সংগঠনের নীতিমালা সমূহ আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সংগঠনের নীতিমালা সমূহ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সংগঠনের নীতিমালা সমূহ আলোচনা কর।
সংগঠনের নীতিমালা সমূহ আলোচনা কর |
সংগঠনের নীতিমালা সমূহ আলোচনা কর
উত্তর ভূমিকা : সংগঠন হচ্ছে প্রশাসন ব্যবস্থাকে কার্যকর রাখার হাতিয়ার। মানবসমাজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধন করতে সংগঠনের গুরুত্ব অপরিসীম।
মানবসমাজ ও জীবনকে অধিকতর কল্যাণময়ী করতে সংগঠনের কতিপয় নীতিমালা রয়েছে। সমাজের অভিন্ন লক্ষ্যার্জনে এবং সমাজজীবনে সুশৃঙ্খলা আনয়নে সাংগঠনিক নীতিমালার বিকল্প নেই।
মূলত সংগঠন যে উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা হয় তার সফলতা বহুলাংশে ঐ সংগঠনের নীতিমালার দ্বারা নির্ধারিত হয় ।
সংগঠনের নীতিসমূহ : সমাজবদ্ধ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অভিন্ন লক্ষ্যার্জনের উদ্দেশ্যে সংগঠনের সৃষ্টি। তাই বৃহত্তর মানবকল্যাণ নিশ্চিত করতে সংগঠনের কতিপয় নীতি রয়েছে। নিম্নে সংগঠনের নীতিমালা সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :
১. পদসোপান নীতি : সংগঠনের অন্যতম একটি নীতি হলো এর পদসোপান নীতি। সংগঠনের সব কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে পরিচালনা করতে নিয়োজিত নিম্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গের ওপর উচ্চ স্তরের
ব্যক্তিবর্গের নিয়ন্ত্রণ হলো এর মূল কথা। এ নীতির মাধ্যমে অধস্তন কর্মচারী উচ্চপদস্থ কর্মচারীর নিকট তার কর্মের জন্য দায়ী থাকে।
২. শ্রমবণ্টন : শ্রমবণ্টন প্রতিটি সংগঠনেরই অপরিহার্য নীতি। শ্রমের সঠিক বন্টননীতি দ্বারা মানবসমাজের বৃহত্তর কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
তাছাড়া শ্রম বন্টননীতি চালু থাকলে সংগঠনে নিয়োজিত সব ব্যক্তিকে তার যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী নিয়োগ দান করা সম্ভব হয় ।
৩. সমন্বয় : সংগঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো সমন্বয়সাধন করা। সংগঠনে নিয়োজিত সব কমের মধ্যে সমন্বয়সাধন ছাড়া বৃহত্তর মানব কল্যাণ সম্ভব নয়।
সংগঠনের সব পর্যায়ে নিয়োজিত ব্যক্তির কাজের তদারকি এবং সবার মধ্যকার বিরোধ নিরসনে সমন্বয় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয় ।
৪. আদেশগত ঐক্য : সংগঠনের একটি অন্যতম নীতি হলো এর আদেশগত ঐক্য। এর অর্থ হলো সংগঠনে নিয়োজিত অধস্তন কর্মচারীর জন্য কেবলমাত্র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার আদেশ পালনীয় বলে গণ্য হবে ।
৫. কর্তৃত্ব হস্তান্তর : সংগঠনের লক্ষ্যার্জনে কর্তৃত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি । প্রধান নির্বাহীর কাছ থেকে ক্ষমতা নিম্ন স্তরের সব পর্যায়ে হস্তান্তর করার মাধ্যমে প্রশাসন ব্যবস্থায় গতিশীলতা বজায় রাখা যায়।
৬. লাইন ও স্টাফ নীতি : লাইন ও স্টাফ নীতি সংগঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। লাইন ও স্টাফ নীতি দ্বারা প্রধান নির্বাহীর নিকটস্থ দুই শ্রেণির কর্মচারীকে বুঝানো হয় । যেখানে লাইন শ্রেণি কর্মের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকে এবং স্টাফ শ্রেণি পরামর্শ দান করে।
৭. কেন্দ্রীকরণ ও বিকেন্দ্রীকরণ : কেন্দ্রীকরণ এবং বিকেন্দ্রীকরণ প্রশাসনিক সংগঠনের অন্যতম নীতি হিসেবে স্বীকৃত। যেখানে কেন্দ্রীকরণ দ্বারা সব ক্ষমতা প্রধান নির্বাহীর হাতে ন্যস্ত করা হয় ।
আবার বিকেন্দ্রীকরণ দ্বারা কেন্দ্র থেকে নিম্ন স্তরে ক্ষমতা বণ্টন করা হয় । আধুনিককালে বিকেন্দ্রীকরণ নীতির প্রয়োগই বেশি দেখা যায় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রশাসনিক সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধনে এর নীতিমালা নির্ধারণ করা অপরিহার্য।
যথার্থ নীতিমালা ছাড়া কোনো সংগঠনের পক্ষেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যার্জন সম্ভব নয়। উপযুক্ত নীতিমালার বাইরেও কিছু নীতি রয়েছে যা প্রশাসনিক সংগঠনের সফলতা অর্জনের অন্যতম শর্ত ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সংগঠনের নীতিমালা সমূহ আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সংগঠনের নীতিমালা সমূহ আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।