দ্বিনিষেকের ফলে কীভাবে 3n কোষের সৃষ্টি হয়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো দ্বিনিষেকের ফলে কীভাবে 3n কোষের সৃষ্টি হয় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের দ্বিনিষেকের ফলে কীভাবে 3n কোষের সৃষ্টি হয়
ক. ব্লাস্টোসিস্ট কাকে বলে?
খ. দ্বিনিষেকের ফলে কীভাবে 3n কোষের সৃষ্টি হয়?
গ. চিত্র-B এর সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করো ।
ঘ. “মাধ্যম ভেদে চিত্র-A এর পরাগায়নে বিভিন্নতা রয়েছে”- উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. জাইগোট বিভাজিত হয়ে যে পর্যায়ে ডিম্বনালি হতে জরায়ুতে পৌছাবে সেই পর্যায়কে ব্লাস্টোসিস্ট বলে।
খ. গুপ্তবীজী উদ্ভিদে দ্বিনিষেক ঘটার সময় দুটি পুংগ্যামেটের একটি ডিম্বাণুর সঙ্গে এবং অপরটি গৌণ নিউক্লিয়াসের সঙ্গে মিলিত হয়। গৌণ নিউক্লিয়াসের সঙ্গে একটি পুংগ্যামেট মিলিত হয়ে ট্রিপ্লয়েড (3n) সস্য নিউক্লিয়াসের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে এটি বারবার বিভাজিত হয়ে সস্য কলা তথা ট্রিপ্লয়েড (3n) কোষের সৃষ্টি হয়।
গ. উদ্দীপকের চিত্র-B হলো ভ্রুণথলি। নিচে ভূণথলি সৃষ্টির প্রক্রিয়া দেওয়া হলো-
ফুলের গর্ভাশয়ের অভ্যন্তরে ডিম্বক থাকে, সেখানে স্ত্রী প্রজনন মাতৃকোষ সৃষ্টি হয়। এই কোষটি মিয়োসিস বিভাজনের মাধ্যমে ৪টি হ্যাপ্লয়েড স্ত্রীরেণু কোষ সৃষ্টি করে, যার তিনটি নষ্ট হয়ে যায়।
জীবিত অক্ষের কোষটির নিউক্লিয়াস তিনটি ধাপে মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে ৮টি নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট একটি ভূণথলি গঠন করে। এর দু'মেরু হতে একটি করে নিউক্লিয়াস থলির মাঝখানে চলে আসে এবং পরস্পর মিলিত হয়ে সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াস গঠন করে।
ডিম্বকরন্ধ্রের দিকে অবস্থিত মেরুর তিনটি নিউক্লিয়াসকে একত্রে গর্ভযন্ত্র বলে। গভযন্ত্রের তিনটি নিউক্লিয়াসের মাঝেরটি অপেক্ষাকৃত বড় যা হলো ডিম্বাণু এবং অন্য কোষ দুটিকে সহকারী কোষ বলে। গভযন্ত্রের বিপরীত দিকের কোষ তিনটিকে প্রতিপাদ কোষ বলে।
এভাবেই, প্রতিপাদ কোষ, গৌণ নিউক্লিয়াস, ডিম্বাণু এবং সহকারী কোষ নিয়ে ভ্রূণথলি সৃষ্টি হয়।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্র-A হলো উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদের প্রজনন অঙ্গ ফুল। পরাগায়নের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো না কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয় । মাধ্যমগুলোর ভিন্নতার কারণে ফুলের পরাগায়নেও ভিন্নতা দেখা যায় । পতঙ্গপরাগী ফুল বড়, রঙিন ও মধুগ্রন্থিযুক্ত হয়।
এই ফুলের পরাগরেণু ও গর্ভমুণ্ড আঠালো ও সুগন্ধযুক্ত। জবা, কুমড়া, সরিষা ইত্যাদি হলো পতঙ্গ পরাগী ফুল।
আবার, বায়ুপরাগী ফুল হালকা এবং মধুগ্রন্থি ও সুগন্ধবিহীন। এসব ফুল সহজেই বাতাসে ভেসে যেতে পারে। এদের গর্ভমুণ্ড আঠালো এবং শাখান্বিত, কখনো পালকের মতো। ফলে বাতাস থেকে পরাগরেণু সহজেই সংগ্রহ করতে পারে। বায়ুপরাগী ফুলের একটিউদাহরণ হলো ধান।
অন্যদিকে, পানিপরাগী ফুল আকারে ক্ষুদ্র এবং হালকা। এরা সহজেই পানিতে ভাসতে পারে এবং এসব ফুলে সুগন্ধ নেই।
পরিণত পুং পুষ্প বৃন্ত থেকে খুলে পানিতে ভাসতে থাকে এবং স্ত্রী পুষ্পের কাছে পৌঁছালে সেখানেই পরাগায়ন ঘটে, যেমন- পাতাশেওলা । এছাড়াও প্রাণিপরাগী ফুল রয়েছে যা মোটামুটি বড় ধরনের হয়। তবে ফুলগুলো ছোট হলে পুষ্পমঞ্জরিতে সাজানো থাকে।
এদের রং আকর্ষণীয় হয় এবং সুগন্ধ থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে। কদম, শিমুল, কচু ইত্যাদি হলো প্রাণিপরাগী ফুলের উদাহরণ।
সুতরাং, উপরের আলোচনার সাপেক্ষে বলা যায়, মাধ্যম ভেদে ফুলের পরাগায়নে বিভিন্নতা রয়েছে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ দ্বিনিষেকের ফলে কীভাবে 3n কোষের সৃষ্টি হয়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম দ্বিনিষেকের ফলে কীভাবে 3n কোষের সৃষ্টি হয় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।