দ্বিনিষেক কাকে বলে | দ্বিনিষেক বলতে কি বুঝায়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো দ্বিনিষেক বলতে কি বুঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের দ্বিনিষেক বলতে কি বুঝায়
ক. পরপরাগায়ন কী?
খ. দ্বিনিষেক বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকের ‘ক’ অংশটির গ্যামেটোফাইটের উৎপত্তি বর্ণনা করো ।
ঘ. ক ও খ উভয় অংশটি সরাসরি জনন কাজে অংশগ্রহণ করে বিশ্লেষণ করো ।
প্রশ্নের উত্তর
ক. একই প্রজাতির দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের ফুলের মধ্যে পরাগায়নই হলো পরপরাগায়ন ।
খ. প্রায় একই সময়ে দুটি পুংজনন কোষের একটি ডিম্বাণুর সাথে এবং অপরটি গৌণ নিউক্লিয়াসের সাথে মিলিত হয়ে যে দুটি নিষেক সম্পন্ন হয় তাকে বলা হয় দ্বিনিষেক।
দ্বিনিষেক গুপ্তবীজী উদ্ভিদের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য । দ্বিনিষেকের মাধ্যমে নিষিক্ত ডিম্বাণু জাইগোটে পরিণত হয় এবং তা বার বার বিভাজিত হয়ে ভ্রূণ সৃষ্টি করে। অন্যদিকে গৌণ নিউক্লিয়াসটি নিষিক্ত হয়ে সস্যকলায় পরিণত হয় যা ভ্রূণকে পুষ্টি যোগায় ।
গ. উদ্দীপকের ‘ক’অংশটি হলো পরাগধানী। এখানে পুং- গ্যামেটোফাইটের উৎপত্তি ঘটে। নিচে পুং-গ্যামেটোফাইটের উৎপত্তি বর্ণনা করা হলো—
পরাগরেণু পুং-গ্যামেটোফাইটের প্রথম কোষ। পূর্ণতা প্রাপ্তির পূর্বে পরাগরেণু মাতৃকোষে মিয়োসিস ঘটে, যার ফলে এর নিউক্লিয়াসটি হ্যাপ্লয়েড (n) ধরনের।
পূর্ণতা প্রাপ্তির পর পরাগরেণুর নিউক্লিয়াসটি মাইটোসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়। এ বিভাজনে একটি বড় নিউক্লিয়াস ও একটি ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াস সৃষ্টি হয়। বড় নিউক্লিয়াসটিকে নালিকা নিউক্লিয়াস এবং ছোটটিকে জনন নিউক্লিয়াস বলে।
নালিকা নিউক্লিয়াসটি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে পরাগনালি এবং জনন নিউক্লিয়াসটি বিভাজিত হয়ে দু'টি পুংজনন কোষ তথা পুংগ্যামেট সৃষ্টি করে। জনন নিউক্লিয়াসের এ বিভাজন সাধারণত পরাগনালিতে সংঘটিত হয়ে থাকে।
ঘ. উদ্দীপকের 'ক' ও 'খ' অংশ যথাক্রমে পরাগধানী এবং গর্ভাশয় ৷ ফুলের এ অংশ দু'টি সরাসরি জনন কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে । এদের অনুপস্থিতিতে উদ্ভিদ প্রজনন সম্পূর্ণরূপে অসম্ভব। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-
পুং জনন কোষ ও স্ত্রী জনন কোষের মিলনে নিষেক সম্পন্ন হয়ে থাকে, যা প্রজননের প্রথম শর্ত । পুং-জনন কোষ পরাগধানীতে তৈরি পরাগরেণুর অভ্যন্তরে সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে ডিম্বাণু বা স্ত্রী জননকোষ গর্ভাশয়ের অভ্যন্তরে তৈরি হয়।
পরাগায়নের পর পুং জনন কোষ ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয়ে নিষেক ঘটায়। নিষিক্তকরণ প্রক্রিয়ায় গর্ভাশয়ে বিশেষ উদ্দীপনার মাধ্যমে ফল সৃষ্টি করে এবং নিষিক্ত ডিম্বাণু বীজে পরিণত হয় যা ফলের অভ্যন্তরে অবস্থান করে।
পরিপক্ব ফল থেকে সংগৃহীত বীজ নির্দিষ্ট সময় পর বপন করলে তা থেকে নতুন উদ্ভিদের জন্ম হয় । এভাবে উদ্ভিদের প্রজনন সম্পন্ন হয়ে থাকে ।
সুতরাং দেখা যায় যে, পরাগধানীর অনুপস্থিতিতে পুং জনন কোষ তৈরি যেমন সম্ভব নয়, তেমনি গর্ভাশয়ের অনুপস্থিতিতে ডিম্বাণু বা স্ত্রী জনন কোষ তৈরিও অসম্ভব।
আবার এ দু'ধরনের জনন কোষের অনুপস্থিতিতে উদ্ভিদ জনন সম্ভব নয় । তাই স্পষ্টভাবে বলা যায় যে, উদ্দীপকের ‘ক’ ও ‘খ’ অংশ দু'টি উদ্ভিদের জনন কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করে থাকে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ দ্বিনিষেক বলতে কি বুঝায়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম দ্বিনিষেক বলতে কি বুঝায় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।