সামাজিক গবেষণায় পরিমাপের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সামাজিক গবেষণায় পরিমাপের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সামাজিক গবেষণায় পরিমাপের গুরুত্ব বর্ণনা কর।
সামাজিক গবেষণায় পরিমাপের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর |
সামাজিক গবেষণায় পরিমাপের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর
- অথবা, সামাজিক গবেষণায় পরিমাপের গুরুত্ব বর্ণনা কর।
- অথবা, সামাজিক গবেষণায় পরিমাপের গুরুত্ব কী? লেখ।
ভূমিকা: পরিমাপ মূলত একটি গাণিতিক ধারণা। এটি সমাজ গবেষণার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। গবেষক বস্তুত হয় আবিষ্কারের উদ্দেশ্যেই পরিমাপ প্রক্রিয়ার আশ্রয় গ্রহণ করেন। পরিমাপের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা অনেক বেশি।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো পরিমাপযোগ্যতা। গবেষণায় অনুপ্রবেশকৃত চলকগুলো, এমিণের মাধ্যমে গবেষক গবেষণার প্রাথমিক বাধা প্রতিহত করেন। । সামাজিক গবেষণায়
পরিমাপের গুরুত্ব : নিম্নে সামাজিক গবেষণায় পরিমাপের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. কথ্য বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে : গুণবাচক তথ্যকে পরিমাপের সাহায্যে সংখ্যাতাত্ত্বিকভাবে প্রকাশ করলে এটা হতে সিদ্ধান্ত বেশ সহজ হয়। কোনো ব্যক্তির আয়, ব্যয়, বয়স ইত্যাদি তথ্য পরিসংখ্যান পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে সংখ্যাতাত্ত্বিকভাবে বিশ্লেষণ
যেমন সহজ, গুণাত্মক বিষয়ের ক্ষেত্রে তেমন সহজ নয়। যেমন- চা পান ধূমপানের গতি তরান্বিত করে, টুর চা পান কতটুকু ধূমপানের গতি ত্বরান্বিত করে তা সমাজ গবেষক সুনির্দিষ্টভাবে পরিমাপ করতে পারে না। তবে মামূলক ভাবে পরিমাপ করতে পারে।
২.বিজ্ঞানভিত্তিক বিবরণ : সামাজিক গবেষণার পরিমাপ কোনো ব্যক্তি, দল, বিষয় বা ঘটনা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট বিজ্ঞানসম্মত কিরণ দানে সহায়তা করে। যেমন— পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে গার্মেন্টস
শ্রমিকদের মনোভাব কিরূপ এই সংক্রান্ত তথ্যাদি এটি একটি সঠিক পরিমাপের সাহায্যে সংগ্রহ করা হয়, তবে তা দ্বারা শ্রমিকদের উক্ত বিষয় সম্পর্কে মনোভাব বিজ্ঞানসম্মতভাবে বর্ণনা দেওয়া সম্ভব। ফলে গবেষণার মানও উন্নত হবে।
৩. পূর্বানুমান পরীক্ষায় সহায়তা করে : পরিমাপ সামাজিক গবেষণায় ব্যবহৃত বিভিন্ন পূর্বানুমান এবং তত্ত্বকে যাচাই বা গ্রীক্ষায় সহায়তা প্রদান করে থাকে। ফলে কোনো পূর্বানুমান গ্রহণযোগ্য এবং কোনো পূর্বানুমান বাতিল সে সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়।
৪. গবেষণার ফলাফল বোধগম্য করণের ক্ষেত্রে : পরিমাপের দ্বারা কোনো বিষয়কে সুনির্দিষ্টভাবে বিশ্লেষণ করলে বা বর্ণনা করলে তা সহজবোধ্য হয়। যেমন— পরিমাপের মাধ্যমে বোধগম্য হয় যে, ২০-৩০ বছর বয়স্ক যুব সমাজের মধ্যে মাদকাসক্তের প্রবণতা খুব বেশি ।
৫. সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত : সামাজিক গবেষণায় সংগৃহীত বিভিন্ন গুণবাচক এবং সংখ্যাবাচক উপাত্তকে সঠিকভাবে পরিমাপ করে সন্নিষ্ট বিষয় বা ঘটনা সম্পকে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরিমাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ।
৬. বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে : যথার্থ পরিমাপের মাধ্যমে তথ্যকে সংখ্যাতাত্ত্বিকভাবে সাজানো যায় এবং এর ভিত্তিতে বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করা যায়। যেমন— যৌতুকের ফলে নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পায়, প্রশিক্ষণ দক্ষতার উন্নয়ন ঘটায় ।
৭. ভবিষ্যদ্বাণী করা : সামাজিক গবেষণায় সংগৃহীত বিভিন্ন উপাত্তের সঠিক ও যথাযথ পরিমাপ দ্বারা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ আর কোনো বিষয় সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষেত্রে পরিমাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, পরিমাপ সমাজ গবেষণার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিভিন্ন সামাজিক প্ৰপজ সম্পর্কে পরিমাপক সংখ্যা আরোপের মাধ্যমে তার একটি সংখ্যাতাত্ত্বিক হিসাব নির্ণয় করা হয়।
পরিমাপক একটি প্রক্রিয়া যা সমাজিক গবেষণায় ব্যবহৃত কোনো বিষয়বস্তু বা ঘটনাকে গুণগত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে শ্রেণীকরণকরা এবং শ্রেণিগুলোর তুলনা করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সামাজিক গবেষণায় পরিমাপের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সামাজিক গবেষণায় পরিমাপের গুরুত্ব বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।