অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত এবং কেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্গত কি বুঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্গত
অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্গত
আমাদের চারপাশে অগণিত জীবসত্ত্বা বিদ্যমান। তাদের সহজে চেনার জন্য অসংখ্য অঞ্চলভিত্তিক নাম রয়েছে। দ্বিপদ নামকরণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কিছু নীতিমালা প্রদান করা হয়েছে।
ক. বংশগতিবিদ্যা কী?
খ. অ্যামিবা কেন প্রোটিস্টা রাজ্যের অন্তর্গত?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত পদ্ধতির নিয়মাবলি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মনে করো উদ্দীপকের বর্ণিত নামকরণ পদ্ধতিটি প্রত্যেক জীবকে জানার একমাত্র উপায় যুক্তিসহ আলোচনা করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. ভৌত জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জিন ও জীবের বংশগতির ধারা সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সে শাখাই হলো বংশগতিবিদ্যা।
খ. অ্যামিবা এককোষী, একক এবং সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট। এর কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে।
অ্যামিবার কোষে সকল ধরনের অঙ্গাণু থাকে। অ্যামিবার খাদ্য গ্রহণ শোষণ ও গ্রহণ পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। দ্বিবিভাজন ও স্পোরুলেশনের মাধ্যমে এদের জনন ঘটে, কোনো ভূণ গঠিত হয় না।
প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবে এ সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে। অ্যামিবায় প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবদের বৈশিষ্ট্য থাকে বলে অ্যামিবা প্রোটিস্টা রাজ্যের অন্তর্গত।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত পদ্ধতিটি হলো দ্বিপদ নামকরণ। দ্বিপদ নামকরণে কিছু সুনির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। নীতিগুলো হলো—নামকরণে অবশ্যই ল্যাটিন শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
ii. বৈজ্ঞানিক নামের দুটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশটি গণ নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতির নাম। যেমন- Mangifera indica এটি আমের বৈজ্ঞানিক নাম, এখানে Mangifera গণ নাম এবং indica প্রজাতি নাম।
iii. জীবজগতে প্রতিটি বৈজ্ঞানিক নামকে অনন্য হতে হয়।
iv. বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর ইংরেজি বড় হরফে হবে বাকি অক্ষরগুলো ছোট হরফে হবে এবং দ্বিতীয় অংশটির নাম ছোট হরফ দিয়ে লিখতে হবে। যেমন- আম - Mangifera indica বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় সর্বদা ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে। যেমন- কাঁঠাল - Artocarpus heterophyllus
vi. হাতে লেখার সময় গণ ও প্রজাতির নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হয়। যেমন- আম - Mangifera indica..
vii. যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী একটি জীবের বিভিন্ন নামকরণ করে। তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসারে প্রথম বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহীত হবে ।।
viii. যিনি প্রথম কোনো জীবের বিজ্ঞানসম্মত নাম দিবেন তার নাম অনুসৃত উক্ত জীবের বৈজ্ঞানিক নামের সাথে সংক্ষেপে সংযোজন করতে হবে।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত নামকরণ পদ্ধতিটি হলো দ্বিপদ নামকরণ। প্রতিটি জীবকে সহজে ভালোভাবে জানার জন্য জীবের শ্রেণিবিন্যাস করা প্রয়োজন। শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে প্রতিটি জীবের দল ও উপদল সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণ করা যায়।
শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে জীবজগতের ভিন্নতার প্রতি আলোকপাত করে আহরিত জ্ঞানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা, পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানকে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করে প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করার মাধ্যমে তার নামকরণ করা যায়।
দ্বিপদ নামকরণ জীব চেনার জন্য সবচেয়ে উপযোগী এবং সার্বজনীন নামকরণ ব্যবস্থা। জীবের গণ ও প্রজাতি নাম দিয়ে দ্বিপদ নামকরণ করা হয়।
দ্বিপদ নামের দ্বারা পৃথিবীর যেকোনো অঞ্চলের মানুষ পৃথিবীর যে কোনো অঞ্চলের জীব সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবে। দ্বিপদ নাম দ্বারা বৈচিত্র্যময় জীবজগতের প্রতিটি জীবকে আলাদা নামে সঠিকভাবে জানা যায়।
জীবের নামটি অনন্য তাই সারা বিশ্বে একই নামে পরিচিত হয়। এ পৃথিবীর বিভিন্ন জীবের বিভিন্ন আঞ্চলিক নাম রয়েছে, যার মাধ্যমে ঐ অঞ্চলের মানুষ সংশ্লিষ্ট জীবকে চিনতে পারে।
কিন্তু এক্ষেত্রে একই জীবের নাম ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে আলাদা আলাদা হওয়ায় সকলের জন্য জীবটিকে চেনা সহজ হয় না। তাই, আমি মনে করি সঠিক ও বৈজ্ঞানিকভাবে সারা বিশ্বে প্রত্যেক জীবকে জানার জন্য দ্বিপদ নামকরণই একমাত্র উপযোগী উপায়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্গত
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্গত. যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।