সমন্বয় সাধনের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সমন্বয় সাধনের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সমন্বয়সাধনের গুরুত্ব আলোচনা কর।
সমন্বয় সাধনের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর |
সমন্বয় সাধনের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর
- অথবা, সমন্বয়সাধনের গুরুত্ব আলোচনা কর ।
- অথবা, সমন্বয়সাধনের প্রয়োজনীয়তা সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর ভূমিকা : আধুনিকালের সংগঠনগুলো বৃহদায়তন হয়ে থাকে। সমন্বয়ই হলো সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রমের পরিকল্পনা, নিয়ন্ত্রণ ও প্রেরণার মূল চাবিকাঠি। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য প্রশাসনিক সংগঠনে সমন্বয়সাধন করা একান্ত আবশ্যক।
সমন্বয় ব্যতীত কোনো সংগঠন টিকে থাকতে পারে না বা তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না । তাই আধুনিক ও বৃহৎ জটিল সাংগঠনিক ব্যবস্থায় সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য ।
© সমন্বয়সাধনের প্রয়োজনীয়তা : প্রশাসনিক সংগঠনগুলোতে অনেক সময় জটিলতা দেখা দিতে পারে । আধুনিক বৃহৎ জটিল সাংগঠনিক ব্যবস্থায় সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। নিম্নে সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন : সংগঠনে সমন্বয় একটি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করে থাকে। তাই যেকোনো প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সমন্বয়সাধন প্রয়োজন।
২. কাজের দ্বৈততা রোধ : প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগ ও ব্যক্তি বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে। কাজের দ্বৈততা রোধ করে সমস্ত বিভাগে দায়িত্বগুলো ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত করার কাজ করে থাকে সমন্বয় ।
৩. সম্পদের সুসম ব্যবহার : পৃথিবীতে সম্পদের পরিমাণ সসীম আর চাহিদা বা অভাব অসীম। সীমিত সম্পদ দ্বারা বৃহৎ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সমন্বয়সাধন প্রয়োজন ।
৪. ঐক্য প্রতিষ্ঠা : ঐক্য প্রতিষ্ঠা যেকোনো সংগঠনের অন্যতম প্রধান কাজ হিসেবে বিবেচিত। তাই সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় হিংসা বিদ্বেষ প্রতিবন্ধকতা দূর করে বিভিন্ন বিভাগ ও কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতা ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা হয়।
৫. যোগাযোগ স্থাপন : একটি বৃহত্তর প্রশাসনে বিভিন্ন ইউনিটের মাধ্যমে কাজ সম্পাদিত হয়ে থাকে। তাই একটি ইউনিটের সাথে অপর ইউনিটের যোগাযোগ স্থাপন করতে সমন্বয়সাধন প্রয়োজন ।
৬. ভারসাম্য রক্ষা : যেকোনো প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কর্মচারীদের দক্ষতা, আচরণের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। তাই দক্ষতা ও আচরণের পার্থক্য দূর করে ভারসাম্য বজায় রাখতে সমন্বয়সাধন প্রয়োজন ।
৭. দায়িত্ব ও কর্তব্য বণ্টন : দায়িত্ব ও কর্তব্য বণ্টনের মাধ্যমে প্রশাসনিক সংগঠন তার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয় । এক্ষেত্রে সমন্বয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
৮. যথাযথ কর্মসূচি প্রণয়ন : সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রশাসনিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করে। আর সমন্বয়ই যথাযথ কর্মসূচি প্রণয়নের সুযোগ করে দেয়।
৯. গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি : যেকোনো সংগঠনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। আর এ পরিবেশ বজায় রাখতে সমন্বয়সাধন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
১০. মতানৈক্যের অবসান : সমন্বয় মূলত একটি সামষ্টিক প্রচেষ্টা। বিভিন্ন দল বা বিভাগ কর্মে নিয়োজিত। ফলে তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিতে পারে। তাই মতবিরোধ দূর করার জন্য সমন্বয়সাধন প্রয়োজন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সংগঠনের নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংগঠনের নানা বিভাগের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার নাম সমন্বয়।
সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রমের পরিকল্পনা, নিয়ন্ত্রণ ও প্রেরণার মূল চাবিকাঠি হলো সমন্বয়সাধন প্রক্রিয়া।
সুতরাং সমন্বয়সাধন হলো কোনো সংগঠনের বিভিন্ন অংশের কাজের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা যা ঐ সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা সহজ হয়। তাই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য সমন্বয়সাধন প্রয়োজন ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সমন্বয়সাধনের প্রয়োজনীয়তা সংক্ষেপে লেখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সমন্বয় সাধনের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।