কেস স্টাডির ধাপ কয়টি
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কেস স্টাডির ধাপ কয়টি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কেস স্টাডির ধাপ কয়টি।
কেস স্টাডির ধাপ কয়টি |
কেস স্টাডির ধাপ কয়টি
উত্তর ভূমিকা : সমাজবিজ্ঞান এমন একটি বিজ্ঞান, যা সমাজবিজ্ঞান গবেষণার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির আশ্রয় নেয়। সমাজবিজ্ঞনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো কেস স্টাডি।
এ পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো বিষয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ও স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায় । কোনো নির্দিষ্ট এককের বিভিন্ন দিকের অসংখ্য চলক সম্পর্কে ও সুবিস্তৃত অনুসন্ধান হলো কেস স্টাডি কেস স্টাডির পর্যায়সমূহ :
কেস স্টাডি মেথডের পর্যায়সমূহ নিম্নে বর্ণনা করা হলো : কেস নির্বাচন প্রকল্প গঠন তথ্যের উৎস ও মাধ্যম নির্বাচন তথ্য সংগ্ৰহ তথ্য বিশ্লেষণ- সমাধান এবং ফলোআপ ব্যবস্থাকরণ
১. কেস নির্বাচন : কেস স্টাডির প্রধান পর্যায়ই হচ্ছে কেস নির্বাচন করা। কেস স্টাডির কাজ শুরু হয় বিষয় নির্বাচন করার মাধ্যমে নয়; বরং উপযুক্ত কেস নির্বাচনের মাধ্যমে, যা গবেষকের নির্দিষ্ট সমস্যার দৃষ্টান্ত হিসেবে অনুমিত।
এসব প্রাসঙ্গিক কেস মূলত এক একটি একক হিসেবে বিবেচিত হয়। যেমন- দারিদ্র্য সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক কোনো গবেষক একটি গ্রাম নির্বাচন করে তার সার্বিক বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে সমর্থ হলো ।
২. প্রকল্প গঠন : প্রকল্প গঠন হচ্ছে এ পদ্ধতির অত্যন্ত জরুরি একটি দিক। কেস স্টাডিতে যথাযথ তথ্যসংগ্রহের উদ্দেশ্যে এমন কিছু প্রকল্প গঠন করে কাজ করা হয়, যা পুরোপুরি সাময়িক। তাই প্রকল্প সাধন করতে হয় ।
৩. তথ্যের উৎস ও মাধ্যম নির্বাচন : কেস স্টাডিতে সাধারণত একাধিক সূত্র হতে বিভিন্ন উপকরণ বা মাধ্যম ব্যবহার করে দরকারি তথ্যসংগ্রহ করা হয়। তথ্যের উৎস প্রধানত দুইটি । যথা : প্রত্যক্ষ উৎস ও পরোক্ষ উৎস ।
৪. তথ্যসংগ্রহ : কেস স্টাডির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তথ্য সংগ্রহ করা। এক্ষেত্রে বিভিন্ন উৎস হতে একাধিক উপকরণ ব্যবহার করা হয় । গ্রহণযোগ্য তথ্যসংগ্রহের গবেষকের নিয়োগকৃত তথ্য সংগ্রহকারীদের কেস স্টাডির উদ্দেশ্য ও পদ্ধতি, তথ্যসংগ্রহের কৌশল ইত্যাদি বিষয়ে পর্যাপ্ত ধারণা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয় ।
৫. তথ্য বিশ্লেষণ : তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমেই কেস স্টাডিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্যাবলি সংখ্যাতাত্ত্বিক উপায় বিশ্লেষণ উপযোগী করে গবেষকের উদ্দেশ্য অনুযায়ী সেগুলোকে উপস্থাপন করা হয়। তাই তথ্য বিশ্লেষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. সমস্যার সমাধান এবং ফলোআপ প্রদান : কেস স্টাডি ক্লিনিক্যাল প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে এবং গবেষণা কৌশল হিসেবে গৌণরূপে বিবেচিত হতে পারে। এজন্য বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল প্রয়োজনে পরিচালিত কেস স্টাডি সংশ্লিষ্ট কেসের সমস্যা প্রস্তাবনা ও পরবর্তীতে তার অবস্থা ফলোআপের চেষ্টা করে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, কেস স্টাডি পদ্ধতিতে বিশ্লেষণাধীন একককে সম্ভাব্য সব দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করতে হয়। এজন্য বিশ্লেষণাধীন একককে গভীরভাবে বিশ্লেষণের জন্য সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হয় ।
বর্তমানে কেস স্টাডি নির্দিষ্ট নকশা বা পরিকল্পনাভিত্তিক হওয়ায় ধাপসমূহ অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কেস স্টাডির ধাপ কয়টি
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কেস স্টাডির ধাপ কয়টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।