বংশগতীয় বস্তুকণার বর্ণনা দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বংশগতীয় বস্তুকণার বর্ণনা দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বংশগতীয় বস্তুকণার বর্ণনা দাও
মাটি থেকে পানি মূল দ্বারা শোষিত হয়ে জাইলেমের মাধ্যমে পাতায় সংবাহিত হয়। পাতায় অবস্থিত ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে উক্ত পানি
বাষ্পাকারে নিগত হয়।
ক. বিবর্তন কী?
খ. বংশগতীয় বস্তুকণার বর্ণনা দাও।
উদ্দীপকে উল্লিখিত যে প্রক্রিয়ার সঙ্গে মূল সম্পৃক্ত সেটির ব্যাখ্যা দাও।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রক্রিয়া দুইটির গুরুত্ব অনেক ব্যাখ্যা করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. বিবর্তন হলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে নির্দিষ্ট এলাকায় এক কিংবা কাছাকাছি প্রজাতির অ্যালিল ফ্রিকোয়েন্সির পরিবর্তন ।
খ. বংশগতীয় বস্তুকণা হলো DNA। এটি দ্বিসূত্রক। দুটি পলিনিউক্লিওটাইড সূত্রক ডাবল হেলিক্স গঠন করে। DNA সূত্ৰক পাঁচ কার্বন বিশিষ্ট শর্করা, নাইট্রোজেন বেস ও অজৈব ফসফেট সমন্বয়ে গঠিত।
DNA-র নাইট্রোজেন বেসগুলো হলো এডিনিন, গুয়ানিন, থাইমিন ও সাইটোসিন । একটি সূত্রের এডিনিন অন্য সূত্রের থাইমিনের সঙ্গে দুটি হাইড্রোজেন বন্ড দ্বারা (A-T) যুক্ত থাকে।
আবার, একটি সূত্রের গুয়ানিন অন্য সূত্রের সাইটোসিনের সাথে তিনটি হাইড্রোজেন বন্ড দ্বারা (C=G) যুক্ত থাকে । DNA-র সূত্র দুটি বিপরীতমুখীভাবে অবস্থান করে।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত যে প্রক্রিয়ার সঙ্গে মূল সম্পৃক্ত, সেটি হলো উদ্ভিদের পানি পরিশোষণ। নিচে প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করা হলো-
উদ্ভিদ মূলরোমের মাধ্যমে মাটির কৈশিক পানি পরিশোষণ করে থাকে। প্রস্বেদনের ফলে পাতার কোষে ব্যাপন চাপ ঘাটতির সৃষ্টি হয় এবং তা কোষ থেকে কোষান্তরে পর্যায়ক্রমে মূলরোম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে একটি চোষক শক্তির সৃষ্টি হয়।
এ চোষক শক্তির টানে মাটির কৈশিক পানি মূলরোমে ঢুকে পড়ে। মাটি থেকে মূলরোমে অভিস্রবণ ও ব্যাপন প্রক্রিয়ায় এ পানি প্রবেশ করে।
একইভাবে পানি অন্তঃত্বক হয়ে পরিবহন কলাগুচ্ছে পৌঁছে যায়। পানি একবার পরিবহন কলাগুচ্ছে পৌঁছে গেলে তা জাইলেম কলার মাধ্যমে উপরের দিকে ও পাশের দিকে প্রবাহিত হতে থাকে।
এভাবে, মূলরোমের মাধ্যমে উদ্ভিদদেহে মাটি থেকে পানি পরিশোষণ ঘটে থাকে।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রক্রিয়া দুইটি যথাক্রমে পানি পরিশোষণ এবং প্রস্বেদন। প্রক্রিয়া দুইটি উদ্ভিদের জন্য বিশেষ গুৰুত্বপূৰ্ণ। নিচে প্ৰক্ৰিয়া দুইটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হলো-
পানি পরিশোষণ: সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় পানি উদ্ভিদ মাটি থেকে শোষণ করে এবং তা পাতায় পৌঁছায়।
এই পরিশোষণ প্রক্রিয়ায় পানি উদ্ভিদের পাতায় না পৌঁছালে উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষণ ঘটবে না। ফলে উদ্ভিদে কোন খাদ্য তৈরি হবে না এবং খাদ্যাভাবে উদ্ভিদ মারা যাবে।
আবার খাদ্য তৈরি না হলে প্রয়োজনীয় শক্তির অভাবে উদ্ভিদদেহের প্রয়োজনীয় জৈবিক কাজেও ব্যাঘাত ঘটবে এবং একসময় উদ্ভিদের মৃত্যু ঘটবে।
প্রস্বেদন: প্রস্বেদনের ফলে পাতার জাইলেম বাহিকায় যে টান পড়ে সেই টান মূলরোম কর্তৃক পানি শোষণে সাহায্যে করে। এর কারণে চারদিক থেকে লবণ উদ্ভিদমূলের কাছাকাছি আসে, তাই উদ্ভিদ সহজেই লবণ পরিশোষণ করতে পারে।
প্রস্বেদন গাছকে অত্যধিক গরম হওয়া থেকে রক্ষা করে। প্রস্বেদনের ফলে কোষরসের ঘনত্ব বাড়ে, ফলে অভিস্রবণ প্রক্রিয়া ঘটে। প্রস্বেদনের ফলে উদ্ভিদ দেহের বিভিন্ন অংশে খাদ্য পরিবহন অব্যাহত থাকে।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, উদ্দীপকে সংঘটিত দুইটি প্রক্রিয়াই উদ্ভিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বংশগতীয় বস্তুকণার বর্ণনা দাও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বংশগতীয় বস্তুকণার বর্ণনা দাও যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।