ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে পার্থক্য লিখ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে পার্থক্য লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে পার্থক্য লিখ |
ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে পার্থক্য লিখ
উত্তর ভূমিকা : রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রায় একই অর্থে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষণে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দুইটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয়।
সরকার রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্ষমতা কার্যকর করে থাকে। রাজনৈতিক ক্ষমতার সাথে কর্তৃত্ব অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত হলেও উভয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ব্যবহারিক দিক দিয়ে এক হলেও ক্ষমতা এবং কর্তৃত্ব এক বিষয় নয় ।
● ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের পার্থক্য : রাষ্ট্রবিজ্ঞানে প্রায় একই অর্থে ব্যবহার হলেও ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব এক বিষয় নয়। উভয়ের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। নিম্নে ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করা হলো :
প্রথমত, রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রয়োগ ও রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের ধারণা এক নয় । রাজনৈতিক ক্ষমতা বলতে এক বিশেষ সম্পর্ককে বুঝায়।
এ সম্পর্কের মাধ্যমে কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নিজের উদ্দেশ্য অনুসারে অন্য ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাজকর্মকে প্রভাবিত ও পরিচালিত করে।
অপরপক্ষে, কর্তৃত্বের উদ্ভব হয় ক্ষমতা ও বৈধতার সমন্বিত উপস্থিতিতে। জনগণ কর্তৃক রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার স্বীকৃত হলে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের সৃষ্টি হয় ।
দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক ক্ষমতার সাথে বল প্রয়োগের উপাদান সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু বল প্রয়োগের উপাদানের সাথে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব সম্পর্কহীন।
তৃতীয়ত, রাজনৈতিক কর্তৃত্বের আদেশ মান্য করা জনগণের কর্তব্য। কেননা রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব জনগণ কর্তৃক স্বীকৃত। কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষমতার ব্যাপারে জনগণের মান্য বা অমান্য করার বিধান রয়েছে।
চতুর্থত, বল প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের অধিকারী ব্যক্তি জনগণের আনুগত্য আদায় করতে সক্ষম হলেও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না । অন্যদিকে, রাজনৈতিক ক্ষমতা বলে কর্তৃত্ব অর্জনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে আনুগত্য ধরে রাখা সম্ভব।
পঞ্চমত, রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের অধিকারী না হলেও অনেক সময় রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী হওয়া যায়। যেমন— সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ। তবে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব অবশ্যই জনগণ কর্তৃক স্বীকৃত এবং বৈধ হবে। তাই কর্তৃত্ব এবং ক্ষমতা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয় ।
ষষ্ঠত, রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বে রাজনৈতিক ক্ষমতার অস্তিত্ব সম্ভব। কিন্তু কর্তৃত্বের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। কেননা ক্ষমতাহীন রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের উদ্ভব ঘটে না ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব ব্যবহারিক দিক থেকে একই হলেও উভয়ের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান ।
ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয় হিসেবে স্বীকৃত । যদিও রাজনৈতিক ক্ষমতাই কর্তৃত্বের জন্ম দিয়ে থাকে তবুও উভয়ই ভিন্ন বিষয় হিসেবে পরিগণিত হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে পার্থক্য লিখ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে পার্থক্য লিখ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।