ধমনি শিরা থেকে ভিন্নতর - ব্যাখ্যা করো
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো “ ধমনি শিরা থেকে ভিন্নতর”- ব্যাখ্যা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের “ ধমনি শিরা থেকে ভিন্নতর”- ব্যাখ্যা করো
মাছ, মাংস, ডাল এগুলো আমিষজাতীয় খাদ্য। খাদ্যের এ উপাদানটি দেহ গঠনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে ।
ক. বিএমআই (BMI) কী ?
খ.. “ ধমনি শিরা থেকে ভিন্নতর”- ব্যাখ্যা করো।
গ. উল্লিখিত খাদ্য উপাদানটির খাদ্যমান কীভাবে বাড়ানো যায়? বর্ণনা করো।
ঘ. “উল্লিখিত খাদ্য উপাদানটির পরিপাক প্রক্রিয়া অপেক্ষাকৃত জটিল”— বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. মানব দেহের গড়ন ও চর্বির একটি নির্দেশিত সূচকই হলো বিএমআই (BMI) বা বডি মাস ইনডেক্স।
খ. ধমনি শিরা থেকে ভিন্নতর, কারণ শিরা দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত হৃৎপিণ্ডে নিয়ে আসে, আর ধমনি হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত সারা দেহে নিয়ে যায় ।
পালমোনারি শিরা ব্যতীত সকল শিরা CO2 সমৃদ্ধ রক্ত বহন করে এবং পালমোনারি ধমনি ব্যতীত সকল ধমনি O, যুক্ত রক্ত বহন করে।
শিরায় নাড়ি স্পন্দন নেই, কিন্তু ধমনিতে নাড়ি স্পন্দন আছে। শিরার প্রাচীরের মধ্যস্তর অল্প পেশিযুক্ত ও পাতলা; ধমনির প্রাচীরের মধ্যস্তর পেশিবহুল ও পুরু।
গ. উল্লিখিত খাদ্য উপাদানটি হলো আমিষ। দুই বা ততোধিক উদ্ভিজ্জ আমিষ একত্রে রান্না করে এর খাদ্যমান বাড়ানো যায়।
ফলে আট রকম আবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায়। বিভিন্ন 'আমিষের সংমিশ্রণে তৈরি এরূপ উপাদান মিশ্র আমিষ নামে পরিচিত।
মিশ্র আমিষকে সম্পূরক আমিষও বলা হয়। বিভিন্ন খাদ্যের সংমিশ্রণে সম্পূরক আমিষ তৈরি করে আমিষের খাদ্যমান বাড়ানো যায়। যেমন-
-চালের সাথে দুধ দিয়ে পায়েশ, ক্ষীর ও ফিরনি রান্না করা যায় । ডাল ও চাল দিয়ে খিচুরি রান্না করা যায়।
-ডাল, গম, মাংস মিশিয়ে হালিম রান্না করা যায়।
-ভাতের সাথে মাছ ও ডাল পরিবেশন করা যায়।
-ডাল দিয়ে রুটি খাওয়া যায়।
-নানারকম ডাল সমপরিমাণে মিশিয়ে আমিষের খাদ্যমান বাড়ানো যায়।
ঘ. উল্লিখিত খাদ্য উপাদানটি হলো আমিষ। আমিষের পরিপাক প্রক্রিয়া শর্করা ও স্নেহ জাতীয় খাদ্যের পরিপাক প্রক্রিয়া অপেক্ষা জটিল।
মুখগহ্বরে আমিষ ও স্নেহজাতীয় খাদ্যের কোনোরূপ পরিবর্তন হয় না। মুখগহ্বরে লালার টায়ালিন বা স্যালাইভারি অ্যামাইলেজ এনজাইম শর্করাকে মলটোজে পরিণত করে। পাকস্থলিতে শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাদ্যের কোনরূপ পরিবর্তন হয় না।
এখানে HCI নিষ্ক্রিয় পেপসিনোজেনকে সক্রিয় পেপসিনে পরিণত করে এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। পেপসিন আমিষকে ভেঙ্গে দুই বা ততোধিক অ্যামাইনো এসিড দ্বারা গঠিত যৌগ পেপটাইড (প্রোটিওজ ও পেপটোন) তৈরি করে।
পাকস্থলিতে আমিষ জাতীয় খাদ্য কাইমে পরিণত হয়ে ক্ষুদ্রান্ত্রে প্রবেশ করে। এখানে পাচক রসের এনজাইম দ্বারা শর্করা ও আমিষের কাজ চলতে থাকে এবং স্নেহ পদার্থের বিপাক শুরু হয়।
এরপর স্নেহ বিশ্লেষক লাইপেজ স্নেহজাতীয় খাদ্যকে ভেঙ্গে ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে পরিণত করে। অপরদিকে, আংশিক পরিপাককৃত আমিষ ক্ষুদ্রান্ত্রে ট্রিপসিনের সাহায্যে ভেঙ্গে অ্যামাইনো এসিড ও সরল পেপটাইডে পরিণত হয়।
অবশেষে, ক্ষুদ্রান্ত ও বৃহদান্ত্র এসব খাদ্য শোষিত হয়। আমিষ পরিপাকে স্নেহ ও শর্করা জাতীয় খাদ্য পরিপাকের তুলনায় অনেক বেশি এনজাইম এবং অনেক ধাপের প্রয়োজন হয়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে উল্লিখিত খাদ্যের পরিপাক অপেক্ষাকৃত জটিল ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ “ ধমনি শিরা থেকে ভিন্নতর”- ব্যাখ্যা করো
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম “ ধমনি শিরা থেকে ভিন্নতর”- ব্যাখ্যা করো যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।