সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে নমুনায়নের গুরুত্ব আলোচনা করো
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে নমুনায়নের গুরুত্ব আলোচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আম জেনে নেই আজকের সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে নমুনায়নের গুরুত্ব আলোচনা করো।
সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে নমুনায়নের গুরুত্ব আলোচনা করো |
সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে নমুনায়নের গুরুত্ব আলোচনা করো
উত্তর ভূমিকা : সামাজিক গবেষণায় নমুনা ও নমুনায়ন প্রত্যয় দুটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। সামাজিক গবেষণা, বিশেষ করে জরিপ ও পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধানের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নমুনা নিয়ে কাজ করা হয়।
সংগত কারণে সমগ্রকের পরিবর্তে নমুনা নিয়ে পরিচালিত গবেষণার ফলাফল বেশি মাত্রায় শুদ্ধ, গ্রহণীয় এবং নির্ভরযোগ্য বলে সমাজ গবেষকগণ মনে করেন ।
সামাজিক গবেষণায় নমুনায়নের গুরুত্ব : সামাজিক গবেষণায় নমুনায়নের গুরুত্ব সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. কম শ্রমসাপেক্ষ : নমুনায়ন পদ্ধতি বা কৌশলের ক্ষেত্রে অল্প শ্রম হলেই চলে। বেশি শ্রমের প্রয়োজন হয় না। অল্প সময়ের মধ্যে নমুনা নির্বাচন করে কাজ করা সম্ভব হয় বলে খুব দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়। যার ফলে সামাজিক পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে নমুনায়নের উপযোগিতা অনেক বেশি।
২. অধিক নির্ভরশীল তথ্য : নমুনায়ন মূলত একটি কৌশল। এ কৌশলের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য থেকেই তথ্যসংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত এ তথ্যে ভুলভ্রান্তি অনেক কম থাকে।
কেননা সংগৃহীত তথ্য থেকে তথ্যসংগ্রহ করতে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় । তাই বলা যায়, নমুনায়ন পদ্ধতিতে অধিক নির্ভরশীল তথ্য পাওয়া যায় ।
৩. মিতব্যয়ী পদ্ধতি : সামাজিক গবেষণা পদ্ধতিতে নমুনায়ন কৌশলের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপযোগিতা হলো মিতব্যয়ী পদ্ধতি। মূলত নমুনায়ন পদ্ধতিতে ব্যয় কম হয় ।
নমুনায়ন পদ্ধতিতে সমগ্রক থেকে একটি নমুনা সংগ্রহ করে তথ্য উপস্থাপন করা হয় । যার ফলে নমুনায়নের এ কৌশল অনেক মিতব্যয়ী।
৪. সহজ ও সময়সাপেক্ষ : সমাজ গবেষণায় নমুনায়ন কৌশলে সমগ্রক থেকে একটি নমুনা বাছাই করা হয়। নমুনা মূলত সমগ্রকের প্রতিনিধিত্ব করে। সমগ্রক থেকে একটি নমুনা নির্বাচন করা হয় বলে
একটি নমুনা সম্পর্কে তথ্যসংগ্রহ করা সহজ হয় এবং তা অধিক সময়সাপেক্ষ হয় । তাই বলা যায় নমুনায়ন হলো সময়সাপেক্ষ ও সহজ একটি পদ্ধতি।
৫. পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের সুযোগ : সমাজ গবেষণা পদ্ধতিতে নমুনায়ন প্রক্রিয়ায় বেশি তথ্যসংগ্রহের প্রয়োজন হয় না। ফলে স্বল্প তথ্যের মাধ্যমেই গবেষণা কাজ করা যায়।
এ স্বল্প তথ্যসংগ্রহের জন্য অধিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। অল্প সংখ্যক প্রশিক্ষণেই পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাওয়া যায়। মূলত প্রশিক্ষকের সংখ্যা কম হওয়ায় পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয় ।
৬. দ্রুত ফলাফল লাভ : সমাজ গবেষণা পদ্ধতির ক্ষেত্রে নমুনায়ন পদ্ধতিতে গুটিকয়েক বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে হয়। তাই সময়ও কম ব্যয় হয়।
মূলত নমুনায়ন পদ্ধতিতে বেশি তথ্যের প্রয়োজন হয় না। তাই দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব। হয় । যতদ্রুত ফলাফল প্রকাশ করা যায় তত দ্রুত গবেষণা কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি করা যায় ।
৭. গবেষণা মূল্যায়ন : সামাজিক গবেষণা পদ্ধতিতে নমুনায়ন কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপযোগিতা হলো গবেষণা মূল্যায়ন করা, যা শুমারি জরিপের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। তাই বলা যায়, নমুনায়ন পদ্ধতিতে গবেষণা মূল্যায়ন করা যায় অতি সহজে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, নমুনায়ন সমগ্রক হতে নমুনা সংগ্রহ করে। এটি একক প্রতিনিধিত্বশীল। নমুনায়ন হলো একটি কৌশল । এ কৌশলের মাধ্যমে অল্প সময়ে সঠিক তথ্যসংগ্রহ
করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক ফলাফল প্রকাশ করা যায় এবং গবেষণায় মূল্যায়ন করা সহজ হয়। সামাজিক গবেষণার পদ্ধতিতে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে নমুনায়ন পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে নমুনায়নের গুরুত্ব আলোচনা করো
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে নমুনায়নের গুরুত্ব আলোচনা করো। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।