ফ্লুইড অফ লাইফ বলতে কি বুঝায়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো “ফ্লুইড অফ লাইফ” বলতে কী বোঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের পানিকে ফ্লুইড অফ লাইফ বলা হয় কেন
ক. কোষরস কী?
খ. “ফ্লুইড অফ লাইফ” বলতে কী বোঝ?
গ. চিত্র-A এর প্রক্রিয়াটি একটি বিশেষ ধরনের ব্যাপন কারণ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. চিত্র-A এর প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ-বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. কোষস্থ পানি ও পানিতে দ্রবীভূত খনিজ লবণের সমন্বিত রূপই হলো কোষরস ।
খ. পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া, জীবন বাঁচতে পারে না। | জীবদেহের ভৌত ভিত্তি হলো প্রোটোপ্লাজম, এই প্রোটোপ্লাজমের শতকরা ৯০ ভাগই হচ্ছে পানি। এ কারণে পানিকে 'ফ্লুইড অফ লাইফ' বলা হয় ।
গ. উদ্দীপকের চিত্র-A এর প্রক্রিয়াটি প্রকৃতপক্ষে অভিস্রবণ। কারণ, এখানে দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণের মাঝে একটি বৈষম্যভেদ্য ঝিল্লি রয়েছে এবং দ্রাবক পদার্থ বৈষম্যভেদ্য ঝিল্লি ভেদ করে বেশি ঘনত্বের এলাকা থেকে কম ঘনত্বের এলাকার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
একে বিশেষ ধরনের ব্যাপন ক্রিয়া বলা যুক্তিযুক্ত। কারণ, ব্যাপন প্রক্রিয়ায় দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ থেকে দ্রাবক উচ্চ ঘনত্বের এলাকা থেকে নিম্ন ঘনত্বের এলাকায় প্রবেশ করে। এখানে ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ দুটির মাঝে কোনো বৈষম্যভেদ্য ঝিল্লি থাকে না। কিন্তু অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণের মাঝে একটি বৈষম্যভেদ্য ঝিল্লি থাকে এবং এ ঝিল্লি ভেদ করে দ্রাবক তার অধিকতর ঘনত্বের এলাকা থেকে কম ঘনত্বের এলাকার দিকে ধাবিত হয়।
উভয়ক্ষেত্রেই দ্রাবক পদার্থ তার অধিক ঘনত্বের এলাকা থেকে কম ঘনত্বের এলাকার দিকে ধাবিত হয়, কিন্তু অভিস্রবণের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ দুটির মাঝে একটি বৈষম্যভেদ্য ঝিল্লি থাকে। এ কারণেই উদ্দীপকে উল্লিখিত অভিস্রবণ প্রক্রিয়াটিকে বিশেষ ধরনের ব্যাপন বলা হয় ।
ঘ. উদ্দীপকে চিত্র-A দ্বারা অভিস্রবণ প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করা হয়েছে। অভিস্রবণ প্রক্রিয়া উদ্ভিদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ প্রক্রিয়ার উপর উদ্ভিদের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া নির্ভর করে। উদ্ভিদের জীবনধারণের জন্য এমনকি সালোকসংশ্লেষণের জন্যও পানি অপরিহার্য।
মাটির কৈশিক পানি অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় মূলরোমে প্রবেশ করে এবং কর্টেক্সের মাধ্যমে একপর্যায়ে উদ্ভিদের বিভিন্ন শাখা ও পাতায় পৌছায়। পানি পাতায় পৌছালে CO, ও পানির উপস্থিতিতে দিনের বেলায় সেখানে সালোকসংশ্লেষণ ঘটে এবং শর্করাজাতীয় খাদ্য তৈরি হয়।
খাদ্য তৈরি না হলে উদ্ভিদ প্রকৃতিতে বেঁচে থাকতে পারত না। আর উদ্ভিদদেহে খাদ্য তৈরির জন্য পানি পৌঁছানোর মুখ্য ভূমিকা পালন করে অভিজ্ঞবণ।
আবার, উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ মাটি থেকে আয়নিত অবস্থায় পানির সঙ্গে উদ্ভিদদেহে প্রবেশ করে।
পরবর্তীতে অভিস্রবণ প্রক্রিয়ার কর্টেক্সের মধ্য দিয়ে জাইলেম ভেসেলে পৌছায় এবং ধীরে ধীরে উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গে স্থানান্তরিত হয়।
অভিস্রবণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই স্থানান্তর না ঘটলে খনিজ লবণের অভাবে উদ্ভিদের বিভিন্ন ধরনের রোগের লক্ষণ দেখা দেয় এবং একসময় উদ্ভিদের মৃত্যু ঘটে।
সুতরাং, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, উদ্ভিদ জীবনে অভিস্রবণ প্রক্রিয়াটির গুরুত্ব অপরিসীম।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ “ফ্লুইড অফ লাইফ” বলতে কী বোঝ।
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম “ফ্লুইড অফ লাইফ” বলতে কী বোঝ যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।