ফুল ও ফল রঙিন হয় কেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ফুল ও ফল রঙিন হয় কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ফুল ও ফল রঙিন হয় কেন
ক. টনোপ্লাস্ট কী?
খ. ফুল ও ফল রঙিন হয় কেন?
গ. উদ্ভিদ জীবনে 'M' কলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের A, B, C এর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. যে পাতলা পর্দা কোষগহ্বরকে বেষ্টন করে রাখে তাই হলো টনোপ্লাস্ট।
খ. ক্রোমোপ্লাস্টের কারণে ফুল ও ফল রঙিন হয়। এরা রঙিন প্লাস্টিড তবে এরা সবুজ নয়। এসব প্লাস্টিড জ্যান্থফিল, ক্যারোটিন, ফাইকোএরিথ্রিন, ফাইকোসায়ানিন ইত্যাদি বর্ণের কণিকা ধারণ করে তাই কোনোটিকে হলুদ, কোনোটিকে নীল আবার কোনোটিকে লাল দেখায়।
এদের মিশ্রণজনিত কারণে ফুল, ফল ও উদ্ভিদের অন্যান্য অংশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠে ।
গ. উদ্দীপকের 'M' চিহ্নিত কলাটি হলো জটিল কলা বা টিস্যু। উদ্ভিদ জীবনে জটিল কলার গুরুত্ব অপরিসীম। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো- উদ্ভিদে পরিবহনের কাজ করায় জটিল টিস্যুকে পরিবহন টিস্যুও বলা হয়ে থাকে ।
জাইলেম ও ফ্লোয়েম নিয়ে গঠিত জটিল টিস্যু উদ্ভিদদেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জাইলেম টিস্যু পানি ও পানিতে দ্রবীভূত খনিজ লবণ গাছের পাতায় ও অন্যান্য সবুজ অংশে পরিবহন করে। জাইলেম ট্রাকিড ও জাইলেম ফাইবার উদ্ভিদ অঙ্গকে দৃঢ়তা প্রদান করে।
জাইলেম প্যারেনকাইমা অনেক সময় খাদ্য সঞ্চয় এবং পরিবহনে ভূমিকা রাখে। আবার, ফ্লোয়েম টিস্যু পাতায় তৈরিকৃত খাদ্যকে উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গে পৌঁছে দেয়।
ফ্লোয়েম প্যারেনকাইমা এবং সঙ্গীকোষ উদ্ভিদদেহে খাদ্য | সঞ্চয় করে। ফ্লোয়েম স্ক্লেরেনকাইমা উদ্ভিদকে দৃঢ়তা প্রদান করে।
অনেক সময় ফ্লোয়েম স্ক্লেরেনকাইমা উদ্ভিদদেহের বাইরে তন্তু বা আঁশ তৈরির | মাধ্যমে বাইরের প্রতিকূল পরিবেশ থেকে উদ্ভিদকে রক্ষা করে। উপরিউক্ত কার্যক্রমগুলো সম্পাদনের মাধ্যমে জটিল টিস্যু উদ্ভিদদেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।
ঘ. উদ্দীপকের A, B ও C দ্বারা যথাক্রমে প্যারেনকাইমা, কোলেনকাইমা ও স্ক্লেরেনকাইমা কলাকে বোঝানো হয়েছে। নিচে এদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হলো—
আকার, আকৃতি ও গঠনের দিক থেকে অভিন্ন হওয়ায় এই কলাগুলো সরল কলার অন্তর্ভুক্ত। উন্নত শ্রেণির উদ্ভিদে এদের দেখা যায়। প্যারেনকাইমা ও কোলেনকাইমা কলার কোষগুলো জীবিত হলেও স্ক্লেরেনকাইমা কলার কোষগুলো মৃত।
প্যারেনকাইমার কোষপ্রাচীর পাতলা এবং স্ক্লেরেনকাইমার কোষপ্রাচীর সমান পুরু। কোলেনকাইমার কোষপ্রাচীর অসমভাবে পুরু।
প্যারেনকাইমার কোষগুলো গোলাকার, ডিম্বাকার ও বহুভূজাকৃতির হয়। স্ক্লেরেনকাইমা কলার কোষগুলো কোলেনকাইমার মতো লম্বাকৃতির হয়।
কোলেনকাইমা ও প্যারেনকাইমার কোষগুলো সেলুলোজ নির্মিত, তবে স্ক্লেরেনকাইমা কোষপ্রাচীর লিগনিনযুক্ত হয়। স্ক্লেরেনকাইমাতে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকতে পারে।
প্যারেনকাইমার কোষগুলো কোলেনকাইমার মতো প্রোটোপ্লাজমযুক্ত হলেও স্ক্লেরেনকাইমা সর্বদা প্রোটোপ্লাজমবিহীন হয়। খাদ্যপ্রস্তুত, খাদ্য সঞ্চয় ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন করা প্যারেনকাইমার প্রধান কাজ।
তবে এরা কোলেনকাইমা ও স্ক্লেরেনকাইমার ন্যায় উদ্ভিদ দেহে দৃঢ়তা প্রদান করে না। কোলেনকাইমা খাদ্য প্রস্তুত করে। অপরদিকে, স্ক্লেরেনকাইমা পানি ও খনিজ লবণ পরিবহনে অংশগ্রহণ করে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ফুল ও ফল রঙিন হয় কেন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ফুল ও ফল রঙিন হয় কেন যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।