বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন কীভাবে গঠিত হয়েছে
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন কীভাবে গঠিত হয়েছে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন কীভাবে গঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন কীভাবে গঠিত হয়েছে |
বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন কীভাবে গঠিত হয়েছে
উত্তর ভূমিকা : প্রত্যেকটি দেশেই সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান থাকে। বাংলাদেশেও এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার কাজটি করে বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন।
সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে যেন পক্ষপাতিত্বের সুযোগ সৃষ্টি না হয় সেজন্য নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ সরকার কর্মকমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় ।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন : সুষ্ঠুভাবে সরকারি কাজ সম্পাদনের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্যেই বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন গঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত উপায়ে লোক সংগ্রহ ও বাছাই করে সরকারের কাছে সুপারিশ করে।
বাংলাদেশ সরকার কর্মকমিশনের সুপারিশকৃত লোকদের আইনি যাচাই-বাছাই করে নিয়োগ প্রদান করে। তাই কর্ম কমিশনের কাজটি মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের সংবিধানে কর্মকমিশন গঠন, এর মেয়াদ ও কার্যাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।
সংবিধানের ১৩৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে বাংলাদেশে এক বা একাধিক কর্ম কমিশন থাকতে পারবে এবং আইনের দ্বারা এর কার্যাবলি নির্ধারণ করা যাবে।
● বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের গঠন : সংবিধানে বাংলাদেশ কর্মকমিশনের গঠনের কথা বলা আছে। তবে ১৯৯৭ সালে তা সংশোধনের ফলে বাংলাদেশ কর্মকমিশনের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ কর্মকমিশনে ১ জন সভাপতি ও ১১ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দান করেন ।
পদের মেয়াদ : বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৯ অনুচ্ছেদে কর্ম কমিশনের সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যের পদের মেয়াদ সম্পর্কে বলা হয়েছে। সংবিধান মতে, সভাপতি ও সদস্যগণ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
তবে নিয়োগের পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই কোনো সভাপতি বা সদস্যের বয়স ৬৫ বছর হয়ে গেলে তিনি অবসরপ্রাপ্ত হবেন এবং দায়িত্ব হারাবেন।
তবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণের মতো কর্ম কমিশনের সভাপতি ও সদস্যদেরও অপসারণ করা যাবে।
এছাড়া কর্মকমিশনের সভাপতি ও অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত পত্রের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে পারবেন। তবে রাষ্ট্রপতি চাইলে কর্মকমিশনের সভাপতি ও অন্যান্য সদস্য একাধিক মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন ।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের দায়িত্ব : বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন অনেক দায়িত্ব পালন করে থাকে। তবে সরকারি কাজের জন্য যোগ্য ও দক্ষ প্রার্থী বাছাই করাই কর্মকমিশনের মূল দায়িত্ব।
বাংলাদেশ কর্মকমিশন সরকারি নিয়োগদানের জন্য চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। আবেদন গ্রহণ করার পর প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর যোগ্য প্রার্থীদের নাম বাংলাদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠায়।
এ কাজে কর্মকমিশনকে যথেষ্ট নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা দেখাতে হয়। এসব দায়িত্বের পাশাপাশি কর্মকমিশন সরকারি কাজে সরকারকে পরামর্শ প্রদান করে।
বাংলাদেশ কর্মকমিশন তার যাবতীয় কাজের একটি বার্ষিক রিপোর্ট রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করে। রাষ্ট্রপতি এই বার্ষিক রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপনের ব্যবস্থা করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন বাংলাদেশের একটি স্থায়ী প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ সরকারের সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
প্রশাসনের জন্য কর্মকর্তা বাছাই ও নিয়োগ দানের দায়িত্ব সরকারী কর্মকমিশনের ওপর ন্যস্ত ।
তাই নিরপেক্ষ কমিশন গঠন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আর নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করতে হলে অবশ্যই এ প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন কীভাবে গঠিত হয়েছে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন কীভাবে গঠিত হয়েছে। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।