কোষপ্রাচীর ও কোষঝিল্লির পার্থক্য বুঝিয়ে লেখো
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কোষপ্রাচীর ও কোষঝিল্লির পার্থক্য জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কোষপ্রাচীর ও কোষঝিল্লির পার্থক্য
ক. প্রোটোপ্লাজম কী?
খ. কোষপ্রাচীর ও কোষঝিল্লির পার্থক্য বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকের 'A' চিহ্নিত অঙ্গাণুটি সালোকসংশ্লেষণে কীভাবে ভূমিকা রাখে- ব্যাখ্যা করো।
ঘ. 'C' চিহ্নিত অঙ্গাণুটি সকল বিপাকীয় কার্যাবলির নিয়ন্ত্রণকারী- বিশ্লেষণ করো ।
প্রশ্নের উত্তর
ক. কোষের ভিতরে অর্ধস্বচ্ছ ও থকথকে জেলির ন্যায় বস্তুই প্রোটোপ্লাজম ।
খ. কোষপ্রাচীর মৃত বা জড়বস্তু দ্বারা গঠিত এবং প্রাথমিক কোষপ্রাচীরটি এক স্তরবিশিষ্ট। অন্যদিকে প্রোটোপ্লাজমের বাইরের স্থিতিস্থাপক পর্দাটি হলো কোষঝিল্লি এবং এটি দ্বি-স্তরবিশিষ্ট ।
গ. উদ্দীপকের চিত্রে নির্দেশিত 'A' চিহ্নিত অঙ্গাণুটি উদ্ভিদকোষের গুৰুত্বপূৰ্ণ অঙ্গাণু ক্লোরোপ্লাস্ট। পাতা, কচি কাণ্ড ও অন্যান্য সবুজ অংশে। এদের পাওয়া যায়।
পাতার মেসোফিল টিস্যু সালোকসংশ্লেষণের প্রধান স্থান। স্থলজ সবুজ উদ্ভিদ মাটি থেকে মূল দ্বারা শোষিত পানি এবং পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে CO2 মেসোফিল টিস্যুর ক্লোরোপ্লাস্টে পৌঁছায়। ক্লোরোপ্লাস্টে অবস্থিত গ্রানা অংশ সূর্যালোক আবদ্ধ করে।
আবার, ক্লোরোপ্লাস্টে ক্লোরোফিল নামক রঞ্জক উপস্থিত থাকে। অর্থাৎ, সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া সংঘটনের চারটি উপাদান–পানি, CO2, আলো! ও ক্লোরোফিল ক্লোরোপ্লাস্টের স্ট্রোমাতে উপস্থিত থাকে এবং প্রক্রিয়াটি সংঘটনে সহায়তা করে । আর এভাবেই, উদ্দীপকে উল্লিখিত ক্লোরোপ্লাস্ট সালোকসংশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্রে উল্লিখিত 'C' চিহ্নিত অঙ্গাণুটি হলো উদ্ভিদকোষের নিউক্লিয়াস, যা কোষের সকল বিপাকীয় কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-
নিউক্লিয়াসের আকৃতি গোলাকার, ডিম্বাকার বা নলাকার। নিউক্লিয়ার ঝিল্লি, নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিওলাস ও ক্রোমাটিন জালিকা নিয়ে নিউক্লিয়াস গঠিত। নিউক্লিওপ্লাজমে নিউক্লিক এসিড, প্রোটিন, উৎসেচক ও কতিপয় খনিজ লবণ থাকে।
নিউক্লিওলাস নিউক্লিক এসিড মজুদ ও প্রোটিন সংশ্লেষ করে। নিউক্লিয়াসের সূক্ষ্ম সুতার ন্যায় অংশ ক্রোমাটিন জালিকা ।
এগুলো পরবর্তীতে ক্রোমোসোমে রূপান্তরিত হয়। ক্রোমোসোমে অবস্থিত জিনগুলো বংশগতির গুণাবলী বহন করে এক প্রজন্ম হতে অন্য প্রজন্মে নিয়ে যায়। নিউক্লিয়াস দেহে প্রোটিন সংশ্লেষণ এবং সকল কোষীয় ক্রিয়াকল্প পরিচালনা করে।
ক্রোমোসোমের প্রধান উপাদান DNA প্রোটিন তৈরির কোডন বহন করে। এনজাইমের প্রধান উপাদান হলো প্রোটিন। এনজাইম কোষীয় শ্বসনসহ সকল বিপাকীয় কাজে ভূমিকা রাখে। আবার কোষে বিদ্যমান বিভিন্ন অঙ্গাণু বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করে ।
যেমন— ক্লোরোপ্লাস্টে সালোকসংশ্লেষণ এবং মাইটোকন্ড্রিয়ায় শ্বসন সংঘটিত হয়। আর, এসব অঙ্গাণুগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে নিউক্লিয়াস ।। উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, নিউক্লিয়াসই হলো সকল বিপাকীয় কার্যাবলির নিয়ন্ত্রণকারী।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কোষপ্রাচীর ও কোষঝিল্লির পার্থক্য
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কোষপ্রাচীর ও কোষঝিল্লির পার্থক্য যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।