বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো বিশ্লেষণ কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো বিশ্লেষণ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো বিশ্লেষণ কর।

বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো বিশ্লেষণ কর
বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো বিশ্লেষণ কর

বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো বিশ্লেষণ কর

উত্তর ভূমিকা : ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে বাংলাদেশে প্রশাসনিক কাঠামো ছিল বৈশিষ্ট্যগতভাবে প্রাদেশিক । স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালীন অস্থায়ী সরকার গঠনের মাধ্যমে এদেশে একটি পাল্টা প্রশাসন গড়ে তোলা হয়েছিল । 

তবে তা ছিল অপূর্ণ এবং অস্থায়ী। তাই স্বাধীনোত্তর বাংলাদেশে সমাজের প্রকৃতি, কর্মসূচি, এতিহ্য ও বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে জাতীয় প্রশাসন গড়ে তোলার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়।

স্বাধীনোত্তর বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থার কাঠামো : স্বাধীনোত্তর বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থা কাঠামো নিম্নে বর্ণনা করা হলো : 

১. সাংবিধানিক প্রশাসন : বাংলাদেশের সামগ্রিক প্রশাসনব্যবস্থার কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৭২ সাল থেকে। বাংলাদেশ সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতিসমূহ পালন করার লক্ষ্যে বহুসংখ্যক নতুন নতুন সংগঠন গড়ে তুলে। 

উদাহরণস্বরূপ রাষ্ট্রপতির সচিবালয়, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়, সংসদীয় বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রভৃতির নাম প্রণিধানযোগ্য।

২. বিভিন্ন এককে বিভক্ত : কাজের সুবিধার জন্য বাংলাদেশের সামগ্রিক প্রশাসনকে মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দপ্তর কর্পোরেশন, বোর্ড ও ভৌগোলিক প্রশাসনিক এককে ভাগ করা হয়েছে। 

আর সচিবালয় হলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দপ্তরসমূহ-এগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। সচিবালয়ের মাধ্যমেই প্রশাসনিক ক্ষমতা মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয় এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল রাখা হয়।

৩. প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় : বস্তুতপক্ষে বাংলাদেশের লোকপ্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র হলো সচিবালয়। সচিবালয়ের শীর্ষে রয়েছেন সচিব। সচিবের নিয়ন্ত্রণে কর্মরত রয়েছেন অতিরিক্ত সচিব বা যুগ্মসচিব আর যুগ্মসচিবের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন উপসচিব। 

মন্ত্রণালয় হলো সচিবালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার একটি সাংগঠনিক ইউনিট। এর মূল কাজ হলো বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন, পরিকল্পনা গ্রহণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কিত মূল্যায়ন ও কাজ তদারকি করা।

৪. অন্যান্য সংস্থা : অন্যান্য সংস্থার মধ্যে কর্পোরেশন ও বোর্ড হলো আংশিকভাবে নীতি প্রণয়ন এবং সামগ্রিকভাবে নীতি বাস্তবায়নকারী সংস্থা। কর্পোরেশন বা বোর্ড প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রপযুক্ত এবং তারা স্বতন্ত্র ও একক স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। 

ভৌগোলিক এককগুলো মূলত বাস্তবায়নকারীর ভূমিকা পালন করে। ভৌগোলিক প্রশাসনিক এককগুলো বিভাগ, জেলা, থানা পর্যায়ে অঞ্চলভিত্তিক প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে। 

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট বিভাগ অঞ্চলভিত্তিক তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রশাসনিক বিভাগে নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাধ্যমে নীতি বাস্তবায়ন ও নির্দেশিত কাজকর্ম সম্পাদন করে।

৫. মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা : বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক কার্যাবলি কতকগুলো মন্ত্রণালয়ে বিভক্ত। মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা ও পরিধিতে সময়ভিত্তিক তারতম্য বিদ্যমান হয় এবং দুইই নির্ভর করে মন্ত্রীদের সংখ্যার ওপর। 

সরকার পরিবর্তনের সাথে এরূপ সংখ্যা বাড়াচ্ছে বা কমাচ্ছে। নতুন মন্ত্রিসভা বা উপদেষ্টা পরিষদের সাথে সাথে নতুন মন্ত্রণালয়/বিভাগের সৃষ্টি হয়, কোনো মন্ত্রণালয়ের অবসান হয় আবার একটি হয়তো অপরটির সাথে একত্র হয়ে যায়। 

অতএব দেখা যায় যে, মূলত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিবেচনায় প্রশাসনিক সংস্থার কাঠামো ও কাজ নির্ধারিত হয়।

পণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ

শাসন বিভাগ

আইন বিভাগ

বিচার বিভাগ

পরাষ্ট্রপতি

জাতীয় সংসদ

প্রধানমন্ত্র ও মন্ত্রিপরিষদ

স্থানীয় শাসন

সুপ্রিম কোর্ট

প্রশাসনিক

অধঃস্থন

ট্রাইব্যুনাল

আদালত

→ এ্যাটর্নি জেনারেল

প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ

হাইকোর্ট

আপিল বিভাগ

উপসংহার: উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থা ব্রিটিশ পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থা থেকে প্রাপ্ত। বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক কাঠামো একদিনে গড়ে ওঠেনি বরং অনেকদিনের বহু পরিবর্তনের ফলে বর্তমান কাঠামো দাঁড়িয়েছে। 

বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্যই হলো এর কেন্দ্রীভূত অবস্থা। আর সচিবালয় হলো শাসনব্যবস্থার নীতি নির্ধারণের মূল কেন্দ্র। আর সচিবালয় থেকে প্রণীত নীতি বাস্তবায়নের জন্য বিভাগ, জেলা, উপজেলা পর্যায়ের ফিল্ড অফিস, বিভিন্ন বিভাগ ও পরিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো বিশ্লেষণ কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো বিশ্লেষণ কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ