কার্ডিয়াক পেশি কি
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কার্ডিয়াক পেশি কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কার্ডিয়াক পেশি কি
ক. প্রকৃত কোষ কী?
খ. কার্ডিয়াক পেশি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের A চিহ্নিত অংশের গঠন ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের X ও Y এর গঠন ও কার্ষিক মিল-অমিল বিশ্লেষণ করো ৷
প্রশ্নের উত্তর
ক. সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট অর্থাৎ সুকেন্দ্রিক কোষই হলো প্রকৃত কোষ ।
খ. কার্ডিয়াক পেশি হলো মেরুদণ্ডী প্রাণীদের হূৎপিণ্ডের এক বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক পেশি। এই পেশি টিস্যুর কোষগুলো নলাকৃতি, শাখান্বিত ও আড়াআড়ি দাগযুক্ত।
কার্ডিয়াক পেশির সংকোচন ও প্রসারণ প্রাণীর ইচ্ছাধীন নয়। এ পে শির গঠন ঐচ্ছিক পেশির মতো হলেও কাজ অনৈচ্ছিক পেশির মতো। হূৎপিণ্ডের কার্ডিয়াক পেশি সমন্বিতভাবে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়।
গ. উদ্দীপকের 'A' চিহ্নিত অংশটি হলো উদ্ভিদ কোষপ্রাচীর। এ কোষপ্রাচীর মৃত বা জড়বন্ত দ্বারা গঠিত। এর রাসায়নিক গঠন বেশ জটিল যা সেলুলোজ, হেমিসেলুলোজ, লিগনিন, গ্লাইকোপ্রোটিন, পেকটিন, সুবোরন নামক রাসায়নিক পদার্থ সমন্বয়ে গঠিত।
তবে ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীর প্রোটিন, লিপিড ও পলিস্যাকারাইড দ্বারা গঠিত। ছত্রাকের কোষপ্রাচীর কাইটিন নির্মিত।
একটি বিকশিত কোষপ্রাচীর তিনটি স্তরে বিভক্ত। যথা- i. প্রাথমিক প্রাচীর ii. গৌণপ্রাচীর এবং iii. মধ্যপর্দা। প্রাথমিক প্রাচীরটি একস্তর বিশিষ্ট।
এখানে প্রধানত সেলুলোজ, হেমিসেলুলোজ ও গ্লাইকোপ্রোটিন থাকে। প্রাথমিক ও গৌণপ্রাচীরের মাঝে থাকে মধ্যপদী। মধ্যপর্দায় অধিক পরিমাণে পেকটিক এসিড থাকে।
মধ্যপর্দার উপর প্রোটোপ্লাজম থেকে নিঃসৃত কয়েক প্রকারের রাসায়নিক দ্রব্য জমা হয়ে ধীরে ধীরে গৌণ প্রাচীর সৃষ্টি হয় । অনেক গৌণ প্রাচীরে লিগনিন জমা হতে দেখা যায় ।
ঘ. উদ্দীপকের 'X' ও 'Y' যথাক্রমে ট্রাকিড ও স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যু। এদের গঠন ও কাজের মধ্যে অনেক মিল, আবার কিছু ক্ষেত্রে অমিলও রয়েছে। যেমন—
i. স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যুর (Y) কোষগুলো শক্ত পুরু প্রাচীর বিশিষ্ট। গঠনগত দিক থেকে এ টিস্যুর কোষগুলো দু'ধরনের। যথা— ফাইবার কোষ এবং স্টোনকোষ। ফাইবার কোষের প্রান্তদ্বয়, সরু সুঁচালো এবং এরা বেশ লম্বা। আবার স্টোন কোষ সাধারণত গোলাকার।
অন্যদিকে, ট্রাকিড় কোষও (X) বেশ লম্বা এবং পুরু প্রাচীর বিশিষ্ট। কিন্তু গঠনগত দিক দিয়ে এরাও স্ক্লেরেনকাইমা ধরনের।
ii. পরিণত অবস্থায় উভয় কোষই মৃত এবং, প্রোটোপ্লাজমবিহীন হয়ে যায় ।
iii. উভয় কোষের প্রাচীর গাত্রে লিগনিন জমা হয়ে প্রাচীর অনেক পুরু হয়।
iv. ট্রাকিডে প্রাচীরের পুরুত্ব কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। যেমন— বলয়াকার, সর্পিলাকার, সোপানাকার, জালিকাকার ও কৃপাঙ্কিত। কিন্তু স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যুর কোষের ক্ষেত্রে প্রাচীরের পুরুত্বে এ ধরনের বৈচিত্র্য দেখা যায় না ।
v. ট্রাকিড কোষে সাধারণত কোনো ফাঁকা স্থান থাকে না; কিন্তু স্ক্লেরেনকাইমা টিস্যুর কোষে ফাঁকা স্থান দেখা যায়, যাকে লুমেন বলে।
vi. X ও Y উভয়ই উদ্ভিদ অঙ্গকে দৃঢ়তা প্রদান করে।
vii. উভয়ই পানি এবং খনিজ লবণ পরিবহনে ভূমিকা রাখে।
viii. ট্রাকিড (X) অনেক সময় খাদ্য সঞ্চয়ের কাজ করে থাকলেও স্ক্লেরেনকাইমা (Y) খাদ্য সঞ্চয়ের কাজে কোনো ভূমিকা রাখে না, তবে কাঠ তৈরিতে এর ভূমিকা রয়েছে।
সুতরাং, এ আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, উদ্দীপকের 'X' ও 'Y' এর গঠন ও কাজে অনেক মিল থাকলেও, কিছু ক্ষেত্রে অমিলও রয়েছে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কার্ডিয়াক পেশি কি
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কার্ডিয়াক পেশি কি যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।