লোক প্রশাসন বিজ্ঞান না কলা? সপক্ষে যুক্তি দাও
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো লোক প্রশাসন বিজ্ঞান না কলা? সপক্ষে যুক্তি দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের লোক প্রশাসন বিজ্ঞান না কলা? সপক্ষে যুক্তি দাও।
লোক প্রশাসন বিজ্ঞান না কলা? সপক্ষে যুক্তি দাও |
লোক প্রশাসন বিজ্ঞান না কলা? সপক্ষে যুক্তি দাও
উত্তর : ভূমিকা : সামাজিক বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার মধ্যে লোকপ্রশাসন অন্যতম। নতুন অধ্যয়ন বিষয় হলেও লোকপ্রশাসন ব্যাপক জনপ্রিয়।
লোকপ্রশাসনকে বিজ্ঞান বলা বা না বলার মধ্যে তাত্ত্বিকদের মধ্যে অনেকখানি মতভেদ পরিলক্ষিত হয় । বিজ্ঞান বলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন তাত্ত্বিক তাদের নিজস্ব মতামত তুলে ধরেছেন।
লোকপ্রশাসনকে বিজ্ঞান বলার পক্ষে যুক্তি : লোকপ্রশাসনকে বিজ্ঞান বলার পূর্বে বিজ্ঞান কী সে সম্পর্কে ধারণা থাকা আবশ্যক । বিজ্ঞান : বিজ্ঞান হলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত কতকগুলো সমস্যা সম্পর্কে সুসংবদ্ধ জ্ঞান।
১৯৫০ সালে UNESCO এর আলোচনা সভায় বিজ্ঞানের সংজ্ঞা নির্দেশ করা হয় এভাবে, "The sum of coordinated knowledge relative to a determined subject.” বিজ্ঞানকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। জড় বা প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞান।
লোকপ্রশাসনকে যারা বিজ্ঞান বলে মনে করেন তাদের মধ্যে ক্লিউন নেসলি, ওয়ালাস বি. ডনহাম, অধ্যাপক বিয়ার্ড প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য । উড্রো উইলসন ১৮৮৭ সালে প্রশাসনকে লোকপ্রশাসনের বিজ্ঞান বলে গণ্য করেছেন।
অধ্যাপক বিয়ার্ড (Prof. Beard) বলেন, “যদি বিজ্ঞান কথাটা আমরা অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণের ফলে আহরিত জ্ঞানের ক্ষেত্রে এবং বাস্তবে প্রয়োগযোগ্য ও প্রায় ভবিষ্যদ্বাণীর মতো কাজ করে বলে প্রমাণিত বিধিসমূহের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারি তবে লোকপ্রশাসনকেও বিজ্ঞান বলতে পারি" । তিনি আরো বলেন, “প্রশাসনের বিজ্ঞান অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ এবং অনুশীলনের ফলস্বরূপ। লা
ক্লীউন নেসলি (Cleun Necley) বলেন, “প্রশাসন এক প্রকার কর্মতৎপরতা, যার সঠিক বিশ্লেষণ এবং অন্যান্য বিজ্ঞানের সাথে যার সঠিক ও সম্যক পরিচয় থাকা আবশ্যক।”
ওয়ালাস বি. ডনহাম (Wallace B. Donham) এর মতে, “প্রশাসন শুধুমাত্র বিজ্ঞানই নয়, এটি এক প্রকার সামাজিক বিজ্ঞানও বটে ।”
মূল্যায়ন : উপরোল্লিখিত মতামত বিশ্লেষণ করে বলা যায় লোকপ্রশাসন যে বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত নয় এ কথা ঠিক নয়, তবে তা সামাজিক বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। মূলত লোকপ্রশাসন একটি সামাজিক বিজ্ঞান কারণ এটি মানুষের আচার আচরণ নিয়ে আলোচনা করে থাকে।
প্রশাসনিক ব্যবস্থা একদিনে গড়ে ওঠেনি। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে এদের ক্রমবিবর্তন ঘটেছে। বিংশ শতাব্দীতে রাষ্ট্রীয় কার্যাবলির অধিক প্রসার এবং
ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার স্থলে সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা করার সর্বাত্মক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। এদিক হতে লোকপ্রশাসনকে একটি প্রগতিশীল বিজ্ঞান বলে অভিহিত করা যেতে পারে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, লোকপ্রশাসনকে বিজ্ঞান বলে আখ্যায়িত করেছেন বেশকিছু তাত্ত্বিক। তবে লোকপ্রশাসন পদার্থ বা রসায়নের মতো নিখুঁত বিজ্ঞান না হলেও অর্থনীতি বা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মতো সামাজিক বিজ্ঞান। অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞানের ন্যায় লোকপ্রশাসন একটি প্রগতিশীল বিজ্ঞান। তার
আর্টিকেলের শেষকথাঃ লোক প্রশাসন বিজ্ঞান না কলা? সপক্ষে যুক্তি দাও
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম লোক প্রশাসন বিজ্ঞান না কলা? সপক্ষে যুক্তি দাও। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।