কিউটিকুলার প্রস্বেদন কাকে বলে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কিউটিকুলার প্রস্বেদন কাকে বলে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কিউটিকুলার প্রস্বেদন কাকে বলে
ক. লিউকেমিয়া কী?
খ. কিউটিকুলার প্রস্বেদন কাকে বলে?
গ. উল্লিখিত চিত্র: X উপাদানগুলির গুরুত্ব উল্লেখ করো ।
ঘ. মানবদেহে চিত্র: Y এর ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. লিউকেমিয়া হলো রক্তকোষের ক্যান্সার।
খ. উদ্ভিদের ত্বকীয় কিউটিকল পাতলা হলে তা ভেদ করে কিছু পানি বাষ্পাকারে বের হয়ে যায়।
এই প্রক্রিয়াকে কিউটিকুলার প্রস্বেদন বলা হয়। অত্যধিক শুষ্কাবস্থায় যখন পত্ররন্ধ্র বন্ধ হয়ে যায় তখন এ প্রক্রিয়াটি চলতে পারে ।
গ. উদ্দীপকের X এর উপাদানগুলো হলো লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অণুচক্রিকা। উপাদানগুলো আমাদের দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এগুলোর গুরুত্ব নিচে বর্ণনা করা হলো-
লোহিত রক্তকণিকা: লোহিত রক্তকণিকার হিমোগ্লোবিন ফুসফুস হতে অধিকাংশ অক্সিজেন দেহকোষে এবং সামান্য কার্বন ডাইঅক্সাইড কোষ হতে ফুসফুসে নিয়ে যায়।
এছাড়া হিমোগ্লোবিন ও অন্যান্য অন্তঃকোষীয় বস্তু বাফাররূপে রক্তে অম্ল-ক্ষারের সমতা রক্ষা করে। লোহিত কণিকা রক্তের সান্দ্রতা রক্ষা করে এবং এর প্লাজমামেমব্রেনে যেসব অ্যান্টিজেন প্রোটিন সংযুক্ত থাকে তা মানুষের ব্লাডগ্রুপিং-এর জন্য দায়ী।
শ্বেত রক্তকণিকা: মনোসাইট ও নিউট্রোফিল ধরনের শ্বেত রক্তকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ভক্ষণ করে ধ্বংস করে। লিম্ফোসাইট অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করে রোগ প্রতিরোধ করে বলে এদের আণুবীক্ষণিক সৈনিক বলা হয়।
বেসোফিল ধরনের শ্বেত কণিকা হেপারিন তৈরি করে যা রক্তনালির ভেতরে রক্ততঞ্চন রোধ করে। এছাড়া দানাদার শ্বেত কণিকাগুলো হিস্টামিন সৃষ্টি করে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
নিউট্রোফিলের দানা বিষাক্ত ও তা জীবাণু ধ্বংস করে। আবার ইওসিনোফিল রক্তে প্রবেশকৃত কৃমির লার্ভা এবং অ্যালার্জিক অ্যান্টিবডি ধ্বংস করে।
অণুচক্রিকা: অণুচক্রিকা দেহের কাঁটা স্থানে রক্ত তঞ্চন ঘটায়। এছাড়া অণুচক্রিকা সেরাটোনিন নামক রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন করে যা রক্তনালির সংকোচন ঘটিয়ে রক্তপাত কমিয়ে দেয়।
উপরিউক্ত আলোচনা হতে বোঝা যায় যে, উদ্দীপকের কোষসমূহ আমাদের দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্র: Y হলো মানুষের রক্ত সংবহনতন্ত্রের প্রধান অঙ্গ হূৎপিণ্ড। নিচে মানবদেহে এর ভূমিকা বিশ্লেষণ করা হলো-
মানুষের হূৎপিণ্ড চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট। এর সাথে ফুসফুসের সংযোগ থাকে। সমগ্রদেহ থেকে রক্ত হপিণ্ডে আসে। এই সময় রক্ত কোষীয় বিপাকের ফলে উৎপন্ন CO, শোষিত খাদ্যপুষ্টি, বিভিন্ন হরমোন, রেচনে উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থ বহন করে হৃৎপিণ্ডে আনে।
হূৎপিণ্ড এই রক্ত পাম্প করে সমগ্রদেহে ছড়িয়ে দেয়। এর পাশাপাশি CO2 যুক্ত রক্তকে ফুসফুসে প্রেরণ করে CO2 কে দেহ থেকে বের করে দেয় এবং O2 যুক্ত বায়ুকে দেহে প্রবেশ করিয়ে নিয়ে আসে।
এই O, যুক্ত রক্ত হৃৎপিণ্ডের সংকোচনে সমগ্রদেহে প্রতিটি কোষে পৌঁছে যায় এবং শর্করা বিপাকে সহায়তা করে শক্তি উৎপন্ন করে। যদি হৃৎপিণ্ড না থাকত, তবে সমগ্রদেহে রক্ত চলাচল করত না।
কোনো কিছু পরিবাহিত হত না। আবার O2 এর অভাবে কোষীয় বিপাক সম্পন্ন হতো না। ফলে মানবদেহ মৃত্যুর সম্মুখীন হতো।
বিশ্লেষণমূলক সংক্ষিপ্ত এ আলোচনা থেকে সহজেই বোঝা যায়, হৃৎপিণ্ড মানবদেহে অতি গুরুত্ব ভূমিকা পালন করে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কিউটিকুলার প্রস্বেদন কাকে বলে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কিউটিকুলার প্রস্বেদন কাকে বলে যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।