বেসাল মেটাবলিক রেট বলতে কী বোঝ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বেসাল মেটাবলিক রেট বলতে কী বোঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বেসাল মেটাবলিক রেট বলতে কী বোঝ
খাদ্যবস্তু পৌষ্টিকতন্ত্রের পাকস্থলিতে এসে জীবাণুমুক্ত হয়ে পরিপাক হয়। বর্তমানে বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণের ফলে আমাদের পরিপাকের ব্যাঘাত ঘটছে এবং আন্ত্রিক সমস্যার কারণ দেখা দিচ্ছে।
ক. উদ্ভিদ পুষ্টি কী?
খ. বেসাল মেটাবলিক রেট বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা করো ।
গ. উদ্দীপকের উল্লিখিত পৌষ্টিকতন্ত্রের পাকস্থলির পরের অংশের পরিপাক ক্রিয়ার বর্ণনা দাও ।
ঘ. উদ্দীপকের সমস্যাটির কারণগত শারীরিক অসুবিধা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় কী কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. উদ্ভিদ মাটি ও পরিবেশ থেকে তার স্বাভাবিক বৃদ্ধি, শারীরবৃত্তীয় কাজ এবং প্রজননের জন্য যেসব পুষ্টি উপাদানগুলো (Macro &. Micro-nutrients) গ্রহণ করে তাই উদ্ভিদ পুষ্টি ।
খ. বেসাল মেটাবলিক রেট (BMR) হলো পূর্ণ বিশ্রামরত অবস্থায় মানব শরীরে ব্যবহৃত শক্তির পরিমাপ। BMR-এর মান হতে একজন সুস্থ ব্যক্তির কতটুকু ক্যালরি প্রয়োজন তা নির্ণয় করা যায়। BMR-এর মান বয়স, লিঙ্গ, খাদ্যাভ্যাস ও শরীরের গঠনের উপর নির্ভর করে।
গ. পৌষ্টিকতন্ত্রের পাকস্থলির পরের অংশ হলো ক্ষুদ্রান্ত। ক্ষুদ্রান্ত্রে খাদ্যবস্তুর পরিপাক প্রক্রিয়ার বর্ণনা দেওয়া হলো—
পাকস্থলি থেকে পাকমণ্ড ক্ষুদ্রান্ত্রের ডিওডেনামে প্রবেশ করে। এসময় যকৃত, পিত্তথলী ও অগ্ন্যাশয় থেকে একটি ক্ষারীয় পাচক রস ডিওডেনামে আসে যা খাদ্যমণ্ডের অম্লভাব প্রশমিত করে।
অগ্ন্যাশয়ের পাচক রসে অবস্থিত এনজাইম দ্বারা শর্করা ও আমিষ পরিপাকের কাজ চলতে থাকে এবং স্নেহ পদার্থের পরিপাক শুরু হয়। এ রসে অ্যামাইলেজ থাকে যা শর্করা পরিপাকে সাহায্য করে ও গ্লুকোজ তৈরি করে।
এ রসের ট্রিপসিনের সাহায্যে আংশিক পরিপাককৃত আমিষ ভেঙ্গে অ্যামাইনো এসিড ও সরল পেপটাইডে পরিণত হয়। এছাড়া লাইপেজ লিপিডকে তথা স্নেহকে ভেঙ্গে ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে পরিণত করে। এভাবে ক্ষুদ্রান্ত্রে শর্করা, আমিষ ও লিপিড তথা স্নেহ পদার্থের পরিপাক ঘটে থাকে।
ঘ. উদ্দীপকে আন্ত্রিক সমস্যার কথা বলা হয়েছে। আন্ত্রিক সমস্যার কারণে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়। নিচে শারীরিক অসুবিধা বা রোগগুলো এবং তা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো তুলে ধরা হলো-
i.।অজীর্ণতা: এক্ষেত্রে খাদ্য হজমে ব্যাঘাত ঘটে। একে বদহজমও বলা হয়।
নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ:
-শুধুমাত্র ক্ষুধা লাগলেই খাওয়া উচিত, তবে অতিভোজন করা যাবে না।
-ধীরে ধীরে উত্তমরূপে খাবার চিবিয়ে খেতে হবে।
-ধূমপান পরিহার করতে হবে এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে ।
ii. আমাশয় : Entamoeba histolytica নামক প্রোটোজোয়া এবং সিগেলা নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে আমাশয় হয়ে থাকে। নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ:
-বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
-শাকসবজি ও ফলমূল উত্তমরূপে ধুয়ে খেতে হবে।
-মলত্যাগের পর হাত সাবান দিয়ে উত্তমরূপে ধৌত করতে হবে।
-স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করতে হবে।
-খাওয়ার আগে হাত ও থালাবাসন উত্তমরূপে ভাল পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
iii. কোষ্ঠকাঠিন্য: এক্ষেত্রে রোগীর পায়খানা খুব শক্ত হয় এবং দুদিন বা আরো বেশিদিন পায়খানা হয় না।
নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ:
-নিয়মিত শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে।
-প্রচুর পানি পান করতে হবে।
-প্রতিদিন আঁশযুক্ত বা রাফেজ খাবার খেতে হবে।
-নিয়মিত মল ত্যাগের অভ্যাস করতে হবে।
iv. গ্যাস্ট্রিক আলসার: এটি অন্ত্রের প্রদাহ বা ক্ষত।
নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ:
-নিয়মিত সহজপাচ্য খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
-অধিক তেল ও মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
-নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং কফি, সিগারেট বর্জন করতে হবে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বেসাল মেটাবলিক রেট বলতে কী বোঝ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বেসাল মেটাবলিক রেট বলতে কী বোঝ যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।