশ হলো অগ্ন্যাশয়। ক্ষুদ্রান্ত্রের কার্যক্রম আংশিকভাবে অগ্ন্যাশয়ের উপর নির্ভরশীল। পাকস্থলি থেকে পাকমণ্ড ক্ষুদ্রান্তে পৌঁছালে সেখানে যে পরিপাক ঘটে
তা অনেকাংশে অগ্ন্যাশয় রসের উপর নির্ভর করে। আমিষ, স্নেহ ও শর্করা পরিপাকে অগ্ন্যাশয় রসের ভূমিকা রয়েছে।
অগ্ন্যাশয় রসে অ্যামাইলেজ, লাইপেজ ও ট্রিপসিন নামক এনজাইম থাকে। ক্ষুদ্রান্ত্রে শর্করা জাতীয় খাদ্য পৌঁছালে তা অ্যামাইলেজ নামক এনজাইমের কার্যকারিতায় সরল শর্করা তথা গ্লুকোজে পরিণত হয়।
এছাড়া আংশিক পরিপাককৃত আমিষ ক্ষুদ্রান্ত্রে পৌঁছালে ট্রিপসিনের সাহায্যে ভেঙে অ্যামাইনো এসিড ও সরল পেপটাইডে পরিণত হয়। তাছাড়া লাইপেজ এনজাইমের মাধ্যমে স্নেহজাতীয় পদার্থ ভেঙ্গে ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে পরিণত হয়।
সুতরাং, খাদ্য পরিপাকের ক্ষেত্রে 'C' চিহ্নিত অংশ অর্থাৎ ক্ষুদ্রান্ত আংশিকভাবে 'B' চিহ্নিত অংশ অর্থাৎ অগ্ন্যাশয়ের উপর নির্ভরশীল।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মহিলা এবং পুরুষদের মধ্যে কার বৃক্কে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? ব্যাখ্যা করো
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মহিলা এবং পুরুষদের মধ্যে কার বৃক্কে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? ব্যাখ্যা করো যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।