Aids কে ঘাতক ব্যাধি বলা হয় কেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো aids কে ঘাতক ব্যাধি বলা হয় কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের aids কে ঘাতক ব্যাধি বলা হয় কেন
ক. দ্বি-নিষেক কী?
খ. AIDS কে ঘাতক ব্যাধি বলা হয় কেন ?
গ. উদ্দীপকে 'C' চিত্রের উপাদানগুলোর কাজ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্ভিদের পরিবহনে A ও B এর ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. প্রায় একই সময়ে দু'টি পুংজনন কোষের একটি ডিম্বাণু (n) ও অপরটি গৌণ কেন্দ্রিকার (2n) সাথে মিলিত হওয়ার ঘটনাই হলো দ্বি- নিষেক ।
খ. HIV ভাইরাসের আক্রমণে AIDS রোগ হয়ে থাকে। এ ভাইরাস শ্বেত রক্তকণিকার ক্ষতিসাধন করে ও এ কণিকার অ্যান্টিবডি তৈরিতে বিঘ্ন ঘটায়।
ফলে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা ও অ্যান্টিবডির পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকে। এই ভাইরাসের আক্রমণে রোগীর দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিনষ্ট হয়ে যায় ফলে রোগীর মৃত্যু অনিবার্য হয়ে পড়ে।
AIDS- এর আক্রমণে রোগীর মৃত্যু যেহেতু অনিবার্য এবং এর কোনো ঔষধ নেই তাই একে ঘাতক ব্যাধি বলা হয় ।
গ. উদ্দীপকের 'C' চিত্রের উপাদানগুলো যথাক্রমে লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অণুচক্রিকা। রক্তের এ উপাদানগুলো আমাদের দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এগুলোর কাজ নিচে ব্যাখ্যা করা হলো- লোহিত রক্তকণিকা: লোহিত রক্তকণিকার হিমোগ্লোবিন ফুসফুস হতে অধিকাংশ অক্সিজেন দেহকোষে এবং সামান্য কার্বন ডাইঅক্সাইড কোষ হতে ফুসফুসে নিয়ে যায়।
এছাড়া হিমোগ্লোবিন ও অন্যান্য অন্তঃকোষীয় বস্তু বাফাররূপে রক্তে অম্ল-ক্ষারের সমতা রক্ষা করে। লোহিত কণিকা রক্তের সান্দ্রতা রক্ষা করে এবং এর প্লাজমামেমব্রেনে যেসব অ্যান্টিজেন প্রোটিন সংযুক্ত থাকে তা মানুষের ব্লাডগ্রুপিং-এর জন্য দায়ী।
শ্বেত রক্তকণিকা: মনোসাইট ও নিউট্রোফিল ধরনের শ্বেত রক্তকণিকা | ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ভক্ষণ করে ধ্বংস করে।
লিম্ফোসাইট অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করে রোগ প্রতিরোধ করে বলে এদের আণুবীক্ষণিক সৈনিক বলা হয়। বেসোফিল ধরনের শ্বেত কণিকা হেপারিন তৈরি করে যা রক্তনালির ভেতরে রক্ততঞ্চন রোধ করে।
এছাড়া দানাদার শ্বেত কণিকাগুলো হিস্টামিন সৃষ্টি করে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিউট্রোফিলের দানা বিষাক্ত ও তা জীবাণু ধ্বংস করে। আবার ইওসিনোফিল রক্তে প্রবেশকৃত কৃমির লার্ভা এবং অ্যালার্জিক অ্যান্টিবডি ধ্বংস করে।
অণুচক্রিকা: অণুচক্রিকা দেহের কাঁটা স্থানে রক্ত তঞ্চন ঘটায়। এছাড়া অণুচক্রিকা সেরাটোনিন নামক রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন করে যা রক্তনালির সংকোচন ঘটিয়ে রক্তপাত কমিয়ে দেয়।
ঘ. উদ্দীপকে A ও B যথাক্রমে জাইলেম ও ফ্লোয়েম টিস্যু। এরা মূলত পরিবহন টিস্যু। পানি ও খনিজ লবণ পরিবহনে পরিবহন টিস্যুতন্ত্রের ভূমিকা অপরিসীম। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-
পরিবহন বলতে একস্থান থেকে অন্য স্থানে কোনো পদার্থের স্থানান্তর বোঝায়। পানি ও খনিজ লবণের চলাচলকে উদ্ভিদে পরিবহন বলে। প্রথমে মূলরোম দিয়ে পানি ও খনিজ লবণ শোষিত হয়ে অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় কার্টেক্সের মধ্য দিয়ে জাইলেম ভেসেলে পৌছায়।
জাইলেম ভেসেলের মাধ্যমে পানি ও খনিজ লবণ উদ্ভিদে উপরের দিকে উঠে। প্রস্বেদন টান, কৈশিক শক্তি ও মূলজ চাপের ফলে কোষরস উদ্ভিদের পাতায় পৌঁছে যায়।
এভাবে পাতায় পানি পৌঁছালে সেখানে খাদ্য প্রস্তুত হয়। প্রস্তুত খাদ্য উদ্ভিদের বিভিন্ন এলাকায় পরিবহনের দায়িত্ব গ্রহণ করে ফ্লোয়েম টিস্যু। এ খাদ্য ফ্লোয়েমের সিভনলের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়।
উদ্ভিদের বিভিন্ন যৌগ ফ্লোয়েম টিস্যুর মাধ্যমে বিপরীত দিকে একই সাথে চলাচল করে। উদ্ভিদের নিচের দিকের যৌগগুলো নিচের দিকে, উপরে সংশ্লেষিত যৌগগুলো উপরের দিকে এবং উদ্ভিদের মাঝামাঝি এলাকায় সংশ্লেষিত পদার্থগুলো উপরে বা নিচে যে কোনো দিকে প্রবাহিত হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ aids কে ঘাতক ব্যাধি বলা হয় কেন
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম aids কে ঘাতক ব্যাধি বলা হয় কেন যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।