কৈশিক জালিকা বলতে কী বোঝায়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কৈশিক জালিকা বলতে কী বোঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কৈশিক জালিকা বলতে কী বোঝায়
ক. অভিস্রবণ কী?
খ. কৈশিক জালিকা বলতে কী বোঝ?
গ. A থেকে C অংশে পানির আরোহণ প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্ভিদে B প্রক্রিয়াটির উপকারি এবং অপকারি দুই ভূমিকাই রয়েছে- বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ একটি বৈষম্যভেদ্য ঝিল্লি দ্বারা পাশাপাশি। পৃথক থাকলে দ্রাবক পদার্থ যে প্রক্রিয়ায় তার নিম্ন ঘনত্বের দ্রবণ থেকে উচ্চ ঘনত্বের দ্রবণের দিকে ব্যাপিত হয় সেই প্রক্রিয়াই হলো অভিস্রবণ।
খ. ধমনি ও শিরার সংযোগস্থলে অবস্থিত কেবল একস্তরবিশিষ্ট। এন্ডোথেলিয়াম দ্বারা গঠিত যেসব সূক্ষ্ম রক্তনালি জালকের আকারে বিন্যস্ত থাকে তাদেরকে কৈশিক জালিকা বলে।
কৈশিক জালিকায় রক্ত ও কলারসের মধ্যে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় পুষ্টিদ্রব্য, অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, রেচন পদার্থ ইত্যাদির আদান-প্রদান ঘটে।
গ. উদ্দীপকের 'A' অংশটি হলো মূলরোম এবং 'C' অংশটি হলো পাতা। পানি উদ্ভিদের মূলরোম দিয়ে পরিবহন ও পরিশোষণ পদ্ধতিতে পাতায় পৌছায়। নিচে পানির এ আরোহণ প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করা হলো-
মূলত মূলরোম দিয়ে পানি শোষিত হয়ে অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় কর্টেক্সের মধ্য দিয়ে জাইলেমের ভেসেলে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে ধীরে ধীরে পাতায় গিয়ে পৌঁছে। মূলরোম হতে পাতায় পানির এই পরিবহনকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. মাটিস্থ পানি মূলরোম থেকে মূলের পরিবহন কলায় পৌছানো ও
২. মূলের পরিবহন কলা থেকে পাতায় পরিবহন।
প্রথম ধাপে অভিস্রবণ, ব্যাপন ও প্রস্বেদন টান ইত্যাদি পানি পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মূলরোম দ্বারা শোষিত পানি অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় মূলরোম থেকে পাশের কোষে গমন করে।
ঐ কোষ থেকে তা পুনরায় পাশের কোষে যায়। এভাবে কোষ থেকে কোষে পানি চলতে চলতে একসময় মূলের পরিবহন টিস্যু হয়ে, এবং কাণ্ডের পরিবহন কলা বেয়ে পাতার মেসোফিল কলায় পৌঁছায়।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত 'B' প্রক্রিয়াটি হলো প্রস্বেদন। এ প্রক্রিয়ার উপকারি এবং অপকারি দুই ভূমিকাই রয়েছে। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো—
প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার উপরে সজীর উদ্ভিদকোষের বিপাকীয় কার্যক্রম অনেকাংশে নির্ভরশীল। প্রস্বেদনের ফলে জাইলেম বাহিকায় টান পড়ে। এই টানের ফলে উদ্ভিদের মূলরোম কর্তৃক শোষিত পানি ও খনিজ লবণ পাতায় পরিবাহিত হয়।
এ টানের ঘাটতি হলে পানি শোষণ কমে যাবে এবং খাদ্য প্রস্তুতসহ অনেক বিপাকীয় কার্যক্রম ধীর হয়ে যাবে।
প্রস্বেদনের ফলে পাতার মেসোফিল ব্যাপন চাপ ঘাটতি সৃষ্টি হয় যা পানি শোষণে সাহায্য করে। উদ্ভিদ প্রস্বেদনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পত্রফলক কর্তৃক শোষিত তাপশক্তি হ্রাস করে পাতার কোষগুলোর তাপমাত্রা সহনশীল পর্যায়ে রাখে।
অন্যদিকে, গুরুত্বপূর্ণ এই প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদের বহু ধরনের উপকার করলেও এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে।
যদি পানি শোষণের চেয়ে প্রস্বেদনে পানি হারানোর হার অধিক হয় তবে উদ্ভিদের জন্য পানি, খনিজের ঘাটতি দেখা দেবে। এর ফলে উদ্ভিদটির মৃত্যুও হতে পারে।
মাটিতে পানির ঘাটতি থাকলে শোষণ কম হবে কিন্তু প্রস্বেদন পূর্বের মতো চলতে থাকবে। এ অবস্থাকে ঠেকাতে প্রকৃতি শীত মৌসুমে বহু উদ্ভিদের পাতা ঝরিয়ে দেয়। প্রস্বেদনের অভাবে প্রয়োজনীয় ব্যাপন চাপের ঘাটতি হয় না, ফলে অ কম হয়।
তাই উপরের আলোচনা থেকে এটা প্রতীয়মান হয় যে, প্রস্বেদন প্রক্রিয়াটির উপকারি ও অপকারি দুই ভূমিকাই বিদ্যমান।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কৈশিক জালিকা বলতে কী বোঝায়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কৈশিক জালিকা বলতে কী বোঝায় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।