ক্ষমতার শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ক্ষমতার শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ক্ষমতার শ্রেণিবিভাগ দেখাও।
ক্ষমতার শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ কর |
ক্ষমতার শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ কর
- অথবা, ক্ষমতার শ্রেণিবিভাগ দেখাও।
- অথবা, ক্ষমতার প্রকারভেদ আলোচনা কর।
উত্তর ভূমিকা : জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষণে ক্ষমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয়। লোকপ্রশাসনের আলোচনায় ক্ষমতা একটি কেন্দ্রীয় ধারণা। লোকপ্রশাসনে সরকারি নীতিমালা নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে ক্ষমতাই মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
ক্ষমতার রূপভেদ বা শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। ক্ষমতা সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করতে ক্ষমতার শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে জানা আবশ্যক।
● ক্ষমতার শ্রেণিবিভাগ : বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানী ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষমতার শ্রেণিবিভাগ করেছেন। ক্ষমতাকে প্রধানত দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা :
১. অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা (Internal Power) ও
২. বাহ্যিক ক্ষমতা (External Power)।
নিম্নে ক্ষমতার শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা : অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা হলো প্রশাসনিক সংগঠনের সেই ক্ষমতা যা দ্বারা প্রশাসনে নিয়োজিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্তৃক নিম্নস্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণ করাকে বুঝায়। প্রশাসন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ধরে রাখতে অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার গুরুত্ব অপরিসীম ।
২. বাহ্যিক ক্ষমতা : বাহ্যিক ক্ষমতা বলতে প্রশাসনিক সংগঠনের সেই ক্ষমতাকে বুঝায় যা দ্বারা সংগঠন, ব্যক্তি ও নাগরিকদের কার্যাবলিকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয় ।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই ক্ষমতার রূপ পরিলক্ষিত হয়। এল. ডি. হোয়াইট (L. D. White) প্রশাসন ক্ষমতাকে দুইভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা :
ক. বলপূর্বক ক্ষমতা এবং
খ. বলপূর্বক নয় এরূপ ক্ষমতা ।
ক. বলপূর্বক ক্ষমতা : বলপূর্বক ক্ষমতা হলো প্রশাসন কর্তৃক আরোপিত এমন ক্ষমতা যা যার ওপর অর্পিত হয় সে মানতে বাধ্য এবং না মানলে শাস্তি ভোগ করতে হয়।
এখানে প্রশাসকরা কতিপয় ক্ষমতা জনগণের ওপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দেন। ক্ষমতার এই শ্রেণিবিভাগ যেসব কাজের পরিধির সাথে জড়িত তা হলো-
i. অনুমতিপত্র,
ii. প্রশাসনিক আদেশ বলবৎকরণ,
iii. প্রশাসনিক বিচার পরিচালনা,
iv. অনুমোদন প্রদান,
v. পরিদর্শন ইত্যাদি ।
খ. বলপূর্বক নয় এরূপ ক্ষমতা : এ ধরনের ক্ষমতা সেই কর্তৃপক্ষের আদেশ বা উপদেশ যা না মানলে ব্যক্তি বা সংগঠনকে শাস্তি পেতে হয় না।
কিন্তু সুন্দর ও সুষ্ঠু জীবনযাপনের জন্য কিংবা প্রশাসনিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য জনগণকে এসব কাজে উদ্বুদ্ধ করা হয় । নিম্নে ক্ষমতার এই ধরন তুলে ধরা হলো-
i. সরকারি নীতির ঘোষণা,
ii. সভা সমাবেশ পরিচালনা করা,
iii. শিক্ষামূলক প্রচার,
iv. প্রদর্শন,
v. আপোষের মাধ্যমে নিষ্পত্তি ইত্যাদি
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ক্ষমতার নানা ধরনের শ্রেণি রয়েছে। তবে ক্ষমতার শ্রেণিবিভাগ যাই হোক না কেন সুষ্ঠু ও সুন্দর জীবনযাপনের জন্য ক্ষমতার ব্যবহার অপরিহার্য।
সমাজজীবনে শৃঙ্খলাবোধ ধরে রাখতে ক্ষমতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার মানবসমাজের জন্য হুমকিস্বরূপ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ক্ষমতার শ্রেণিবিভাগ উল্লেখ কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ক্ষমতার প্রকারভেদ আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।