মাইটোকন্ড্রিয়াকে শক্তিঘর বলা হয় কেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মাইটোকন্ড্রিয়াকে শক্তিঘর বলা হয় কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মাইটোকন্ড্রিয়াকে শক্তিঘর বলা হয় কেন
ক. জাইগোট কী?
খ. মাইটোকন্ড্রিয়াকে শক্তিঘর বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. P-চিত্রের উপাদানটির গঠন বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করো।
ঘ. "A" চিহ্নিত অংশটি পুরুষানুক্রমে বংশের বৈশিষ্ট্য বহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে— বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. জীবের যৌন জননে শুক্রাণু (n) ও ডিম্বাণুর (n) মিলনের ফলে সৃষ্ট ডিপ্লয়েড কোষই হলো জাইগোট (2n).
খ. সকল জীব শ্বসনের মাধ্যমে শক্তি (ATP) উৎপাদন করে। এটি উৎপাদনে সাহায্য করাই মাইটোকন্ড্রিয়ার প্রধান কাজ। শ্বসনের সবচেয়ে বেশি শক্তি উৎপন্ন হয় সবাত শ্বসনের ক্রেবস চক্রে।
আর ক্রেবস চক্রে অংশগ্রহণকারী সকল উৎসেচক মাইটোকন্ড্রিয়ায় থাকায় এর বিক্রিয়াগুলো এ অঙ্গাণুতেই সংঘটিত হয়। এজন্য মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের পাওয়ার হাউস বা শক্তিঘর বলা হয় ।
গ. P-চিত্রের উপাদানটি হলো জীবকোষের নিউক্লিয়াস। এর আকৃতি গোলাকার, ডিম্বাকার বা নলাকার। সুগঠিত নিউক্লিয়াসে নিউক্লিয়ার ঝিল্লি, নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিওলাস ও ক্রোমাটিন জালিকা দেখা যায়। নিচে এর গঠন বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হলো-
নিউক্লিয়ার ঝিল্লি; এটি দ্বিস্তর বিশিষ্ট ঝিল্লি যা নিউক্লিয়াসকে ঘিরে | রাখে। এ ঝিল্লিটি লিপিড ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত। এ ঝিল্লির মাঝে মাঝে নিউক্লিয়ার রন্ধ্র থাকে।
নিউক্লিওপ্লাজম: নিউক্লিওপ্লাজম হলো নিউক্লিও ঝিল্লির অভ্যন্তরে জেলির ন্যায় বস্তু। এতে নিউক্লিক এসিড, প্রোটিন, উৎসেচক ও কতিপয় খনিজ লবণ থাকে।
নিউক্লিওলাস: নিউক্লিওপ্লাজমের মধ্যে ক্রোমোসোমের বিশেষ অংশের সাথে লাগানো গোলাকার বস্তু হলো নিউক্লিওলাস। এরা RNA ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত ।
ক্রোমাটিন জালিকা: কোষের আন্তঃবিভাজন বিরামকালীন সময়ে নিউক্লিয়াসে অবস্থিত ক্রোমোসোমসমূহ সংযুক্ত হয়ে কুণ্ডলি পাকানো সূক্ষ্ম সুতার ন্যায় ক্রোমাটিন জালিকার আকারে দেখা যায়। কোষ বিভাজনের সময় এরা বিভক্ত হয়ে মোটা ও খাটো ক্রোমোসোম হিসেবে দেখা যায়, যার মধ্যে বংশগতির গুণ বহনকারী জিন অবস্থান করে ।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্রে 'A' চিহ্নিত অংশটি হলো ক্রোমাটিন জালিকা। কোষের নিউক্লিয়াসে কুগুলি পাকানো সূক্ষ্ম সুতার ন্যায় এ অংশগুলোই মূলত ক্রোমোসোম। এতে অসংখ্য জিন থাকে।
জিন হলো জীবের সব দৃশ্য ও অদৃশ্যমান লক্ষণ বা বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী একক। জীবের সমস্ত চারিত্রিক ও গঠনগত বৈশিষ্ট্য জিনের মধ্যে নিহিত থাকে।
জিনগুলো জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও বংশগতির গুণাবলি, যেমন— মানুষের চোখের রং, চুলের প্রকৃতি, চুলের রং, চামড়ার গঠন ও রং, নাকের গঠন ও আকৃতি, মানবীয় গুণাবলি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে। এ জিনসমূহ ক্রোমোসোমের লোকাসে অবস্থান করে।
ক্রোমোসোমের কাজ হলো জননকোষের মাধ্যমে মাতা-পিতা হতে সন্তান-সন্ততিতে জিনকে বহন করা। এভাবে বিভিন্ন গঠন বৈশিষ্ট্য ক্রোমোসোম কর্তৃক বাহিত হয়ে বংশগতির ধারা অক্ষুণ্ণ রাখে।
তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, ক্রোমোসোম পুরুষানুক্রমে বংশের বৈশিষ্ট্য বহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মাইটোকন্ড্রিয়াকে শক্তিঘর বলা হয় কেন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মাইটোকন্ড্রিয়াকে শক্তিঘর বলা হয় কেন যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।