সমন্বয় সাধনের উপায় সমূহ কি কি
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সমন্বয় সাধনের উপায় সমূহ কি কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সমন্বয় সাধনের উপায় সমূহ কি কি।
সমন্বয় সাধনের উপায় সমূহ কি কি |
সমন্বয় সাধনের উপায় সমূহ কি কি
উত্তর ভূমিকা : সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য প্রশাসনিক সংগঠনের সমন্বয়সাধন করা একান্ত আবশ্যক।
কোনো প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সময় ও সম্পদের অপচয় এবং সংগঠনের কর্ম সম্পাদনের শৈথিল্য রোধ করে বলে, সমন্বয়সাধন হলো সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রমে পরিকল্পনা, নিয়ন্ত্রণ ও প্রেষণার মূল চাবিকাঠি। অধ্যবসায়, মনোবল, বুদ্ধি ও কৌশলের মাধ্যমেই কেবল প্রশাসনিক সংগঠনে সমন্বয় অর্জন করা সম্ভব ।
সমন্বয়সাধনের উপায়সমূহ : সাধারণত দুটি উপায়ে বা পদ্ধতিতে সমন্বয়সাধন অর্জন করা যায়। যথা : ক. আনুষ্ঠানিক উপায় এবং খ. অনানুষ্ঠানিক উপায় ।
ক. আনুষ্ঠানিক উপায় : সংগঠনে সমন্বয়সাধনের ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক উপায় কতকগুলো পদ্ধতি অবলম্বন করে ।
১. সাংগঠনিক কলাকৌশল : বিভিন্ন সংগঠনে কার্যসম্পাদনের জন্য নানা ধরনের সাংগঠনিক কলাকৌশল রপ্ত করার চেষ্টা করা হয়।
সাংগঠনিক কলাকৌশলের অংশ হিসেবে যেসব প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয় সেগুলো হলো সম্মেলন, আন্তঃবিভাগীয় অধিবেশন, সিম্পোজিয়াম প্রভৃতি ।
২. আঞ্চলিক পরিষদ : কোনো কোনো প্রশাসনিক সংগঠনে কাজকর্ম আঞ্চলিক প্রশাসনের হাতে ন্যস্ত করা হয়ে থাকে। ফলে এসব আঞ্চলিক প্রশাসনে কাজের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কাজগুলো সম্পাদিত হয়ে থাকে বলে প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় গড়ে ওঠে
৩. পরিকল্পনা : পরিকল্পনা ছাড়া কোনো কাজ সম্পাদন করা সম্ভব নয় । পরিকল্পনা ব্যতীত যেকোনো কাজের সফলতা লাভ করা সম্ভবপর নয় বিধায় পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে যেকোনো সংগঠনে সমন্বয়সাধন কার্যসম্পাদন করা হয়ে থাকে ।
৪. বিভিন্ন কমিটি : প্রশাসনিক সংগঠনের কার্যাবলি তত্ত্বাবধান করার জন্য বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলে যেকোনো সংগঠনের মধ্যে সমন্বয়সাধন হয়ে থাকে ।
৫. যথাযথ আইনের প্রবর্তন : অনেক সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজের মধ্যে সমন্বয় করার জন্য প্রয়োজনীয় আইন থাকে না ।
তাই যেকোনো প্রশাসনিক সংগঠনে যথাযথ আইন প্রণয়ন করতে হবে যাতে সমন্বয়সাধন প্রচেষ্টা অতি সহজে সম্পাদন করা যায় ।
৬. শক্তিশালী সংগঠন : শক্তিশালী সংগঠন যেকোনো প্রশাসনকে দ্বন্দ্ব সংঘাত পরিহার করে সংগঠনকে শক্তিশালী করে তোলে । তাই শক্তিশালী সংগঠনের মাধ্যমে যেকোনো প্রশাসনিক কাঠামোতে সমন্বয়সাধন করা হয়ে থাকে ।
খ. অনানুষ্ঠানিক উপায় : প্রশাসনিক সংগঠনে সমন্বয়সাধনের ক্ষেত্রে অনানুষ্ঠানিক উপায় বা পদ্ধতিসমূহ সুষ্ঠুভাবে কার্যকর। সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও প্রশাসনিক দ্বন্দ্ব নিরসনে সমন্বয় কার্যকর উপায় হিসেবে কাজ করে।
এছাড়া খেলার মাঠ, ক্লাব, রেস্তোরাঁ, ভোজসভা, লাইব্রেরি বা পাঠাগার তাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। তাই অনানুষ্ঠানিক আলাপ-আলোচনা সমন্বয়সাধনে সহযোগিতা করে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আধুনিক ও বৃহৎ জটিল সংগঠনে সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সংগঠনের কেন্দ্রীয় উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য ও সময় অপচয় রোধের জন্য সমন্বয়সাধন প্রয়োজন ।
একটি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ ও কর্মসূচির পৃথক লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত ও সার্বিক লক্ষ্যার্জন করা হয়। তাই বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে কাজের সমন্বয়সাধন করা একান্ত আবশ্যক।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সমন্বয় সাধনের উপায় সমূহ কি কি
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সমন্বয় সাধনের উপায় সমূহ কি কি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।