জেনেটিক ডিসঅর্ডার কি | জেনেটিক ডিসঅর্ডার কাকে বলে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো জেনেটিক ডিসঅর্ডার বলতে কী বোঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের জেনেটিক ডিসঅর্ডার কেন হয়
R: দ্বি-সূত্রক বংশগতিবস্তু
S: R এর অনুপস্থিতিতে বংশগতিবস্তু
ক. থ্যালাসেমিয়া মেজর কী?
খ. জেনেটিক ডিসঅর্ডার বলতে কী বোঝায়?
গ. R এর অনুলিপন পদ্ধতি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. R ও S এর মধ্যকার সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যগুলো ব্যাখ্যা করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. যখন কোনো শিশু তার বাবা-মা উভয়ের নিকট থেকেই থ্যালাসেমিয়ার জিন পেয়ে থাকে তখন সে ধরনের থ্যালাসেমিয়াই হলো, থ্যালাসেমিয়া মেজর।
খ. যে সকল রোগ বংশগতভাবে হয়ে থাকে তাকে জেনেটিক ডিসঅর্ডার বা বংশগত ব্যাধি বলা হয়। বর্ণান্ধতা এবং থ্যালাসেমিয়া জেনেটিক ডিসঅর্ডারের উদাহরণ।
বর্ণান্ধতা এমন এক অবস্থা যখন কেউ কোনো রং সঠিকভাবে চিনতে পারেনা। থ্যালাসেমিয়া বলতে লোহিত রক্তকণিকার অস্বাভাবিকতা বোঝায়। এসব রোগ মানুষের বংশগতভাবে হয়ে থাকে ।
গ. উদ্দীপকে নির্দেশিত R হলো DNA। DNA অনুলিপন প্রক্রিয়ায় একটি DNA অণু থেকে আর একটি নতুন DNA অণু তৈরি হয় বা সংশ্লেষিত হয় ।
DNA অর্ধ-রক্ষণশীল পদ্ধতিতে অনুলিপিত হয়। এই পদ্ধতিতে DNA সূত্র দুটি হাইড্রোজেন বন্ধন ভেঙে গিয়ে আলাদা হয় এবং প্রতিটি সূত্র তার পরিপূরক নতুন সূত্র সৃষ্টি করে।
পরে একটি পুরাতন সূত্র ও একটি নতুন সূত্র সংযুক্ত হয়ে DNA অণুর সৃষ্টি হয়। একটি পুরাতন মাতৃসূত্রক এবং একটি নতুন সৃষ্ট সূত্রকের সমন্বয়ে গঠিত বলে একে অর্ধ-রক্ষণশীল পদ্ধতি বলে।
১৯৫৬ সালে Watson 3 Crick এ ধরনের DNA অনুলিপন প্রক্রিয়ার প্রস্তাব করেন ।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত R ও S হলো যথাক্রমে DNA ও RNA । নিচে এদের মধ্যকার সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যগুলো ব্যাখ্যা করা হলো—
সাদৃশ্য: DNA ও RNA উভয়ই বংশগতি বস্তু। এরা ক্রোমোসোমের রাসায়নিক উপাদান। এরা উভয়ই জীবদেহে নিউক্লিক এসিড হিসেবে থাকে।
এদের উভয়ের গঠনে থাকে পেন্টোজ শ্যুগার, নাইট্রোজেন বেস বা ক্ষার এবং ফসফেট। বৈসাদৃশ্য: RNA হচ্ছে রাইবোনিউক্লিক এসিড । অপরদিকে DNA হলো ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড। RNA একটি শিকল বিশিষ্ট হলেও DNA দুটি পলিনিউক্লিওটাইড শিকল বিশিষ্ট।
RNA অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একসূত্রক, কিন্তু DNA সব সময়ই দ্বিসূত্রক RNA এর পাইরিমিডিন বেস হচ্ছে সাইটোসিন ও ইউরাসিল।
অন্যদিকে DNA এর পাইরিমিডিন বেস হচ্ছে সাইটোসিন ও থাইমিন । RNA নিজের প্রতিরূপ সৃষ্টি করতে পারে না, কিন্তু DNA তা পারে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ জেনেটিক ডিসঅর্ডার বলতে কী বোঝায়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম জেনেটিক ডিসঅর্ডার বলতে কী বোঝায় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।