অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত এবং কেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জীব? কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জীব? কেন
ক. টিস্যু কী ?
খ. অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জীব? কেন ?
গ. R-এর গঠন বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করো।
ঘ. R-এর অনুপস্থিতিতে জীবকুলে কী ঘটবে? বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. একই স্থান থেকে উৎপন্ন অভিন্ন গঠন ও কাজবিশিষ্ট একগুচ্ছ কোষই হলো টিস্যু।
খ. অ্যামিবা প্রোটিস্টা রাজ্যের অন্তর্গত জীব। কারণ অ্যামিবার বৈশিষ্ট্য হলো- এরা এককোষী, সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট, কোষের ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা বেষ্টিত এবং DNA, RNA ও প্রোটিন সমৃদ্ধ, অযৌন প্রজনন ও কনজুগেশনের মাধ্যমে যৌন প্রজনন সম্পন্ন হয়, যা প্রোটিস্টা রাজ্যের বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে যায়।
গ. উদ্দীপকের চিত্র-R হলো ক্লোরোপ্লাস্ট। উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদকোষে ক্লোরোপ্লাস্টের আকৃতি সাধারণত লেন্সের মতো হয়ে থাকে। শৈবাল কোষে এদের আকৃতি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে; যেমন- পেয়ালাকৃতি, সর্পিলাকার, জালিকাকার, তারকাকার, ́ অর্ধচন্দ্রাকার ইত্যাদি। ক্লোরোপ্লাস্ট গঠন বৈশিষ্ট্য নিচে বর্ণনা করা হলো—
ক্লোরোপ্লাস্ট দুই স্তরবিশিষ্ট অর্ধভেদ্য ঝিল্লি দিয়ে আবৃত থাকে। এটি লিপিড ও প্রোটিন দিয়ে গঠিত। ঝিল্লি দ্বারা আবৃত পানিগ্রাহী ম্যাট্রিক্স বিদ্যমান। এই ম্যাট্রিক্সকে স্ট্রোমা বলে ।
এতে একটি DNA অণু বিদ্যমান স্ট্রোমাতে সুবিন্যন্ত ৪০-৮০টি পিপা আকৃতির () থাকে। একটি গ্রানামে (একবচন) ৫-২৫টি গ্রানাম চাকতি থাকে। দু'টি পাশাপাশি গ্রানার কিছু সংখ্যক প্রানাম চাকতি সূক্ষ্ম নালিকা দিয়ে সংযুক্ত থাকে।
এই সংযোগকারী নালিকাকে স্ট্রোমা ল্যামেলি বলে। গ্রানাম চাকতির ঝিল্লির ভিতরের দিকে বহু স্ফটিকাকার ব সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো থাকে। এদের কোয়ান্টোজোম বলে।
ঘ. চিত্র-R হলো কোরোপ্লাস্ট। এটি সকল সবুজ উদ্ভিদকোষে বিদ্যমান থাকে। ক্লোরোপ্লাস্টে সালোকসংশ্লেণকারী বর্ণকণিকা ক্লোরোফিল থাকে। 4 ক্লোরোফিলের সাহায্যে উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের খাদ্য তৈরি করে বেঁচে থাকে।
সবুজ উদ্ভিদের প্রস্তুতকৃত খাদ্য তার নিজের বিভিন্নন্ন জৈবনিক কাজে শক্তি যোগায়, ফলে উদ্ভিদ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং পরবর্তীতে ফুল ধারণ করে।
পরাগায়ন ও নিষেকের মাধ্যমে ফুল থেকে ফল ও বীজ উৎপন্ন হয়ে প্রজাতির ধারা অব্যাহত থাকে। বিপরীতে ক্লোরোপ্লাস্টের অনুপস্থিতিতে উদ্ভিদকুল বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আবার, প্রাণিকূল খাদ্যের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সবুজ উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল।
অন্যদিকে, সালোকসংশ্লেষণের ফলে নির্গত O2 প্রাণীর শ্বসনের জন্য অপরিহার্য। এছাড়া, সালোকসংশ্লেষণের সময় উদ্ভিদ পরিবেশ থেকে CO2 গ্রহণ করে এবং O, ত্যাগ করে, ফলে পরিবেশে গ্যাসীয় ভারসাম্য রক্ষা পায়।
সুতরাং, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায়, ক্লোরোপ্লাস্ট না থাকলে সবুজ উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল প্রাণিকুল বিলীন হয়ে যেত। তাছাড়া গ্যাসীয় সাম্যাবস্থা না থাকলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেত। এতে পরিবেশে জীবকূল টিকে থাকতে পারতো না।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জীব? কেন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জীব? কেন যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।