কর্তৃত্ব অর্পণের নীতিসমূহ বর্ণনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কর্তৃত্ব অর্পণের নীতিসমূহ বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কর্তৃত্ব অর্পণের নীতিসমূহ আলোচনা কর।
কর্তৃত্ব অর্পণের নীতিসমূহ বর্ণনা কর |
কর্তৃত্ব অর্পণের নীতিসমূহ বর্ণনা কর
- অথবা, কর্তৃত্ব অর্পণের নীতিসমূহ আলোচনা কর ।
- অথবা, কর্তৃত্ব অর্পণের নীতিগুলো কী কী? সংক্ষেপে বর্ণনা কর ।
উত্তর ভূমিকা : একটি প্রশাসনিক সংগঠনের প্রতিটি স্তরে কর্তৃত্বকে পৌঁছে দিতে পারার মাঝেই ঐ সংগঠনের পূর্ণ সফলতা বিদ্যমান। তবে এ কর্তৃত্ব অর্পণের মাঝে রয়েছে এক বিশাল বাধা যা আমরা ঐ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাঝে প্রত্যক্ষ করে থাকি ।
আর তাই এ কর্তৃত্ব অর্পণের জন্য কিছু বিদ্যমান নীতিমালা রয়েছে যার মাধ্যমে কর্তৃত্ব অর্পণের বাধাসমূহকে দূর করা সম্ভব।
কর্তৃত্ব অর্পণের নীতিসমূহ : নিম্নে কর্তৃত্ব অর্পণের নীতিসমূহ উপস্থাপন করা হলো :
১. সুনির্দিষ্ট কর্তৃত্ব অর্পণ : একটি প্রশাসনিক সংগঠন তার কোন বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে অধস্তন কর্মচারীর নিকট কর্তৃত্ব অর্পণ করবেন তা সুনির্দিষ্টভাবে এবং সুস্পষ্টভাবে লিখিত থাকতে হবে।
এছাড়াও কর্তৃত্ব অর্পণের পূর্ণ নীতিমালা এবং কর্তৃত্ব চর্চার নিয়মকানুন পদ্ধতি অবশ্যই সুনির্ধারিতভাবে উল্লিখিত হওয়া উচিত, যেন এর ব্যাখ্যার ব্যাপারে সব কর্মকর্তা একই সুর গ্রহণ করেন ।
২. যথাযথ কর্তৃপক্ষ : কর্তৃত্ব অর্পণের জন্য প্রশাসনকে অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষকেই বেছে নিতে হবে । যার হাতে কর্তৃত্ব অর্পণ করা হবে প্রশাসনকে অবশ্যই তার পরিচালনার ক্ষমতা ও সামর্থ্যকে যাচাই করে নিতে হবে। আর তা না হলে কর্তৃত্ব অর্পণ হিতে বিপরীত হবে এবং নতুন ও জটিল প্রক্রিয়ার জন্ম দিবে।
৩. প্রোপার চ্যানেল নীতির অনুসরণ : প্রশাসন সংগঠন স্বাভাবিকভাবে এ নীতির মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। তাই অবশ্যই প্রোপার চ্যানেল নীতি অনুযায়ীই প্রশাসন কাঠামোর বিভিন্ন পর্যায়ে কর্তৃত্ব অর্পিত হবে। অর্থাৎ কর্তৃত্ব অর্পণকারী তার অধীনস্থ কর্মকর্তার নিকটে কর্তৃত্ব অর্পণ করবেন ।
৪. যোগাযোগ রক্ষা করা : কর্তৃত্ব অর্পণের জন্য প্রশাসনকে অবশ্যই তার প্রতিটি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে ।
বিশেষত প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে অধস্তনদের যোগাযোগ স্থাপন করা একান্ত অপরিহার্য। হস্তান্তরের জন্য তথ্যের আদানপ্রদান করার জন্যও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন আবশ্যক।
৫. ব্যক্তি নয় পদে কর্তৃত্ব অর্পণ : প্রশাসনকে অবশ্যই একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, প্রশাসন আসলে কোনো ব্যক্তির হাতে কর্তৃত্ব অর্পণ করছেন না; বরং তিনি উপযুক্ত পদে থাকা একজন ব্যক্তির নিকট কর্তৃত্ব অর্পণ করছেন ।
৬. পদ বিশ্লেষণ : প্রশাসনের কর্তৃত্ব অর্পণের জন্য অবশ্যই পদকে বিশ্লেষণ করতে হবে। কারণ কোন পদের জন্য কতটুকু কর্তৃত্ব সে সফলভাবে পালন করতে পারবে এ ব্যাপারে অবশ্যই প্রশাসনকে পদকে
বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে তার নিকট ঠিক ততটুকু কর্তৃত্ব অর্পণ করতে হবে। পদকে বিশ্লেষণ করার পরে তার পরিধি অনুপাতে কর্তৃত্ব অর্পণ করলেই প্রশাসনিক সংগঠনের সফলতা সুনিশ্চিত হয় এবং পদটিও বিশেষিত হয় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, কর্তৃত্ব অর্পণের সুনির্দিষ্ট নীতিমালাই পারে একটি প্রশাসনিক সংগঠনকে পরিপূর্ণরূপে দাঁড় করাতে।
উপরিউক্ত নীতিগুলো অনুসরণের মাঝেই রয়েছে একটি সংগঠনের পূর্ণতা। আর এ পূর্ণতার মাঝেই রয়েছে সব জনগণের চাহিদার প্রাপ্তি ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কর্তৃত্ব অর্পণের নীতিসমূহ বর্ণনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কর্তৃত্ব অর্পণের নীতিগুলো কী কী? সংক্ষেপে বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।