মিশ্র আমিষ বলতে কি বুঝায়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মিশ্র আমিষ বলতে কি বুঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মিশ্র আমিষ বলতে কি বুঝায়
শিক্ষক ক্লাসে বলেন, খাদ্য একটি পেশিবহুল থলের মধ্যে জমা হয়। মানুষের এমন কিছু গ্রন্থি আছে, যার একটি হতে যে হরমোন নিঃসৃত হয় তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
ক. খনিজ পুষ্টি কী?
খ. মিশ্র আমিষ বলতে কি বুঝায়?
গ. জমাকৃত অংশে কীভাবে খাদ্য পরিপাক হয়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. হরমোন নিয়ন্ত্রণকারী গ্রন্থির কার্যকারিতা ব্যাহত হলে শরীরে কী প্রভাব পড়বে তা বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. উদ্ভিদ তার বৃদ্ধি ও পরিপুষ্টির জন্য মাটি থেকে যে সকল পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করে থাকে, সেগুলোই হলো খনিজ পুষ্টি।
খ. দুই বা ততোধিক উদ্ভিদ আমিষ একত্রে রান্না করে খাদ্যমান বাড়ানোর ফলে আট রকম আবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায়। বিভিন্ন আমিষের সংমিশ্রনে তৈরি এরূপ উপাদান মিশ্র আমিষ বা সম্পূরক আমিষ বলে পরিচিত।
গ. উদ্দীপকের পেশিবহুল থলের মতো অংশটি হলো পাকস্থলি, যেখানে খাদ্যবস্তু জমা হয়। পাকস্থলিতে খাদ্য পরিপাক প্রক্রিয়া নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
খাদ্য মুখগহ্বর থেকে অন্ননালির মধ্য দিয়ে পাকস্থলিতে প্রবেশ করে। পাকস্থলিতে খাদ্য আসার পর অন্তঃপ্রাচীরের গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি থেকে গ্যাস্ট্রিক রস ক্ষরিত হয়।
এই রস খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রিক রসে প্রধানত হাইড্রোক্লোরিক এসিড ও পেপসিনোজেন নামক এনজাইম থাকে। হাইড্রোক্লোরিক এসিড খাদ্যের ক্ষতিকর অণুজীবকে ধ্বংস করে এবং নিষ্ক্রিয় পেপসিনোজেনকে সক্রিয় পেপসিনে পরিণত করে।
এই সক্রিয় পেপসিন আমিষ জাতীয় খাবারকে ভেঙ্গে দুই বা ততোধিক অ্যামাইনো এসিড দ্বারা গঠিত যৌগ-পলিপেপটাইডে মূলত আমিষ (প্রোটিওজ ও পেপটোন) রূপান্তরিত করে।
পাকস্থলিতে জাতীয় খাবারই পরিপাক হয়, কিন্তু শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাবার পরিপাক হয় না। কারণ শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাবার পরিপাকের জন্য
প্রয়োজনীয় এনজাইমগুলো পাকস্থলিতে অনুপস্থিত। উপরিউক্ত এনজাইমের ক্রিয়া ছাড়াও পাকস্থলির অনবরত সংকোচন ও প্রসারণের কারণে খাদ্য অর্ধতরল মিশ্রমণ্ডে পরিণত হয়। এটি পরবর্তীতে একটু একটু করে ডিওডেনামে প্রবেশ করে।
ঘ. উদ্দীপকের হরমোন নিয়ন্ত্রণকারী গ্রন্থিটি হলো অগ্ন্যাশয়। মान শরীরের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি। অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতা ব্যাহত হলে তা শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করবে। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-
অগ্ন্যাশয় একই সাথে বহিঃক্ষরা ও অন্তঃক্ষরা গ্রস্থি হিসেবে কাজ করে। | বহিঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত অগ্ন্যাশয় রসে ট্রিপসিন, লাইপেজ, অ্যামাইলেজ নামক উৎসেচক থাকে। এসব এনজাইম শর্করা, আমিষ ও স্নেহজাতীয় খাদ্যের পরিপাকে সহায়তা করে।
তাছাড়া অম্ল-ক্ষারের সাম্যতা, পানির সাম্যতা, দেহতাপ প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণ করে। আবার, অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হিসেবে অগ্ন্যাশয়ের একটি অংশ অতি প্রয়োজনীয় কিছু হরমোন নিঃসরণ করে, যেমন— গ্লুকাগন ও ইনসুলিন। রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় কাজে এ হরমোন দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এ কারণে অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতা ব্যাহত হলে ট্রিপসিন, লাইপেজ, অ্যামাইলেজ ইত্যাদি উৎসেচক নির্গত হবে না ফলে বিভিন্ন ধরনের খাবারের পরিপাকও সঠিকভাবে হবে না।
এছাড়া এখান থেকে যে ইনসুলিন তৈরি হয় তা তৈরি বন্ধ হলে মানুষ ডায়াবেটিস রোগে ভুগবে। এভাবে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মিশ্র আমিষ বলতে কি বুঝায়
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মিশ্র আমিষ বলতে কি বুঝায় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।