প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি
প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি |
প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি
উত্তর ভূমিকা : বিশ্বের প্রায় সব দেশেই গুণ ও দক্ষতার ভিত্তিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ লাভ করেন । আর সুষ্ঠু প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, কলাকৌশলের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়, প্রসারিত হয় বিশেষ বিশেষ কর্মক্ষেত্র।
প্রশিক্ষণ সরকার বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত এমন একটি স্বতঃস্ফূর্ত ব্যবস্থা যার মাধ্যমে একজন কর্মী তার কাজ সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে সম্পাদনে সক্ষম হন এবং চিন্তাচেতনায়, জ্ঞান, নৈপুণ্য এবং কর্মতৎপরতা বিকাশের মাধ্যমে অধিক দায়িত্বশীল কার্যসম্পাদনে সফলতা অর্জন করতে পারেন।
প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যই হলো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ভিত্তি। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যতীত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। প্রশিক্ষণেরও নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিদ্যমান। প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নে উপস্থাপন করা হলো :
১. প্রশিক্ষণ একজন কর্মীর সুস্থ চিন্তাধারা, কর্মপদ্ধতি, নৈপূণ্য, দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসিকতার বিকাশ সাধন করে
২. নবনিযুক্ত কর্মীদের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশ ঘটায় এবং তার কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে তোলে ।
৩. প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন কর্মী নতুন পদ্ধতি ও প্রক্রিয়াতে শিক্ষা লাভ করে সংগঠনের নতুন পরিবেশের সাথে সংগতি বিধান করে চলতে পারেন।
৪. প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে কর্মীদের গণমুখী ও জনগণের প্রতি আন্তরিকতাবোধ ও মমত্ববোধের উন্মেষ ঘটে।
৫. কর্মীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞানদান করে ও বিকাশ ঘটায় ।
৬. প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন কর্মী অধিকতর নৈপুণ্য অর্জন ও পদোন্নতির জন্য যোগ্যতা অর্জন করে।
৭. প্রশাসনিক দুর্বলতা ও দোষত্রুটি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের উপযুক্ত ও দক্ষ করা হয়।
৮. প্রশিক্ষণ কর্মীদের উচ্চতর ও অধিকতর দায়িত্ব পালনের সামর্থ্যকে বিকশিত করে।
৯. প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সংগঠনের সর্বপ্রকার পরিবর্তন ও নতুন উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে কর্মীদের মধ্যে সংগতি বিধান করা হয় যাতে প্রত্যেক কর্মী প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত হতে পারে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা হয় যাতে একজন কর্মী তার দক্ষতা, যোগ্যতা ও সুপ্ত সম্ভাবনাকে উত্তরোত্তর বিকশিত করতে সক্ষম হয়।
তার মধ্যে নতুন নতুন জ্ঞান সঞ্চারিত হয়। রাষ্ট্র ও সরকারের সমস্যা ও সম্ভাবনা উভয়ই পরিবর্তনশীল। আর এ পরিবর্তনশীলতার সাথে তাল মিলিয়ে কর্মীদের যুযোগপযোগী করে গড়ে তোলাই প্রশিক্ষণের মৌলিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।