কর্মী সংগ্রহ ও কর্মী নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কর্মী সংগ্রহ ও কর্মী নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কর্মী সংগ্রহ ও কর্মী নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর।
কর্মী সংগ্রহ ও কর্মী নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর |
কর্মী সংগ্রহ ও কর্মী নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর
উত্তর ভূমিকা : লোকপ্রশাসনে কর্মী সংগ্রহ ও কর্মী বাছাই একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বর্তমান রাষ্ট্র জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র ।
ফলে রাষ্ট্রের কার্যাদি যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি প্রশাসনিক কাজও হয়ে গেছে জটিল থেকে জটিলতর। এ জটিল প্রশাসনের সফলতার জন্য প্রয়োজন যোগ্য ও দক্ষ কর্মী সংগ্রহ ও বাছাইকরণ।
কর্মী সংগ্রহ ও কর্মী বাছাই প্রক্রিয়া অনেক জটিল বিষয়। তবে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যোগ্য কর্মী সংগ্রহ ও সঠিক কর্মী বাছাইয়ের কোনো বিকল্প নেই।
কর্মী সংগ্রহ : কোনো সংগঠনের প্রতি বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন লোককে আকর্ষণ করে নিয়ে আসার পদ্ধতি হলো Recruitment বা কর্মী সংগ্রহ।
প্রামাণ্য সংজ্ঞা :
এডউইন বি. ফিলিপস এর মতে, "Recruitment is the process of attaching for potential candidates and stimuling and motivating them to apply for a job in the organization.
Killingner বলেছেন, “নিয়োগ হচ্ছে সংগঠনের শূন্য পদসমূহের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে যোগ্যতম প্রার্থীদের বাছাই করার একটি প্রক্রিয়া।"
কর্মী সংগ্রহ একটি চলমান প্রক্রিয়া। বস্তুত বিজ্ঞাপন প্রদান হতে শুরু করে সংগঠনের বিশেষ পদে নিয়োগ করা পর্যন্ত কর্মী সংগ্রহের কাজ অব্যাহত থাকে। অর্থাৎ, এটি হলো কর্মী সংগ্রহের কাজ।
Advertising Final Placement
কর্মী বাছাই : কর্মী নিয়োগের প্রয়োজনীয়, উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হলো কর্মী বাছাই। এটি Stafing এর দ্বিতীয় ধাপ।
নির্বাচনের উদ্দেশ্য হলো সঠিক কাজে সঠিক লোককে সঠিক স্থানে নিয়োজিত করা বা দায়িত্ব প্রদান করা। ম্যাগিসন এ প্রক্রিয়াকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে তিনটি ধাপের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। যথা :
1. Selection can be defined with proces of determining from among the applicant which one's best fill the job specification and should be affording position in the organisation.
2. Selection is the most important place of the total staffing process.
3. Selection is the process of packing individual who have the necessary and valuable qualification to fill in the organisation.
কর্মী সংগ্রহ ও কর্মী বাছাইয়ের মধ্যে পার্থক্য : নিম্নে কর্মী সংগ্রহ ও বাছাইয়ের মধ্যকার পার্থক্যগুলো উল্লেখ করা হলো :
১. দৃষ্টিকোণ : নিয়োগকে আমরা Positive বা হ্যাঁ-সূচক বা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করতে পারি। কেননা যেসব কর্মীর ন্যূনতম যোগ্যতা আছে তারাই এ প্রতিষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
কিন্তু বাছাই প্রক্রিয়াটি Negative বা না সূচক বা নেতিবাচক। কেননা এখানে যোগ্য লোককে স্থান দেওয়া হয় এবং অযোগ্যদের বাদ দেওয়া হয়।
২. পদক্ষেপ : নিয়োগ হলো লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পদক্ষেপ। লোক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে বাছাই পরীক্ষা হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নিয়োগের দায়িত্ব থাকে।
অপরপক্ষে, বাছাই হলো নিয়োগের পরবর্তী পদক্ষেপ অর্থাৎ যেখানে নিয়োগের কাজ শেষ সেখানে বাছাইয়ের কাজ আরম্ভ হয়।
৩. শনাক্তকরণ : নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রগতিশীল লোকদের নিয়োগের জন্য শনাক্ত বা চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ যোগা লোকদেরকে এখানে আসার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।
পক্ষান্তরে, বাছাই কার্য এ আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে করা হয়। অর্থাৎ অনেকগুলো আবেদনকারী থেকে সবচেয়ে যোগ্যতম এবং দক্ষ ব্যক্তিদের বাছাই করা হয় বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করে।
৪. পরীক্ষানিরীক্ষার ক্ষেত্রে : নিয়োগে কোনো প্রকার পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয় না। যাবতীয় পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয় বাছাই প্রক্রিয়ায় । যেমন— প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা, মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা প্রভৃতি বাছাইয়ে করা হয়।
৫. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ : বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগ হলো একটি প্রাথমিক উপাদান। এর মাধ্যমে লোক নিয়োগ কার্যক্রমের সূচনা ঘটে।
অপরপক্ষে, লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে যাবতীয় পরীক্ষানিরীক্ষা, বাছাই প্রক্রিয়া, সাক্ষাৎকার সবই নেওয়া হয় বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে লোক নিয়োগদান প্রক্রিয়ায় নিয়োগ এবং বাছাই প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ এর মাধ্যমে সঠিক ও যথার্থ লোক নিয়োগের চেষ্টা করা হয় । তবে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাংলাদেশের জন্য বাস্তবতাবর্জিত। এর কারণ হলো রাজনৈতিক, সঠিক নিয়ম না থাকা, স্বজনপ্রীতি, কোটা ব্যবস্থা প্রভৃতি উল্লেখ করা যায় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কর্মী সংগ্রহ ও কর্মী নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কর্মী সংগ্রহ ও কর্মী নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।