সম্মোহনী নেতৃত্ব কাকে বলে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সম্মোহনী নেতৃত্ব কাকে বলে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সম্মোহনী নেতৃত্ব কাকে বলে।
সম্মোহনী নেতৃত্ব কাকে বলে |
সম্মোহনী নেতৃত্ব কাকে বলে
উত্তর ভূমিকা : সম্মোহনী নেতৃত্ব হলো নেতার বিশেষ গুণ যার সাহায্যে মানুষকে সহজেই প্রভাবিত করা যায়। রাজনীতিতে কোনো কোনো নেতার এমন কিছু কিছু গুণ থাকে যা দ্বারা তিনি জনসাধারণকে নিজের আয়ত্তে রাখতে পারেন।
রাজনীতির ভাষায় এটিকে বলা যায় সম্মোহনী নেতৃত্ব। ব্যক্তিগত শক্তির ওপর যখন আনুগত্য নির্ভর করে তখন সম্মোহনী শক্তির উদ্ভব হয় । যুগে যুগে বিশ্বে এমন বহু নেতৃত্বের আবির্ভাব ঘটেছে।
তছালার ডা সম্মোহনী নেতৃত্ব : রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবার সর্বপ্রথম 'ক্যারিশমা' শব্দটি ব্যবহার করেন। সম্মোহনী শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো 'Charisma', 'Charisma' শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ 'Charis' থেকে।
এর অর্থ হলো বিশেষ ব্যক্তিত্ব ও গুণাবলি । আর এ বিশেষ ব্যক্তিত্ব ও গুণাবলিই সম্মোহনী নেতাকে জনগণের নিকট অধিক জনপ্রিয় করে তোলে ।
অন্যভাবে বলা যায়, যে বিশেষ গুণের সাহায্যে মানুষকে নিজের অনুগত করা যায় তাকে সম্মোহনী নেতৃত্ব বলে ।
প্রামাণ্য সংজ্ঞা :
ম্যাক্স ওয়েবার (Max weber) বলেন, “সম্মোহনী শক্তি হচ্ছে কোনো ব্যক্তির নেতৃত্বের প্রতি চরম ব্যক্তিগত ভক্তি বা আসক্তি এবং তার দ্বারা বীরত্ব বা অন্যান্য গুণের প্রতি ব্যক্তিগত আস্থা ।
লেভার আইরোম্যান ফরমার (Laver Iroman Former) এর মতে, “সম্মোহনী শক্তি হচ্ছে নেতা ও তার অনুসারীদের একটি আবেগময় বন্ধন।”
জেমস ডেভিড (James David) এর মতে, “যখন ঐতিহ্য বা বুদ্ধি কোনো শক্তিই ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় যথেষ্ট বলে বিবেচতি হয় না তখন সম্মোহনী শক্তি সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দেয়।
সম্মোহনী নেতৃত্বের উদাহরণ : কোনো সমাজ বা দেশে যখন বহুবিধ কারণে আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে চরম সংকট দেখা দেয় তখন সেখানে সম্মোহনী নেতৃত্বের আবির্ভাবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
যেমন— বাংলাদেশের শেখ মুজিবুর রহমান, ইন্দোনেশিয়ার আহম্মেদ সুকর্ণ, মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ, দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা প্রমুখ সম্মোহনী শক্তির অধিকারী ছিলেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সম্মোহনী নেতৃত্ব হলো নেতার বিশেষ এক ধরনের গুণ যার মাধ্যমে নেতা জনসাধারণকে তার প্রতি আকৃষ্ট করে।
সম্মোহন প্রতিভা দ্বারা উক্ত নেতা যেকোনো সংকট নিরসনে সচেষ্ট হয়। জাতীয় জীবনে দুর্যোগকালে দেশ, সমাজ তথা জাতিকে মুক্ত করতে সম্মোহনী নেতৃত্বের আবির্ভাব ঘটে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সম্মোহনী নেতৃত্ব কাকে বলে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সম্মোহনী নেতৃত্ব কাকে বলে। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।