বাংলাদেশে প্রশিক্ষণের কী কী সমস্যা রয়েছে? বর্ণনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাংলাদেশে প্রশিক্ষণের কী কী সমস্যা রয়েছে? বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাংলাদেশে প্রশিক্ষণের সমস্যাসমূহ সংক্ষেপে লেখ।
বাংলাদেশে প্রশিক্ষণের কী কী সমস্যা রয়েছে? বর্ণনা কর |
বাংলাদেশে প্রশিক্ষণের কী কী সমস্যা রয়েছে? বর্ণনা কর
- অথবা, বাংলাদেশে প্রশিক্ষণের সমস্যাসমূহ সংক্ষেপে লেখ।
- অথবা, বাংলাদেশে প্রশিক্ষণের সমস্যাবলি সংক্ষেপে আলোচনা কর ।
উত্তর ভূমিকা : প্রশিক্ষণ একজন কর্মীর সুস্থ চিন্তাধারা, জ্ঞান, নৈপুণ্য, দৃষ্টিভঙ্গি, কর্মপদ্ধতি এবং মানসিকতার পরিবর্তন সাধন করে। যেকোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন নির্ভর করে তার প্রশিক্ষণের মানের ওপরে।
গুণগত প্রশিক্ষণের ওপর সরকার নিজ উদ্যোগে এবং বিদেশি সাহায্য সংস্থার আয়োজনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
কিন্তু বাংলাদেশে যেমন রয়েছে অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত আর্থিক সক্ষমতার অভাব আবার রয়েছে আমলাতান্ত্রিক সমস্যা। বাংলাদেশের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত
বাংলাদেশে প্রশিক্ষণের সমস্যাবলি : নিম্নে বাংলাদেশের প্রশিক্ষণব্যবস্থার সমস্যাগুলো আলোচনা করা হলো :
১. দক্ষ প্রশিক্ষক ও কর্মচারীর অভাব : বাংলাদেশের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষকের অভাব। এজন্য এখানে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যথাসময়ে ও যথাযথভাবে সম্পন্ন করা যায় না।
২. উন্নত পরিবেশের অভাব : উন্নত পরিবেশের জন্য নিজস্ব ভবন থাকা প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের অপরিহার্য। অথচ বাংলাদেশের অনেক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানেরই নিজস্ব ভবন নেই, নেই খেলার মাঠ এমনকি হোস্টেলও কার্যক্রমে সমস্যার উদ্ভব ঘটে।
৩. এতে প্রশিক্ষণ জরিপের অভাব : প্রশাসনব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরে কী ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা প্রয়োজন, এর ব্যাপকতা ও মাত্রা কতটুকু থাকা দরকার এ বিষয়ে জরিপ চালানো আবশ্যক । কিন্তু বাংলাদেশে এরূপ কোনো জরিপের ব্যবস্থা নেই ।
৪. পাঠাগার স্বল্পতা : যেকোনো জরিপ অথবা গবেষণার জন্য প্রয়োজন উন্নতমানের পাঠাগার । প্রচুর বই এবং বহু রেকর্ড ও তথ্যসমৃদ্ধ কাগজপত্র আবশ্যক।
বাংলাদেশে যেসব প্রতিষ্ঠানসমূহ রয়েছে সেখানে এসবের খুবই অভাব। তদুপরি, কোনো কোনো প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে পাঠাগার নেই।
৫. উৎসাহের অভাব : প্রশিক্ষণ একজন কর্মকর্তাকে বিশেষভাবে দক্ষ করে তোলে। অথচ উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসকগণের মধ্যে প্রশিক্ষণদানের ব্যাপারে উৎসাহ কম। ফলে যারা প্রশিক্ষণদাতা এবং প্রশিক্ষণ গ্রহীতা উভয়ের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব পরিলক্ষিত হয় ।
৬. আর্থিক সংকট : বাংলাদেশের প্রশাসনে আর্থিক সংকট একটি বিরাট সমস্যা। প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকার এবং কখনও আন্তর্জাতিক সংস্থা আর্থিক বরাদ্দ ও সাহায্য প্রদান করে।
কিন্তু উক্ত অর্থ পর্যাপ্ত নয়। ফলে অপর্যাপ্ত তহবিল সুষ্ঠু প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের প্রতিবন্ধক । প্রশিক্ষণার্থীদের থাকা-খাওয়া, যাতায়াত প্রভৃতির জন্য অপর্যাপ্ত অর্থ প্রশিক্ষণের অন্তরায়।
৭. আধুনিক প্রযুক্তির অভাব : সুষ্ঠু ও কাঙ্ক্ষিত প্রশিক্ষণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
যেমন— ফটোকপি মেশিন, হিসাব রক্ষাকারী মেশিন, প্রজেক্টর, কম্পিউটার ছাড়া দলিল দস্তাবেজ রাখার আধুনিক ব্যবস্থা ইত্যাদি অত্যাধুনিক আয়োজন ব্যয়বহুল বিধায় এসব সরঞ্জামাদির অপ্রতুলতা প্রশিক্ষণে বাধা স্বরূপ ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রশিক্ষণ হলো একটা পদ্ধতি। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনসম্পদকে শক্তিতে পরিণত করা যায়। প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করতে পারলে প্রশাসনিক সেবার মানও উন্নত হবে।
প্রশাসক ব্যতীত রাষ্ট্র ও জনগণের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর তাই বাংলাদেশের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকে উন্নত ও বেগবান করতে হবে। তা না হলে প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্যই ব্যাহত হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলাদেশে প্রশিক্ষণের কী কী সমস্যা রয়েছে? বর্ণনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাংলাদেশে প্রশিক্ষণের সমস্যাবলি সংক্ষেপে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।