ধীরে ধীরে কিডনি বিকল হওয়ার কারণগুলো লেখো
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ধীরে ধীরে কিডনি বিকল হওয়ার কারণগুলো লেখো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ধীরে ধীরে কিডনি বিকল হওয়ার কারণগুলো লেখো
শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ধারণা দিলেন যে, নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য দেহ থেকে বৃক্ষ দিয়ে নিষ্কাশিত হয়।
ক. ডায়ালাইসিস কী?
খ. ধীরে ধীরে কিডনি বিকল হওয়ার কারণগুলো লেখো ।
গ. দেহের সুস্থতায় উদ্দীপক অঙ্গের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের অঙ্গটিতে পাথর হওয়ার কারণ ও উপসর্গগুলো ব্যাখ্যা করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. বৃদ্ধ সম্পূর্ণ বিকল হওয়ার পর বৈজ্ঞানিক উপায়ে রক্ত পরিশোধিত করাই হলো ডায়ালাইসিস।
খ. ধীরে ধীরে কিডনি বিকল হওয়ার কারণগুলো হলো— নেফ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিতে পাথর ইত্যাদি।
কিডনি বিকল হলে মূত্রের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং রক্তে ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পায়। তখন রক্তের বর্জ্য দ্রব্যাদি অপসারণের জন্য নির্দিষ্ট সময় পর পর রোগীকে ডায়ালাইসিস করা হয়।
গ. উদ্দীপকে অঙ্গটি হলো বৃক্ক যা মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেচন অঙ্গ। রেচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো বাইরে নিষ্কাশিত করে বৃক্ক দেহের সুস্থতায় ভূমিকা পালন করেন।
বিপাক ক্রিয়ায় আমাদের দেহে যে সকল বর্জ্য বা বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয়। তা হলো— ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, লবণ, ক্রিয়েটিনিন, বিলিরুবিন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি। এগুলো রক্তের সাথে মিশে থাকে।
বৃক্কের কার্যকরী একক নেফ্রনের বোম্যান্স ক্যাপসুলের ভেতর থাকে একগুচ্ছ কৈশিক জালিকা দিয়ে তৈরি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গ্লোমেরুলাস। গ্লোমেরুলাস ছাঁকনির মতো কাজ করে। বিপাক ক্রিয়ায় সৃষ্ট বর্জ্য বা বিষাক্ত পদার্থসহ রক্ত যখন গ্লোমেরুলাসে আসে তখন রক্ত থেকে সক্রিয় ছাঁকন পদ্ধতিতে বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থগুলো বোম্যান্স গহ্বরে প্রবেশ করে।
ফলে রক্ত পরিশোধিত হয়। পরিশোধনের পর বর্জ্য বা বিষাক্ত পদার্থগুলো পরবর্তীতে মূত্রের সঙ্গে দেহ থেকে বাইরে বের হয়ে আসে। এভাবে, বৃক্ক মানবদেহ থেকে ক্ষতিকর নাইট্রোজেনঘটিত বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ অপসারণের মাধ্যমে মানুষের সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ঘ. উদ্দীপকের অঙ্গটিতে অর্থাৎ বৃক্কে উদ্ভূত ছোট আকারের পাথর জাতীয় পদার্থের সৃষ্টিই বৃক্কের পাথর হিসেবে পরিচিত।
বৃক্কে পাথর সবারই হতে পারে। তবে দেখা গেছে মেয়েদের থেকে পুরুষদের পাথর হবার সম্ভবনা বেশি। নিচে বৃক্কে পাথর হওয়ার কারণ ও উপসর্গগুলো ব্যাখ্যা করা হলো-
কারণ-
i.অতিরিক্ত শারীরিক ওজন।
ii. বৃক্কে সংক্রমণ রোগ ।
iii. কম পানি পান করা ।
iv. অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন, যেমন- মাংস ও ডিম খেলে বৃক্কে পাথর হতে পারে ।
উপসর্গ:
i. কোমরের পিছনে ব্যথা হওয়া।
ii. প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হওয়া।
iii. অনেক সময় কাপুনি দিয়ে জ্বর আসে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ধীরে ধীরে কিডনি বিকল হওয়ার কারণগুলো লেখো
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ধীরে ধীরে কিডনি বিকল হওয়ার কারণগুলো লেখো যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।