ক্রিস্টি কাকে বলে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ক্রিস্টি কাকে বলে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ক্রিস্টি কাকে বলে
ক. কোষ কী?
খ. ক্রিস্টি কাকে বলে?
গ. চিত্র-B এর গঠন বর্ণনা করো।
ঘ. চিত্র A এবং B এর অভাবে জীবজগতে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে? তোমার মতামত দাও।
প্রশ্নের উত্তর
ক. জীবদেহের গঠন ও কাজের এককই হলো কোষ ।
খ. মাইটোকন্ড্রিয়ার অভ্যন্তরের স্তরটি ভেতরের দিকে ভাঁজ হয়ে আঙ্গুলের মতো যে গঠন সৃষ্টি করে তাকে ক্রিস্টি বলে। ক্রিস্টির গায়ে বৃত্তযুক্ত গোলাকার বস্তু থাকে, একে অক্সিজোম বলে। অক্সিজোমে বিভিন্ন ধরনের উৎসেচক সাজানো থাকে।
গ. উদ্দীপকের 'B' চিহ্নিত অঙ্গাণুটি হলো মাইটোকন্ড্রিয়া। নিচে এর গঠন বর্ণনা করা হলো-
মাইটোকন্ড্রিয়া গোলাকার বা দত্তাকৃতির হয়ে থাকে। এটি দুটি আবরণী দিয়ে ঘেরা। আবরণী দুটি যথাক্রমে বহিঃআবরণী এবং অন্তঃআবরণী নামে পরিচিত। বহিঃআবরণী মসৃণ কিন্তু অন্তঃআবরণী নানাভাবে ভিতরের দিকে ভাজ হয়ে থাকে। এই ভাজগুলোকে বলা হয় ক্রিস্টি।
ক্রিস্টির গায়ে বৃত্তযুক্ত গোলাকার বস্তু থাকে, একে অক্সিজোম বলে। অক্সিজোমে বিভিন্ন ধরনের উৎসেচক সাজানো থাকে। মাইটোকন্ড্রিয়ার ভেতরে অর্ধতরল দানাদার পদার্থ থাকে, যাকে ম্যাট্রিক্স বলে। মাইটোকন্ড্রিয়ায় প্রায় ৭৩% প্রোটিন, ২৫% লিপিড এবং ০.৫% RNA থাকে।
ঘ. চিত্র-A ও চিত্র-B দ্বারা যথাক্রমে নিউক্লিয়াস ও মাইটোকন্ড্রিয়াকে নির্দেশ করা হয়েছে। নিউক্লিয়াস ও মাইটোকন্ড্রিয়ার অভাবে জীবজগতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
জৈবনিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া অর্থাৎ শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে এ নিউক্লিয়াস জীবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোষ অঙ্গাণু। কোষের স বিশেষ অঙ্গাণু। এ কারণেই নিউক্লিয়াসকে কোষের সকল কাজের নিয়ন্ত্রক বলা হয়।
নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরস্থ নিউক্লিওপ্লাজমে নিউক্লিক এসিড, প্রোটিন, উৎসেচক ও বিভিন্ন ধরনের খনিজ লবণ থাকে যা- | বিভিন্ন জৈবনিক প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট। এছাড়া নিউক্লিয়াস নিউক্লিওলাস, RNA ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত। এরা নিউক্লিক এসিড। সুতার মতো ক্রোমোসোমে বংশগতির উপাদান জিন অবস্থান করে যা মজুদ করেও প্রোটিন সংশ্লেষণ করে।
তবে নিউক্লিয়াসে অবস্থানকারী জীবের চারিত্রিক গুণাবলি নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এই বৈশিষ্ট্যগুলো স্থানান্তর করে।
কাজেই নিউক্লিয়াসের অভাবে জীবের শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ যেমন ব্যাহত হবে তেমনি চারিত্রিক গুণাবলিও এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে স্থানান্তরিত হবে না। অন্যদিকে, জীবের শ্বসনকার্যে সাহায্য করা মাইটোকন্ড্রিয়ার প্রধান কাজ।
শ্বসন ক্রিয়ার দ্বিতীয় ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ক্রেবস চক্রের বিক্রিয়াগুলো এ অঙ্গাণুর মধ্যেই সম্পন্ন হয়। ক্রেবস চক্রে অংশগ্রহণকারী সব উৎসেচক উপস্থিত থাকায় এ বিক্রিয়াগুলো মাইটোকন্ড্রিয়াতেই সম্পন্ন হয়।
ক্রেবস চক্রে সর্বাধিক শক্তি উৎপাদিত হয় । এজন্য মাইটোকন্ড্রিয়ারে কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র বা পাওয়ার হাউস বলা হয়।
এই শক্তি জীব তার বিভিন্ন কাজে খরচ করে। তাই মাইটোকন্ড্রিয়ার অভাবে জীবদেহে শক্তি উৎপন্ন হবে না। ফলে জীবদেহ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, নিউক্লিয়াস ও মাইটোকন্ড্রিয়ার অভাবে জীবের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেতে পারে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ক্রিস্টি কাকে বলে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ক্রিস্টি কাকে বলে যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।