সিদ্ধান্ত গ্রহণের সমস্যা সমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের সমস্যাসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সমস্যাসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের সমস্যাসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর |
সিদ্ধান্ত গ্রহণের সমস্যাসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর
উত্তর ভূমিকা : সিদ্ধান্ত গ্রহণ হলো একটি অত্যন্ত জটিল ও কঠিন প্রক্রিয়া। প্রত্যেক সিদ্ধান্ত প্রণেতাকেই সঠিক। যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত প্রণয়নের ক্ষেত্রে নানাবিধ জটিল সমস্যায় নিপতিত হতে হয়।
নানামুখী বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে যেকোনো প্রশাসনিক সংগঠনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে। এসব সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।
● সিদ্ধান্ত গ্রহণের সমস্যা : নিম্নে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সমস্যাসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :
১. রুটিনমাফিক কাজে অধিক ব্যস্ততা : একজন প্রশাসক যখন রুটিনমাফিক কাজে অধিক সময় ব্যয় করেন তখন তাকে দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয় স্থগিত রাখতে হয়, না হয় বাতিল করতে হয়।
২. সমাধানের জন্য সমস্যা নির্বাচনের ব্যর্থতা : সিদ্ধান্ত প্রণয়নের ক্ষেত্রে অনেকগুলো সমস্যার মধ্য থেকে সমাধানের জন্য সবকটি বেছে নিতে হবে। কিন্তু সর্বপ্রথম কোন সমস্যার সমাধান করতে হবে তা ঠিক করা একটি বড় সমস্যা।
৩. সুদীর্ঘ পদ্ধতি বা কার্যপ্রণালি : সিদ্ধান্ত গ্রহণের আর একটি বড় সমস্যা হলো, দীর্ঘ পদ্ধতি অথবা জটিল পদ্ধতি। ৪. পক্ষপাত প্রবণতা : এটিও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য একটি জটিল সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া খুবই দুরূহ ।
৫. তথ্যের অভাব ও অপর্যাপ্ততা : সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রায়শই যথাযথ তথ্য পাওয়া যায় না, পেলেও তা পর্যাপ্ত নয় ।
৬. অপ্রত্যাশিত ফলাফল : কোনোকিছু পেলে বা অর্জন করলে অনেক সময় মনে হয় যে, এটা না পেলেই ভালো হতো আর এটাই হলো অপ্রত্যাশিত ফলাফল। যা অনেক সময় সমস্যার সৃষ্টি করে ।
৭. ব্যক্তিগত পছন্দ : সিদ্ধান্ত গ্রহণের একটি অন্যতম সমস্যা প্রশাসকের ব্যক্তিগত পছন্দ। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসক সবকিছুকে উপেক্ষা করে তার ব্যক্তিগত মতামতকে প্রাধান্য দেন ।
৮. চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠীর প্রভাব : অনেক সময় চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠীর প্রভাবে প্রশাসক সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হন ।
৯. নিমজ্জিত মূল্যের সমস্যা : অতীতের খরচ ও বিনিয়োগকে নিমজ্জিত মূল্য বলা হয়। এ নিমজ্জিত মূল্য ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে না পারলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ যথাযথ হয় না।
ফলে অনেক সময় সংগঠনকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বিরাজমান সমস্যাসমূহ দূর করার মাধ্যমেই যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সমস্যাসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সিদ্ধান্ত গ্রহণের সমস্যাসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।