লোকপ্রশাসনের আধুনিক পদ্ধতিসমূহ আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো লোকপ্রশাসনের আধুনিক পদ্ধতিসমূহ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের লোকপ্রশাসনের আধুনিক পদ্ধতিগুলো কী কী? সংক্ষেপে লেখ।
লোকপ্রশাসনের আধুনিক পদ্ধতিসমূহ আলোচনা কর |
লোকপ্রশাসনের আধুনিক পদ্ধতিসমূহ আলোচনা কর
- অথবা, লোকপ্রশাসনের আধুনিক পদ্ধতিগুলো কী কী? সংক্ষেপে লেখ ।
- অথবা, লোকপ্রশাসনের আধুনিক পদ্ধতিগুলো সংক্ষেপে লেখ
উত্তর ভূমিকা : লোকপ্রশাসন অধ্যয়নে যেসব পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তন্মধ্যে আধুনিক পদ্ধতিসমূহ সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য । সামাজিক জীব হিসেবে মানুষের জীবন ও সমাজ গতিশীল।
এর বিবর্তন ঘটেছে ও ঘটবে। এসব বিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আধুনিক পদ্ধতিরও উদ্ভব ঘটেছে। লোকপ্রশাসনের জন্য আধুনিক পদ্ধতি অতি গুরুত্বপূর্ণ ।
লোকপ্রশাসন অধ্যয়নের আধুনিক পদ্ধতিসমূহ : নিম্নে লোকপ্রশাসন অধ্যয়নের আধুনিক পদ্ধতিসমূহ আলোচনা করা হলো :
১. আচরণগত পদ্ধতি : সাম্প্রতিক সময়ে লোকপ্রশাসন অধ্যয়নে আচরণগত পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি সামাজিক মনস্তাত্ত্বিক পদ্ধতি বলেও অভিহিত করা হয়।
সংগঠনের ব্যক্তি আচরণ পর্যবেক্ষণ করে কতকগুলো সাধারণ সূত্রে উপনীত হওয়া এ পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য। এ পদ্ধতির অন্যতম প্রবক্তা হলেন হার্বার্ট এ সাইমন। lew) FOR A
২. মনস্তাত্ত্বিক পদ্ধতি : মনস্তাত্ত্বিক পদ্ধতি মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে লোকপ্রশাসন অধ্যয়ন করে থাকে। সংগঠনের মানব আচরণ কেমন হবে তা এ পদ্ধতির আওতাভুক্ত।
মূলত এ দৃষ্টিকোণ থেকে আমলাদের ধ্যানধারণা, অনুভূতি এবং প্রশাসনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সম্পর্ক আলোচনা করে ।
৩. গোষ্ঠীগত পদ্ধতি : লোকপ্রশাসন অধ্যয়নে গোষ্ঠীগত পদ্ধতি বর্তমানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মূলত এ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রশাসনিক নীতি প্রণয়নে সংগঠিত গোষ্ঠীর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয় ।
৪. ঘটনাসংক্রান্ত পদ্ধতি : লোকপ্রশাসন অধ্যয়নের ক্ষেত্রে ঘটনাসংক্রান্ত পদ্ধতি একটি আধুনিক সংযোজন। ঘটনা একটি নির্দিষ্ট সমস্যা যেটি সমাধানের জন্য সবাইকে একটি ইউনিটে পরিণত হতে হয়। এ পদ্ধতির সফলতা নির্ভর করে সংগঠনের কর্মরত প্রশাসকদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের ওপর।
৫. সংখ্যাত্মক পদ্ধতি : সংখ্যাত্মক পদ্ধতি প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে এর প্রয়োগ অত্যন্ত কার্যকরী।
৬. ক্ষমতা বিশ্লেষণ পদ্ধতি : প্রশাসনিক কার্যক্রমে ক্ষমতার প্রয়োজন রয়েছে। ক্ষমতা সুদৃঢ়, ক্ষমতার বৃদ্ধি এবং ক্ষমতার সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় এ পদ্ধতির মাধ্যমে আলোচিত হয়। চার
৭. অশান্ত পদ্ধতি : অশান্ত ও বিশৃঙ্খল পরিবেশ নতুন আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের জন্ম দেয়। এরকম পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক সংগঠনের আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন পড়ে।
আর এমন পরিস্থিতিতে লোকপ্রশাসন আলোচনায় অশান্ত পদ্ধতি সর্বাপেক্ষা কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কাজটির
৮. ক্লিনিক্যাল পদ্ধতি : সাম্প্রতিক সময়ে লোকপ্রশাসনের অধ্যয়ন পদ্ধতির ক্ষেত্রে ক্লিনিক্যাল পদ্ধতির গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এরূপ পদ্ধতি মূলত উচ্চতর পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা দেওয়া হয়। যেমন- বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (BPATC), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর মানব গবেষণাকেন্দ্র ইত্যাদি ৷
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, লোকপ্রশাসন অধ্যয়নে আধুনিক পদ্ধতিগুলো একান্ত অপরিহার্য। কেননা সবকিছুই পরিবর্তনশীল, তাই এ পরিবর্তনের সাথে খাপখাওয়ানোর জন্য আধুনিক পদ্ধতির পাঠ প্রয়োজন।
তবুও তাদের মধ্যে কোনটি যথার্থ, সঠিক এবং বিজ্ঞানসম্মত সে বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। সত্যিকার অর্থে কোনো একটি পদ্ধতি এককভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়; বরং কয়েকটি পদ্ধতি একত্রে প্রয়োগ করলে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ লোকপ্রশাসনের আধুনিক পদ্ধতিসমূহ আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম লোকপ্রশাসনের আধুনিক পদ্ধতিগুলো সংক্ষেপে লেখ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।