10 বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৩ | Passport korte koto taka lage
10 বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে - Passport korte koto taka lage- বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ। তাই সবকিছুর মতো পাসপোর্টও বর্তমানে ডিজিটাইলেশনের আওতায় পড়েছে।
যেকারণে হাতে লেখা পাসপোর্ট কিংবা এম আর পি MRP তথা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট সবকিছুই বর্তমানে বাদ। বর্তমান সময়ে যেকোনো পাসপোর্টই এখন হতে হবে ই-পাসপোর্ট। যা খুবই তথ্য সমৃদ্ধ।
তাই জরুরী প্রয়োজনে হঠাৎ করেই আমাদের পাসপোর্টের প্রয়োজন হলে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি। যেহেতু পাসপোর্ট খুবই সেন্সেটিভ একটি বিষয় এবং সরাসরি সরকারি কাজ হওয়ায়, অধিকাংশ মানুষই পাসপোর্ট সম্পর্কে তেমন অবগত নয়।
আমরা যদি ১০ বছর মেয়াদী ৬৪ পৃষ্ঠার একটি ই পাসপোর্ট নিতে চাই তাহলে তা যদি আমরা এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে পেতে চাই তবে এর জন্য যে পরিমান টাকা দিতে হবে, সেই তুলনায় আমরা যদি ৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার একটি ই-পাসপোর্ট নরমাল রেগুলার ডেলিভারিতে নিতে চাই, তাহলে আমাদের খরচ সেই তুলনায় খুবই কম হবে।
বিভিন্ন মেয়াদী পাসপোর্ট এর টাকার পরিমাণ
আমরা আগেই উল্লেখ করেছি মেয়াদ, পৃষ্ঠা এবং ডেলিভারি ভেধে পাসপোর্ট এর টাকা নির্ধারিত হয়। তাই পাসপোর্ট এর মেয়াদ, পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং ডেলিভারির হিসাব অনুসারে ই পাসপোর্ট আবেদন করতে আমাদের কমপক্ষে সর্বনিম্ন ৪০২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৮০০ টাকা ব্যয় হতে পারে।
যেমন আমরা যদি ৫ বছর মেয়াদী একটি পাসপোর্ট নূন্যতম ৪৮ পৃষ্ঠা সম্বলিত নিয়মিত সাধারণ রেগুলার ডেলিভারিতে করতে চাই, তাহলে আমাদের খরচ হবে ৪০২৫ টাকা।
আর যদি আমরা একই মেয়াদে ঐ পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠা সম্বলিত এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে নিতে চাই, তাহলে আমাদের খরচ করতে হবে ৬৩২৫ টাকা।
আর যদি মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ বছর করি এবং পৃষ্ঠা একই রেখে ঐ পাসপোর্ট রেগুলার ডেলিভারিতে পেতে চাই, তাহলে আমাদের ব্যয় হবে ৫৭৫০ টাকা। একইভাবে সেই সবকিছু দিয়ে এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে আমাদের প্রদান করতে ৮০৫০ টাকা।
এক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সরাসরি অনলাইনে আবেদন করতে জানি না। তাই আমরা যারা অনলাইনে আবেদন করতে জানি না তাদের উচিত হবে নিকটস্থ কম্পিউটার দোকান থেকে আবেদনটি পূরণ করে অনলাইনে জমা দেওয়া। এক্ষেত্রে আমাদের খরচ হতে পারে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা। যা অবস্থা ভেদে বিভিন্ন হতে পারে।
এক্ষেত্রে জেনে রাখা দরকার যে, সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি যা খুবই দ্রুততার সহিত প্রদান করা হয়, তার আবেদন অনলাইনের মাধ্যমে করা যায় না।
এই সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি পাওয়ার জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। এবং এতে ফ্রি পুলিশ ভেরিফিকেশন এর প্রয়োজন হয়।
১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
আমরা যারা ১০ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট করতে চাই, তাদের জন্য রয়েছে দুটি অফার। একটি অফারে রয়েছে ১০ বছর মেয়াদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এবং অন্যটি হলো ৬৪ পৃষ্ঠার মধ্যে ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট।
আবার এইসব মেয়াদ এবং পৃষ্ঠার সাথে ডেলিভারির সিস্টেমের উপরেও টাকার পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে। যেমনঃ আমরা যদি ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠার মধ্যে রেগুলার ডেলিভারি নিতে চাই তাহলে আমাদের খরচ হবে ৮০৫০ টাকা।
আর একই মেয়াদের একই পৃষ্ঠার পাসপোর্ট টি যদি এক্সপ্রেস ডেলিভারি পেতে চাই, তাহলে তার জন্য খরচ হবে ১০৩৫০ টাকা।
১০ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট ফি কত
আমরা যারা অনলাইনে পাসপোর্ট করতে চাই তাদের সুবিধার জন্য নিচে একটি তালিকা দেওয়া হলো। যে তালিকার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগবে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারব।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, পাসপোর্ট এর জন্য সকল নির্ধারিত ফির সাথে আরো ১৫% ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত করা আছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আমরা যারা সরকারি চাকুরি করি এবং যাদের (এন ও সি) আছে আথবা আমরা যারা সরাসরি চাকুরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত (আর এল আর) আছি।
তাদের পাসপোর্ট করতে ফি এর ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। এইসব সরকারি চাকুরিজীবীরা রেগুলার ডেলিভারি ফি প্রদান করলেও এক্সপ্রেস ডেলিভারি পাবে। একইভাবে এক্সপ্রেস ডেলিভারি ফি দিয়েও সুপার-এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে ই পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
প্রবাসীদের পাসপোর্ট খরচ
আমাদের অনেক ভাই বোন দেশের বাইরে প্রবাসী হিসাবে আছেন। তাদের যদি কোনো কারণে দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট করার প্রয়োজন হয়, কিংবা পাসপোর্ট রিনিউ করার প্রয়োজন হয়।
তাহলে সেইসব প্রবাসী ভাইদের ওই দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ সরকারের এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের খরচ কত হবে তা নিচে দেওয়া হলো।
দেশের বাইরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির মাধ্যমে ই পাসপোর্ট তৈরিতে কত টাকা লাগে তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
আমরা এতক্ষণে বর্তমান ই পাসপোর্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন মেয়াদের পাসপোর্ট করতে কত টাকার প্রয়োজন হয় তা জানতে পারলাম।
আশাকরি এই পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। এছাড়াও আপনাদের সুবিধার্থে আমরা আপনাদের সাধারণ জিজ্ঞাসিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি।
সাধারণ জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন সমূহ
ঘরে বসে ই পাসপোর্ট ফি কীভাবে দিব
আমাদের আধুনিক সময় হচ্ছে ব্যস্ততার সময়। তাই বিভিন্ন কাজের ফাঁকে ব্যাংকে গিয়ে লাইন ধরে টাকা জমা দেওয়া এখন প্রায় অসম্ভব।
তাই আমরা অনেকেই চাই নির্ঝঞ্ঝাট ভাবে ঘরে বসে কীভাবে পাসপোর্ট ফি দিতে। তাদের প্রশ্নের উত্তর হলো হ্যাঁ আপনি চাইলেই ঘরে বসে বর্তমান ই পাসপোর্টের ফি জমা দিতে পারেন।
তবে এক্ষেত্রে আমাদের ই চালানের মাধ্যমে পাসপোর্টের ফি দিতে হবে। আর এভাবেই ই চালানের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট ফি দিতে আমরা কার্ড পেমেন্ট, মোবাইল ব্যাংকিং, ই ওয়ালেট ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারি।
আর এইজন্য আমাদের প্রায় ১৫ টাকা অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। যা এতো ঝক্কি ঝামেলার অনুপাতে খুবই নগন্য।
ই পাসপোর্ট করতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ কত টাকা লাগে
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি পাসপোর্ট এর ধরন, পৃষ্ঠা এবং ডেলিভারি অনুসারে পাসপোর্ট এর ফি বিভিন্ন হতে পারে।
তাই পাসপোর্ট করতে সর্বনিম্ন ৪০২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৮০০ টাকা পর্যন্ত ফি আমাদের খরচ হতে পারে। সবসময় মনে রাখতে হবে আমাদের সুবিধা এবং সার্ভিস অনুযায়ী পাসপোর্ট এর ফি নির্ধারিত হয়।
ব্যাংক ড্রাফ্ট করতে অতিরিক্ত ফি দিতে হয়
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ব্যাংক ড্রাফ্ট সম্পর্কে তেমন জানি না। তাই আমরা মনে করি ব্যাংক ড্রাফ্ট বুঝি কঠিন বিষয় বা এতে অতিরিক্ত ফি দিতে হয়।
তাই তাদের জ্ঞাতার্থে আমরা জানাতে চাই পাসপোর্ট ফি অনলাইনে এবং অফলাইনে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়।
এমনকি আমরা চাইলেই বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং যেমন বিকাশ, রকেট, নগদে ইত্যাদির মাধ্যমেও পাসপোর্ট ফি প্রদান করতে পারি।
তবে অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধের ক্ষেত্রে সামান্য পরিমান অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ দিতে হলেও ব্যাংকের ড্রাফ্টের মাধ্যমে টাকা পরিশোধের ক্ষেত্রে কোন প্রকার অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় না।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ 10 বছর মেয়াদি Passport করতে কত টাকা লাগে
তো বন্ধুরা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এবং কত মেয়াদের পাসপোর্টে কত টাকা।
একইসাথে পাসপোর্ট করার যাবতীয় খরচ সম্পর্কেও জানতে পেরেছি। আশাকরি এই পোস্ট আপনাদের উপকারে আসবে।