সমষ্টিগত দলীয় আলোচনার সুবিধাসমূহ উল্লেখ কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সমষ্টিগত দলীয় আলোচনার সুবিধাসমূহ উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সমষ্টিগত দলীয় আলোচনার সুবিধাগুলো সংক্ষেপে লেখ।
সমষ্টিগত দলীয় আলোচনার সুবিধাসমূহ উল্লেখ কর |
সমষ্টিগত দলীয় আলোচনার সুবিধাসমূহ উল্লেখ কর
- অথবা, সমষ্টিগত দলীয় আলোচনার সুবিধাগুলো সংক্ষেপে লেখ ।
- অথবা, ফোকাস দল আলোচনার সুবিধাসমূহ কী কী?
উত্তর ভূমিকা : সমষ্টিগত দলীয় আলোচনা একটি গুণগত গবেষণা পদ্ধতি । আলোচনা পদ্ধতি এ পদ্ধতির প্রাণস্বরূপ। সমাজ গবেষণায় তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে এটি একক কৌশল ও অন্যান্য পদ্ধতির একটি সহযোগী কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এ পদ্ধতি ।
সমষ্টিগত দলীয় আলোচনা পদ্ধতিটি একটি সম্পূরক পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যদিও অন্যান্য পদ্ধতির বিকল্প নয়, তবুও সংখ্যাতাত্ত্বিক পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সেবা গ্রহীতাদের আচরণ ও মনোভাব জানার জন্য বিগত শতাব্দীর সত্তর দশকে প্রথম উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ বা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় এ পদ্ধতির প্রয়োগ করে।
বর্তমানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সমষ্টিগত দলীয় আলোচনার ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমানে গবেষণার কাজে এ পদ্ধতি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সমষ্টিগত দলীয় আলোচনার সুবিধা : সমষ্টিগত দলীয় আলোচনার বেশ কিছু সুবিধা বিদ্যমান । নিচে এর সুবিধাসমূহ তুলে ধরা হলো :
১. সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য : সমষ্টিগত দলীয় আলোচনার বেশ কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে এ পদ্ধতি আলোচনায় এগিয়ে যায় । লক্ষ্য অনুযায়ী সকল প্রকার কাজ সম্পন্ন করে।
২. দলীয় প্রাধান্য : এ পদ্ধতিতে দলীয় প্রাধান্য বিদ্যমান, এতে যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে দলের অন্তর্ভুক্ত সকলের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয় । সমষ্টিগত দলীয় আলোচনার মাধ্যমে লক্ষ্যভুক্ত দলের মতামত গ্রহণ করা হয় ।
৩. সমস্যাগ্রস্ত গোষ্ঠীর তথ্য : সমষ্টিগত দলীয় আলোচনার একটি অন্যতম সুবিধা হচ্ছে সমস্যাগ্রস্ত গোষ্ঠী সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা। এতে সমস্যাগ্রস্ত প্রত্যেকটি মানুষের তথ্য বিদ্যমান থাকে।
৪. তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি : এ পদ্ধতিতে কিছু নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তথ্য সংগ্রহের সময় ব্যাপক গবেষণা পরিচালিত হয়। যাতে করে সমস্যার গভীরে প্রবেশ করা সম্ভব।
৫. রেকর্ড সংরক্ষণ : সমষ্টিগত দলীয় আলোচনায় মতামত গ্রহণের পর তা রেকর্ড আকারে সংরক্ষণ করে রাখা হয় । যাতে করে প্রয়োজনের সময় সমস্যাগ্রস্ত গোষ্ঠী মতামত খুব সহজে পাওয়া যায় ।
৬. জনগণের পূর্ণ অংশগ্রহণ : এ প্রক্রিয়ায় সকল জনগণ অংশগ্রহণ করতে পারে। সমধর্মী লিঙ্গ সকলে এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করে তাদের মতামত ব্যক্ত করতে পারে ।
৭. অনুসন্ধানকারী : নির্দিষ্ট অনুসন্ধানকারীর কার্যক্রম এ প্রক্রিয়ার একটি বিশেষ সুবিধা। সমষ্টিগত দলীয় আলোচনায় একজন প্রধান গবেষক থাকেন । তিনি দলের সামগ্রিক আলোচনাকে তদারকি করেন ।
৮. দল গঠন : এ পদ্ধতিতে ৬-১২ জনের দল গঠন করা হয়। প্রত্যেক সদস্যদের কাছ থেকে প্রত্যক্ষভাবে সময় নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। গ্রুপ থেকে নির্ধারিত বিষয়ের মতামত যাচাইকল্পে প্রতিবেদক, মধ্যস্থতাকারী ও অনুসন্ধানকারী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সমষ্টিগত দলীল আলোচনর সুবিধা ও অসুবিধা দুটি বিদ্যমান। তবে এর সুবিধার ব্যাপকতাই বেশি। কারণ এটি এক প্রকার সহজলভ্য গবেষণা প্রক্রিয়া। সমষ্টিগত দলীয় আলোচনার মূল ভিত্তি হচ্ছে তথ্য সংগ্রহ।
যে কারণে আলোচনা হয় অত্যান্ত খোলামেলাও সহজসরলভাবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান প্রাসঙ্গিক পাঠ্যক্রমে এটি প্রাথমিকভাবে ততটা গুরুত্বসহকারে অন্তর্ভুক্ত ছিল না ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সমষ্টিগত দলীয় আলোচনার সুবিধাসমূহ উল্লেখ কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ফোকাস দল আলোচনার সুবিধাসমূহ কী কী। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।