সিভিল সার্ভিসের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সিভিল সার্ভিসের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সিভিল সার্ভিসের বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখ।
সিভিল সার্ভিসের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর |
সিভিল সার্ভিসের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর
- অথবা, সিভিল সার্ভিসের বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে লেখ।
- অথবা, সিভিল সার্ভিসের বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা কর।
উত্তর ভূমিকা : সিভিল সার্ভিস বলতে মূলত একটি দেশের বেসামরিক ব্যক্তিদের দ্বারা সংগঠিত সার্ভিসকে বুঝানো হয়। কোনো একটি দেশের সরকারি ও বেসরকারি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্থায়ী জনবল প্রয়োজন হয়।
সরকারের বেসামরিক খাতে স্থায়ীভাবে কাজ করা এমন লোকবলদের সিভিল সার্ভেন্ট বলে। সিভিল সার্ভেন্ট যে সার্ভিস সরবরাহ করে তাকে সিভিল সার্ভিস বলে ।
সিভিল সার্ভিসের বৈশিষ্ট্য : একটি দেশের অন্যান্য সার্ভিস থেকে সিভিল সার্ভিস আলাদা ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন । নিম্নে সিভিল সার্ভিসের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো :
১. পেশাজীবী : সিভিল সার্ভিসের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এরা পেশাজীবী। তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও বিশেষ কাজে নিয়োজিত । যেকোনো পরিস্থিতিতে এবং যেকোনো সরকারের আমলে দায়িত্ব পালন করা এদের একান্ত কর্তব্য।
২. স্থায়ী : সিভিল সার্ভিসের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি একটি স্থায়ী সার্ভিস ব্যবস্থা। সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তারা স্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমা পর্যন্ত কাজ করে অবসর গ্রহণ করেন। দেশের কাঠামো বা সরকারের পরিবর্তন হলেও এদের পরিবর্তন হয় না।
৩. নিরপেক্ষ : সিভিল সার্ভিস একটি নিরপেক্ষ সার্ভিস ব্যবস্থা। সিভিল সার্ভেন্টরা দলমতনির্বিশেষে দেশের হয়ে কাজ করে। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকে না।
৪. পদসোপান : সিভিল সার্ভিস মূলত পদসোপান নীতি অনুসরণ করে চলে। এখানে সিভিল সার্ভেন্টরা যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুসারে পিরামিড আকারে সিভিল সার্ভিসে নিয়োজিত থাকে। এছাড়া অধস্তন কর্মকর্তারা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আদেশ পালন করতে বাধ্য থাকে।
৫. যোগ্য ও দক্ষ : সিভিল সার্ভিস একটি দেশের সবচেয়ে যোগ্য ও দক্ষ সার্ভিস ব্যবস্থা। এ কারণে এখানে উচ্চশিক্ষিত ও যোগ্যতাসম্পন্নদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
৬. আমলাতান্ত্রিক মনোভাব : সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আমলাতান্ত্রিক মনোভাব লক্ষ করা যায়। তারা মূলত আমলা । তাই তাদের মধ্যে জনগণের কল্যাণের চেয়ে কর্তৃপক্ষের আদেশ পালনের দিকেই বেশি মনোযোগ থাকে ।
৭. জনগণের সেবক : সিভিল সার্ভিস জনগণের সেবক। তারা জনগণের সেবার জন্যই নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাই তাদেরকে জনগণের সেবকের মতোই আচরণ করতে হয়।
৮. নির্দিষ্ট দায়িত্ব : সিভিল সার্ভিস অনেকগুলো ধাপে ধাপে ও বিভাগে বিভক্ত থাকে। এ সকল বিভাগ ও উপবিভাগের দায়িত্ব ও কর্তব্য আইন দ্বারা নির্দিষ্ট থাকে । নির্দিষ্ট দায়ীত্বের বাইরে কেউ কোনো কাজ করতে পারে না।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সিভিল সার্ভিস একটি গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস ব্যবস্থা। দেশের সার্বিক কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য সিভিল সার্ভিসের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
তবে সিভিল সার্ভিসকে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী চলতে দিতে হবে। তাহলে সিভিল সার্ভিস রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সিভিল সার্ভিসের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সিভিল সার্ভিসের বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।