স্ট্যান্ডার্ড স্কেল বলতে কী বুঝ
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো স্ট্যান্ডার্ড স্কেল বলতে কী বুঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের স্ট্যান্ডার্ড স্কেল কাকে বলে।
স্ট্যান্ডার্ড স্কেল বলতে কী বুঝ |
স্ট্যান্ডার্ড স্কেল বলতে কী বুঝ
- অথবা, স্ট্যান্ডার্ড স্কেল কাকে বলে?
- অথবা, স্ট্যান্ডার্ড স্কেল কী?
উত্তর ভূমিকা : স্কেলিং পদ্ধতি অনুক্রমিক ব্যবধান পরিমাপ পদ্ধতির মধ্যে অন্যতম। প্রকৃতপক্ষে স্কেলিং পদ্ধতিতে অনুক্রমিক শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি বলেও অভিহিত করা যেতে পারে।
যেকোনো গবেষণার কাজেই প্রধানত স্কেলিং করা হয় । স্কেলিং এর জন্য নানাধরনের স্কেল ব্যবহার করা হয়। এ পদ্ধতি অনুযায়ী ব্যবধান নির্ণয়ের জন্য অনুভূতির মাত্রাকে কতকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে বিভক্ত করা হয়।
সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষণায় সাধারণত পাঁচ ধরনের স্কেল ব্যবহার করা হয় । এরই অন্যতম প্রকৃতি হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড স্কেল ।
স্ট্যান্ডার্ড স্কেল : একাধিক নমুনা পর্যবেক্ষণের জন্য যে স্কেল ব্যবহার করা হয় তাকে স্ট্যান্ডার্ড স্কেল বলা হয়। এর জন্য সমব্যবধানে একাধিক স্কেল তৈরি করা হয়। প্রত্যেকটি ব্যবধান একটি সমান ব্যবধান নির্দেশ করে।
যে বিষয় পরিমাপ করা হবে তার বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং প্রত্যেক নমুনার জন্য নম্বর বরাদ্দ দেওয়া থাকে । পরবর্তীতে নমুনাগুলোর সাথে নম্বর মিলিয়ে দেখা হয় ।
যে সংখ্যার সাথে অধিক নমুনা মিলে যায় তা মূল্যায়ন করা হয় । সামাজিক গবেষণায় আরও দুই ধরনের স্ট্যান্ডার্ড রেটিং স্কেলের পরিচয় পাওয়া যায় । এগুলো হলো :
i. ম্যান টু-ম্যান স্ট্যান্ডার্ড রেটিং স্কেল : ম্যান টু ম্যান স্কেলের ব্যবহার এখন সীমিত। সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করার জন্য এ স্কেলের উদ্ভাবন করা হয়েছিল। তবে এ পদ্ধতিটির ব্যবহার বিভিন্ন রকম হতে পারে।
ii. প্রতিকৃতি তুলনাকরণ স্ট্যান্ডার্ড রেটিং স্কেল : বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী হাডসন ও মে ১৯২৯ সালে মানুষের চরিত্র পরিমাপ করার জন্য এ ধরনের স্কেল তৈরি করেছিলেন। ব্যক্তির একটি নির্দিষ্ট গুণ বা বৈশিষ্ট্য নিরূপণের জন্য একটি বর্ণনামূলক প্রতিকৃতির নমুনা বা স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করা হয়।
এই স্কেলটি ব্যবহারের পদ্ধতি হলো, গবেষক কোনো একটি ঘটনার প্রতিকৃতি বর্ণনা করবেন এবং যেসব ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে তাদের নাম লিপিবদ্ধ করবেন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, যেকোনো গবেষণার সাথেই পরিমাপ ধারণাটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এমনকি গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ, তথ্য সংগ্রহের কৌশল এবং সংগৃহীত তথ্যের বিশ্লেষণ সকল প্রক্রিয়াই পরিমাপের সাথে সম্পর্কিত।
গবেষণার বিষয়বস্তুর শ্রেণীকরণ ও তুলনামূলক বিশ্লেষণে স্ট্যান্ডার্ড স্কেলটি অপরিহার্য। স্ট্যান্ডার্ড স্কেলের মাধ্যমে গবেষণার সকল বিষয় শ্রেণীকরণ ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ সম্ভব।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ স্ট্যান্ডার্ড স্কেল বলতে কী বুঝ
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম স্ট্যান্ডার্ড স্কেল কী। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।