সাক্ষাৎকার গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সাক্ষাৎকার গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সাক্ষাৎকার গ্রহণের প্রক্রিয়া বর্ণনা কর।
সাক্ষাৎকার গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা কর |
সাক্ষাৎকার গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা কর
- অথবা, সাক্ষাৎকার গ্রহণের প্রক্রিয়া বর্ণনা কর ।
- অথবা, সাক্ষাৎকার গ্রহণের বিভিন্ন স্তর সম্পর্কে আলোচনা কর ।
উত্তর ভূমিকা : সমাজ বদ্ধ মানুষ তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। সামাজিক গবেষণায় তথ্য অপরিহার্য উপাদান তথ্য সংগ্রহের অন্যতম পদ্ধতি হলো সাক্ষাৎকার পদ্ধতি।
সাক্ষাৎকার পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহকারী ও তথ্য প্রদানকারীর মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়। গবেষক তার প্রয়োজনমতো ও গবেষণা উপযোগী তথ্য সহজে সংগ্রহ করতে পারে।
সাক্ষাতকার পদ্ধতির মাধ্যমে সঠিক উত্তরদাতা নির্বাচন করা হয়। এবং গবেষক সুকৌশলে তার গবেষণা উপযোগী তথ্য সংগ্রহ করে থাকে ।
সাক্ষাৎকার গ্রহণের প্রক্রিয়া : সাক্ষাতকার গ্রহণ প্রক্রিয়া তথ্য সংগ্রহের একটি পদ্ধতি। সাক্ষাৎকার গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে Khan and Channel সামাজিক গবেষণায় সাক্ষাৎকার কে সামগ্রীক পরিমাপ
এর একটি অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সাক্ষাৎকার গ্রহণের প্রক্রিয়াকে সাধারণত ৫টি ভাগে ভাগ করা বলে তারা উল্লেখ করেন। নিম্নে ধাপগুলো উল্লেখ করা হলো :
১. সাক্ষাৎকার অনুসূচি তৈরী : সাক্ষাৎকার গ্রহণ প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায় হলো সাক্ষাৎকার অনুসূচি তৈরী। সাক্ষাৎকার অনুসূচির মধ্যে প্রশ্নমালা তৈরি প্রশ্নমালার উত্তর সংযোজন।
প্রশ্নের বিবৃত এবং ছবি প্রদর্শন করে তথ্য সংগ্রহকরণের নিয়মনীতি নির্বাচন করা হয়। উত্তর সংগ্রহকারী আর উত্তরদাতা এদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত সূচি বা তালিকা প্রণয়ন করা হয়। যার ফলে তথ্য প্রাপ্তি সুনির্দিষ্ট হয়।
২. সাক্ষাৎকার গ্রহণ প্রক্রিয়া পরিচালনা : সাক্ষাৎকার গ্রহণ প্রক্রিয়ার অন্যতম ধাপ হলো সাক্ষাৎকার পরিচালনা। সাক্ষাৎকার পরিচালনার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ আবশ্যক।
ব্যক্তিগত সম্পর্ক গোপনীয়তা রক্ষা, কোলাহলপূর্ণ স্থান পরিত্যাগ করে একটি সুন্দর উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা।
৩. সংগৃহিত তথ্য লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষণ : সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য প্রশ্নপত্রের নির্ধারিত স্থানে লিপিবদ্ধ হয়। প্রশ্নপত্রে ধারণ করা হয় । নির্দিষ্ট স্থানে তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। তথ্য শ্রেণিবিন্যাস করা হয়।
৪. সংখ্যাতাত্ত্বিক সংকেত উদ্ভাবণ : সাক্ষাৎকার প্রণয়নের অন্যতম ধাপ হলো সংখ্যাতাত্ত্বিক সংকেত উদ্ভাবন । গবেষণা পরিচালনার জন্য তথ্য আবশ্যক।
তথ্য সংগ্রহের জন্য সাক্ষাৎকার গ্রহণের প্রয়োজন হয়। এজন্য তথ্যের সংখ্যাতাত্ত্বিক সংকেত উদ্ভাবন করা হয় ।
৫. সাক্ষাৎকারে প্রাপ্ত তথ্যাবলি সাংকেতীকরণ : সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যাবলির প্রতিটির জন্য একটি সংখ্যা বণ্টন করাকে সংকেতীকরণ বলা হয়।
সামাজিক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য গুণবাচক হয়ে থাকে ফলে প্রত্যেক গুণবাচক তথ্যের জন্য সংখ্যা বণ্টন হলো সংকেতীকরণ । এভাবে তথ্য কতিপয় শ্রেণিতে বিন্যস্ত করা হয় ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, সাক্ষাৎকার প্রণয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তথ্যগুলো বৈজ্ঞানিকভাবে সংগৃহিত, লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে।
তথ্যের সংকেতীকরণ করা হয়ে থাকে ফলে প্রাপ্ত তথ্য গবেষণাকে- কার্যকরী করে তোলে, গবেষণা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়। সাক্ষাৎকার পদ্ধতির মাধ্যমে সঠিক ও যথাযথ তথ্য সংগ্রহ করা হয় এজন্য সাক্ষাৎকার গ্রহণের প্রক্রিয়াকে যথাযথভাবে অনুসরণ করা আবশ্যক ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সাক্ষাৎকার গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সাক্ষাৎকার গ্রহণের বিভিন্ন স্তর সম্পর্কে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।