জেরোফথ্যালমিয়া বলতে কী বোঝ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো জেরোফথ্যালমিয়া বলতে কী বোঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের জেরোফথ্যালমিয়া বলতে কী বোঝ
জীববিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষক মানবদেহে পরিপাক প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। এছাড়াও তিনি অনিয়মিত খাদ্যাভাসের ফলে আন্ত্রিক সমস্যা এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন।
ক. রাফেজ কী?
খ. জেরোফথ্যালমিয়া বলতে কী বোঝ?
গ. উপরের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াটি কীভাবে তোমার দেহে ঘটে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের শেষের বাক্যটি ব্যাখ্যাসমেত আলোচনা করো ।
প্রশ্নের উত্তর
ক. শস্যদানা, ফলমূল, সবজি ইত্যাদিতেও উপস্থিত আঁশ বা তন্তুর ন্যায় অপাচ্য অংশই হলো রাফেজ।
খ. ভিটামিন 'এ' এর অভাবে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জেরোফথ্যালমিয়া রোগটি হয়। এতে চোখের সংবেদী 'রড' কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভিটামিন 'এ' এর অভাব পূরণ না হলে রোগটির মাত্রা ও তীব্রতা বাড়তে। থাকে।
জেরোফথ্যালমিয়ার সাত থেকে আটটি মাত্রা রয়েছে, যার সর্বনিম্ন মাত্রা হচ্ছে রাতকানা। সাধারণত দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের মধ্যে এ রোগটি বেশি পরিলক্ষিত হয়।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াটি হলো পরিপাক ক্রিয়া। নিচে পরিপাক প্রক্রিয়াটি কীভাবে আমাদের দেহে ঘটে তা ব্যাখ্যা করা হলে মুখগহ্বরে দাঁত, জিহ্বা ও লালাগ্রন্থি থাকে।
খাদ্যগ্রহণের পর ত খাদ্যকে ছোট ছোট অংশে পরিণত করে এবং জিহ্বার খাদ্যবস্তুকে নাড়িয়ে চিবাতে সাহায্যে করে।
লালাগ্রন্থি নিঃসৃত লালারসে এনজাইম থাকে যা শ্বেতসারকে মলটোজে পরিণত করে এবং খাদ্যবস্তুকে পিচ্ছিল করে।
খাদ্যবস্তু পেরিস্ট্যালসিস প্রক্রিয়ায় মুখগহ্বর থেকে অন্ননালির মাধ্যমে পাকস্থলিতে প্রবেশ করে। পাকস্থলির গ্যান্টিকগ্রন্থি থেকে নিঃসৃত গ্যাস্ট্রিক রসে বিদ্যমান হাইড্রোক্লোরিক এসিড খাদ্যে কোন জীবাণু থাকলে তা বিনষ্ট করে।
এছাড়া নিষ্ক্রিয় পেপসিনোজেনকে সক্রিয় পেপসিনে পরিণত করে এবং পেপসিনের সুষ্ঠু কাজের জন্য অম্লীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে। পেপসিন এনজাইম আমিষকে ভেঙ্গে দুই বা ততোধিক অ্যামাইনো এসিড দ্বারা গঠিত পলিপেপটাইডে পরিণত করে।
পাকস্থলিতে শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাদ্যের পরিপাক হয় না। ক্ষুদ্রান্ত্রে সকল ধরনের খাদ্যবস্তু সম্পূর্ণভাবে পরিপাক হয়ে সরল, শোষণযোগ্য খাদ্য উপাদানে পরিবর্তিত হয়।
বিভিন্ন নালিকার মধ্যদিয়ে খাদ্য উপাদান পরিবাহিত হয় এবং শোষণের পর পাকমণ্ডের অবশিষ্টাংশ কোলনে পৌছে।
কোলনে কোন পরিপাক হয় না। খাদ্যের অসার অংশ থেকে পানি, আমিষ, লিপিড ও লবণ শোষিত হয়। ফলে এটির উচ্ছিষ্ট অংশ মলে পরিণত হয় এবং প্রয়োজন মতো পায়ুপথে নিষ্কাশিত হয়।
ঘ. উদ্দীপকে অনিয়মিত খাদ্যাভাসের ফলে আন্ত্রিক সমস্যার কথা বলা হয়েছে। আন্ত্রিক সমস্যার কারণে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়। নিচে শারীরিক অসুবিধা বা রোগগুলো এবং তা প্রতিকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো তুলে ধরা হলো--
অজীর্ণতা: এক্ষেত্রে খাদ্য হজমে ব্যাঘাত ঘটে। একে বদহজমও বলা হয় ।
প্রতিকার:
-শুধুমাত্র ক্ষুধা লাগলেই খাওয়া উচিত, তবে অতিভোজন করা যাবে না ।
-ধীরে ধীরে উত্তমরূপে খাবার চিবিয়ে খেতে হবে।
-ধূমপান পরিহার করতে হবে এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে ।
কোষ্ঠকাঠিন্য: এক্ষেত্রে রোগীর পায়খানা খুব শক্ত হয় এবং দুদিন বা আরো বেশিদিন পায়খানা হয় না ।
প্রতিকার:
-নিয়মিত শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে।-
-প্রচুর পানি পান করতে হবে ।
-প্রতিদিন আঁশযুক্ত বা রাফেজ খাবার খেতে হবে।-
-নিয়মিত মল ত্যাগের অভ্যাস করতে হবে।
গ্যাস্ট্রিক আলসার: এটি অন্ত্রের প্রদাহ বা ক্ষত ।
প্রতিকার:
-নিয়মিত সহজপাচ্য খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
-অধিক তেল ও মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
-নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং কফি, সিগারেট বর্জন করতে হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ জেরোফথ্যালমিয়া বলতে কী বোঝ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম জেরোফথ্যালমিয়া বলতে কী বোঝ যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।