খাদ্যপ্রাণ বলতে কি বুঝায়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো খাদ্যপ্রাণ বলতে কি বুঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের খাদ্যপ্রাণ বলতে কি বুঝায়
ক. BMI কী?
খ. খাদ্যপ্রাণ বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত 'X' কে 'P' কীভাবে পরিপাক করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের 'A' অংশে পরিপাককৃত খাদ্যরস কীভাবে শোষিত হয়? বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. BMI হলো মানবদেহের গড়ন ও চর্বির একটি নির্দেশিত সূচকই হলো BMI।
খ. জীবদেহের স্বাভাবিক পুষ্টি, বৃদ্ধি এবং অন্যান্য জৈবিক কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অতি প্রয়োজনীয়, স্বল্প পরিমাণে খাদ্যে উপস্থিত জৈব-রাসায়নিক পদার্থ হলো খাদ্যপ্রাণ ।
খাদ্যপ্রাণ একপ্রকার জৈব অনুঘটক। এটি জীবদেহে কোনো শক্তি উৎপন্ন করে না। সাধারণত খাদ্যপ্ৰাণ উদ্ভিদদেহে সংশ্লেষিত হয়। এটি বিপাক ক্রিয়ায় উৎসেচকের সাথে কো-এনজাইম হিসেবে কাজ করে।
গ. উদ্দীপকে 'X' হলো স্নেহপদার্থ এবং 'P' হলো লাইপেজ এনজাইম। কারণ, লাইপেজ এনজাইমই স্নেহ পদার্থকে ভেঙ্গে ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে পরিণত করে। এখানে স্নেহপদার্থ (X) পরিপাকে লাইপেজ এনজাইম (P) যেভাবে কাজ করে তা তুলে ধরা হলো-
ক্ষুদ্রান্ত্রে স্নেহপদার্থের পরিপাক ঘটে থাকে। যকৃত থেকে নিঃসৃত পিত্তরসের অন্যতম উপাদান পিত্তলবণ প্রথমে স্নেহ পদার্থের ক্ষুদ্র কণাগুলোকে পানির সাথে মিশতে সাহায্য করে। লাইপেজের কাজ সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য পিত্তলবণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
এ লবণের সংস্পর্শে স্নেহপদার্থ সাবানের ফেনার মতো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানায় পরিণত হয়। স্নেহবিশ্লেষক লাইপেজ এনজাইম পরবর্তীতে এই ক্ষুদ্র দানাগুলোকে ভেঙ্গে ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে পরিণত করে। এভাবে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে লাইপেজ এনজাইম দ্বারা স্নেহপদার্থ পরিপাক হয়।
ঘ. উদ্দীপকের 'A' অংশটি হলো ক্ষুদ্রান্ত্রের ভিলাই। ক্ষুদ্রান্ত্রের ভিলাই অংশেই সব ধরনের খাদ্য সম্পূর্ণরূপে নির্দিষ্ট এনজাইমের ক্রিয়ায় পরিপাক হয়ে সরল শোষণযোগ্য খাদ্যরসে পরিণত হয়।
প্রতিটি ভিলাসের মধ্যস্থলে ল্যাকটিয়াল নামক লসিকা নালি রক্তের কৈশিক নালির জালিকা দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে।
এখানে পরিপাককৃত শোষণযোগ্য খাদ্যরস ব্যাপন প্রক্রিয়ায় ভিলাসের ল্যাকটিয়ালে শোষিত হওয়ার পর লসিকা দ্বারা বাহিত হয়ে রক্তস্রোতে মিশে।
কৈশিক নালির মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় নালির প্রাচীর ভেদ করে জলীয় পদার্থ বের হয়। এই জলীয় পদার্থকে লসিকা বলে।
লসিকা খাদ্য উপাদান সরবরাহ করে কোষে পৌঁছে দেয় এবং দূষিত পদার্থ সংগ্রহ করে রক্তস্রোতে ফিরে আসে। এভাবে 'A' অংশে পরিপাককৃত সরল খাদ্য উপাদান,
যেমন— অ্যামাইনো এসিড, গ্লুকোজ, ফ্যাটি এসিড, গ্লিসারল ইত্যাদি ভিলাসের ল্যাকটিয়ালে শোষিত হয়ে কৈশিক নালির মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহের সময় লসিকা থেকে দেহকোষে প্রবেশ করে বা দেহকোষ দ্বারা শোষিত হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ খাদ্যপ্রাণ বলতে কি বুঝায়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম খাদ্যপ্রাণ বলতে কি বুঝায় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।