জাইলেম প্যারেনকাইমা কাকে বলে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো জাইলেম প্যারেনকাইমা কাকে বলে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের জাইলেম প্যারেনকাইমা কাকে বলে
জীববিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষক বললেন, স্বভোজী জীবের কোষে A ও B দুটি আবরণী স্তর রয়েছে। এর মধ্যে A জীবিত ও B মৃত। এছাড়া উদ্ভিদ ও প্রাণীর উভয় কোষেই একটি অঙ্গাণু রয়েছে, যা প্রয়োজনীয় শক্তি তৈরি করে ও নিয়ন্ত্রণ করে।
ক. ক্লোরেনকাইমা কী?
খ. জাইলেম প্যারেনকাইমা কাকে বলে?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত কোষ এবং যে কোষে B অনুপস্থিত তার মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের শেষে আলোচিত অঙ্গাণুটি জীবের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে— বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. ক্লোরেনকাইমা হলো ক্লোরোপ্লাস্টযুক্ত প্যারেনকাইমা।।
খ. জাইলেমে অবস্থিত প্যারেনকাইমা কোষকে বলা হয় জাইলেম প্যারেনকাইমা। প্রাইমারি জাইলেমে অবস্থিত প্যারেনকাইমার কোষ পাতলা প্রাচীরযুক্ত । তবে গৌণ জাইলেমের এরা পুরু প্রাচীরযুক্ত হয়ে থাকে।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত কোষটি হলো উদ্ভিদকোষ এবং যে কোষে B অনুপস্থিত তা হলো প্রাণিকোষ। উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো-
উদ্ভিদকোষে জড় কোষপ্রাচীর বিদ্যমান। কিন্তু প্রাণিকোষে কোনো কোষপ্রাচীর নেই। উদ্ভিদকোষে প্লাস্টিড থাকে। প্রাণিকোষে প্লাস্টিড থাকে না। উদ্ভিদকোষে কোনো সেন্ট্রোসোম নেই। অপরদিকে প্রাণিকোষে সেন্ট্রোসোম থাকে।
উদ্ভিদকোষে বড় আকারের কোষ গহ্বর বিদ্যমান। কিন্তু প্রাণিকোষে কোষ গহ্বর নেই। উদ্ভিদকোষের কোষপ্রাচীর সেলুলোজ নির্মিত। প্রাণিকোষে কোষপ্রাচীর না থাকায় তা শুধু প্লাজমা ঝিল্লি দিয়ে বেষ্টিত। উদ্ভিদকোষে সঞ্চিত খাদ্য মূলত শ্বেতসার। প্রাণিকোষের সঞ্চিত খাদ্য গ্লাইকোজেন ।
ঘ. উদ্দীপকের শেষে আলোচিত অঙ্গাণুটি হলো মাইটোকন্ড্রিয়া। মাইটোকন্ড্রিয়া জীবদেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি জীবের। যাবতীয় কাজের জন্য শক্তি উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণ করে।
জীবের প্রতিটি প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য শক্তি প্রয়োজন। আর এ শক্তি আসে শ্ব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে । কাজেই শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে জীবের সকল জৈবিক প্রক্রিয়া সচল রাখার ক্ষেত্রে শ্বসন প্রক্রিয়ার প্রভাব অপরিসীম। আবার জীবের এ শ্বসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় মাইটোকন্ড্রিয়াতে।
এ কারণে মাইটোকন্ড্রিয়াকে বলা হয় কোষের শক্তিঘর। মাইটোকন্ড্রিয়াতে শ্বসনের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম, কো-এনজাইম ইত্যাদি থাকে। শ্বসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় যেমন- ক্রেবস চক্র, ইলেক্ট্রন ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম ও অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন মাইটোকন্ড্রিয়াতে সম্পন্ন হয়।
এ কারণে জীবদেহে যদি মাইটোকন্ড্রিয়া না থাকে তবে ATP তথা শক্তি উৎপাদন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে জীবদেহের সকল জৈবিক ক্রিয়াও ধীরে ধীরে থেমে যাবে। আর এর পরিনতিতে জীবদেহ মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়বে।
শুধু তাই নয় মাইটোকন্ড্রিয়া জীবের শুক্রাণু ও ডিম্বাণু গঠনেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। সুতরাং, মাইটোকন্ড্রিয়ার অনুপস্থিতিতে জীবদেহে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু তৈরি বাধাগ্রস্ত হবে।
ফলে জীবের সঠিক বংশবিস্তার ধারা ব্যাহত হবে। আলোচনার শেষে একথা বলা যায় যে, মাইটোকন্ড্রিয়ার অনুপস্থিতি জীবকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে। পাশাপাশি তাদের বংশগতির ধারাকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ জাইলেম প্যারেনকাইমা কাকে বলে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম জাইলেম প্যারেনকাইমা কাকে বলে যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।