অ্যানজিনা কাকে বলে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অ্যানজিনা কাকে বলে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অ্যানজিনা কাকে বলে
কলেজ ছাত্র মামুনের বয়স ২১ বছর। মোটা গড়ন। সারাদিন পড়াশুনা ছাড়া অন্য কোনো কাজ করে না। বাইরের খাবার যেমন বিরিয়ানি, তেহারি, বার্গার, ফাস্টফুড খেতেই বেশি পছন্দ। হঠাৎ একদিন বুকে অসহনীয় ব্যথা অনুভূত হয়। এন্টাসিড খেয়েও ব্যথা কমেনি। সারা বুকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ছে। সে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিল ।
ক. স্ট্রোক কী?
খ. অ্যানজিনা কাকে বলে?
গ. মামুনের আক্রান্ত অঙ্গটির চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করো।
ঘ. মামুন সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবে কী না? ব্যাখ্যা করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যাই হলো স্ট্রোক ।
খ. দেহের অন্যান্য অঙ্গের মতো হূৎপিণ্ডে অক্সিজেন ও খাদ্যসার সরবরাহের প্রয়োজন হয়। হৃৎপিণ্ডের করোনারি ধমনি গাত্রে চর্বি জমা হলে ধমনিতে স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহে বিঘ্ন ঘটে।
ফলে হৃৎপিণ্ড পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও খাদ্যসার না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রক্ত চলাচল কমে যাওয়ার কারণে বুকে ব্যথা অনুভূত হয়।
এই অবস্থাকে অ্যানজিনা বলে। সুতরাং, অ্যানজিনা কোনো রোগ নয় বরং এটি রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যাজনিত বিশেষ অবস্থা।
গ. মামুনের আক্রান্ত অঙ্গটি হলো হৃৎপিণ্ড। নিচে হূৎপিণ্ডের লম্বচ্ছেদের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করা হলো-
ঘ. সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনধারা বজায় রাখতে সঠিক ও পরিমিত খাদ্য গ্রহণ, পরিমিত ব্যায়াম ও হাঁটা-চলার গুরুত্ব অপরিসীম। এগুলোর সাথে। উদ্দীপকের মামুনের সুস্থতার গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
জীবের দৈহিক বৃদ্ধি, বিকাশ ও সুস্থতার জন্য পরিমিত পুষ্টি তথা সু খাদ্যের প্রয়োজন। সুষম খাদ্য পরিপাকের পর, শোষণযোগ্য পুষ্টি উপাদান রক্তের মাধ্যমে দেহের সকল কোষে পৌঁছে থাকে। আবার, বিরামহীন এবং
গতিশীল সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে হূৎপিণ্ড সম শরীরে এ রক্ত সঞ্চালন করে থাকে। কোনো কারণে হূৎপিণ্ডের গতিশীল সংকোচন-প্রসারণ বন্ধ হলে জীবের স্বাভাবিক জীবন !
ব্যাহত হয় এমনকি মৃত্যু ঘটে। তাই সুস্থ জীবন ধারা বজায় রাখতে হূৎপিণ্ডের সুস্থতা আবশ্যক। বিভিন্ন ধরনের তেল ও চর্বি জাতীয় খাদ্য হূৎপিণ্ডের কার্যক্রমকে ব্যাহত করে।
অধিক মাত্রায় তেল ও চর্বি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করলে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে কোলেস্টেরোল জমা হয়ে রক্ত প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি করে।
প্রতিদিন পরিমিত ব্যায়াম ও হাঁটা-চলা করলে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে কোলেস্টেরোল জমতে পারে না এবং হৃৎপিণ্ডের সংকোচন-প্রসারণ . ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
এতে সমস্ত শরীরে স্বাভাবিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে সমস্ত শরীরে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন ঘটে, ফলে সকল কোষ পর্যাপ্ত পুষ্টি ও O2 পেয়ে থাকে ।
সুতরাং, মেদ সৃষ্টিকারী খাদ্য যেমন- তেল, চর্বি, অতিরিক্ত শর্করা পরিহার ও সুষম খাদ্য গ্রহণ, প্রতিদিন পরিমিত ব্যায়াম এবং হাঁটা-চলার মাধ্যমে উদ্দীপকের মামুনের পক্ষে সুস্থ জীবন লাভ করা সম্ভব ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ অ্যানজিনা কাকে বলে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অ্যানজিনা কাকে বলে যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।