কুলির থ্যালাসেমিয়া বলতে কী বোঝ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কুলির থ্যালাসেমিয়া বলতে কী বোঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কুলির থ্যালাসেমিয়া বলতে কী বোঝ
‘X’একটি বংশগতির উপাদান যাতে নাইট্রোজেন বেস থাইমিন থাকে এবং 'Y' অন্য একটি বংশগতি বস্তু যাকে মেন্ডেল 'ফ্যাক্টর' বলে উল্লেখ করেন।
ক. কালার ব্লাইন্ড কী?
খ. কুলির থ্যালাসেমিয়া বলতে কী বোঝ ?
গ. উদ্দীপকে ‘X’ বংশগতি বস্তুটির বর্ণনা দাও।
ঘ. “Y” বংশগতির নিয়ন্ত্রক এর যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. কালার ব্লাইন্ড বা বর্ণান্ধতা হলো এমন এক অবস্থা যখন, কেউ কোনো রঙ সঠিকভাবে চিনতে পারে না।
খ. রক্তের লোহিত রক্তকণিকার এক অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত রোগের নাম থ্যালাসেমিয়া। দু'ধরনের থ্যালাসেমিয়া দেখা যায়, যথা- আলফা (a.) থ্যালাসেমিয়া এবং বিটা (B) থ্যালাসেমিয়া। বিটা (B) থ্যালাসেমিয়াকে ‘কুলির থ্যালাসেমিয়া' বলা হয়। B-গ্লোবিউলিন প্রোটিন উৎপাদন ব্যাহত হলে এই রোগ হয়ে থাকে।
গ. উদ্দীপকের 'X' হলো DNA, যা একটি বংশগতির উপাদান এবং এতে নাইট্রোজেন বেস থাইমিন থাকে। নিচে DNA-এর বর্ণনা দেওয়া হলো-
DNA দ্বিসূত্রক। দু'টি পলিনিউক্লিওটাইড সূত্র পরস্পরের সাথে লোহার সিঁড়ির মতো ডান দিকে প্যাচানো থেকে একটি ডাবল হেলিক্স গঠন করে। এ সিঁড়ির হাতল তৈরি হয় পাঁচ কার্বনবিশিষ্ট শর্করা (ডিঅক্সিরাইবোজ), নাইট্রোজেনঘটিত বেস ও অজৈব ফসফেট দ্বারা।
DNA-এর নাইট্রোজেন বেসগুলো হলো এডিনিন, গুয়ানিন, থাইমিন ও সাইটোসিন। একটি সূত্রের এডিনিন অন্য সূত্রের থাইমিনের সাথে দু'টি হাইড্রোজেন বন্ড দ্বারা (A=T) যুক্ত থাকে, আর গুয়ানিন অন্য সূত্রের সাইটোসিনের সাথে তিনটি হাইড্রোজেন বন্ড দ্বারা যুক্ত (G=C) থাকে ।
হেলিক্সের প্রতিটি পূর্ণ ঘূর্ণন ৩৪Å দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট। একটি পূর্ণ ঘূর্ণনের মধ্যে ১০টি নিউক্লিওটাইড থাকে। তাই পার্শ্ববর্তী দু'টি নিউক্লিওটাইডের দূরত্ব ৩.৪Å। DNA ডাবল হেলিক্সের ব্যাস সর্বত্র ২০Å ।
ঘ. উদ্দীপকে 'Y' দ্বারা যে বংশগতি বস্তু বোঝানো হয়েছে তা হলো জিন। মেন্ডেল বংশগতির ধারক ও বাহকরূপে যে ফ্যাক্টরের কথা উল্লেখ করেছিলেন সেটি আজ 'জিন' নামে পরিচিত।
জীবের সব অদৃশ্য ও | দৃশ্যমান লক্ষণ বা বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী এককের নাম জিন। এর অবস্থান জীবের ক্রোমোসোমে। এক জোড়া প্রতিরূপ ক্রোমোসোমে জিন জোড়ায় জোড়ায় অবস্থান করে। সাধারণত একটি বৈশিষ্ট্যের জন্য একটি নির্দিষ্ট জিন থাকে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে একাধিক | মিলিতভাবে একটি বৈশিষ্ট্য প্রকাশে সহায়তা করে। আবার কোনো কোনো সময় একটি জিন একাধিক বৈশিষ্ট্যও নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্ন গবেষণার তত্ত্ব থেকে জানা যায়, জিনই বংশগতির নিয়ন্ত্রক। বিভিন্ন | জীবে জিনের সংখ্যা এক নয়।
তবে একই প্রকৃতির জীবে তা প্রায় সবসময় একই থাকে। মাতাপিতা থেকে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য জিনের মাধ্যমে পরবর্তী বংশধরে প্রবাহিত হয় ।
সুতরাং আমরা বলতে পারি, জিনই বংশগতির নিয়ন্ত্রক।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কুলির থ্যালাসেমিয়া বলতে কী বোঝ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কুলির থ্যালাসেমিয়া বলতে কী বোঝ যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।